রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : সেতুর অভাবে মানুষের দুর্ভোগ -সংবাদ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী মোল্লারহাট চরকাছিয়া সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন। উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এই ইউনিয়নটির অবস্থান। যেখানে গ্রাম থেকে বের হওয়ার তেমন কোনো রাস্তা নেই। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা নদীর সংযোগে অসংখ্য খাল। কারণ স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়ে গেলেও চরবংশী ইউনিয়নের খেয়ারঘাটে নির্মাণ হয়নি ব্রিজ। ফলে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে করে ব্রিজের অভাবে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ জনপদের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের একমাত্র ভরসা নৌকা দিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে।
সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চরকাছিয়া, পারিঘাট, মোল্লাহাট এলাকার হাজার হাজার মানুষ রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজে প্রতিদিন পৌর শহরে আসতে হয়। সাধারণ মানুষ রোগী নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন এই সড়ক দিয়ে। মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাজে অতি অল্প সময়ে শহরে আসা যায়। রায়পুর থেকে মোল্লাহাট হয়ে পারিন ঘাট পর্যন্ত এবং গেয়ার ঘাট থেকে চরকাছিয়া পর্যন্ত কাচা-পাকা রাস্তা নির্মাণ হলেও এখানে ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এতে এ জনপদের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের যাতায়াত করার জন্য খেয়ারঘাটে এসে নৌকার জন্য রোদ, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর নৌকা ঘাটে ভিড়লে শুরু হয় নৌকায় ওঠার প্রতিযোগিতা।
চরকাছিয়া গ্রামের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, এ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নেই কোনো উপযুক্ত রাস্তা। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার জনসাধারণকে। তাই ঝুঁকি নিয়ে বছরের বারমাসই বৈঠা বেয়ে নৌকায় স্কুলে যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে এ সব পথ পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে, যা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অথচ এ গ্রামে রয়েছে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী যা আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যৎ। যোগাযোগের অভাবে শুরুতেই ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এ জনপদের সব মানুষের বার মাস নৌকা ব্যবহার করতে হয়। নৌকা ছাড়া উপায় নেই, নৌকাই তাদের রাস্তা। নদী পার হওয়া যাত্রী আনোয়ার মাঝি বলেন, অনেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ আমাদের খোঁজখবর রাখেন না। আমরা স্বাধীনতার পর থেকে একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু আমদের স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে গেল। চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছালে মিন্টু ফরাজী বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের আওতাধীন চরকাছিয়া ও মোল্লারহাট বাজারে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ নৌকা যাতায়াতের কোনো মাধ্যমে নেই। যদি সরকার ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগী হয় তাহলে সাধারন মানুষসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সার্বিক উন্নয়নের পথ তৈরি হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবলেন, আমাদের যদি সরকারিভাবে প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই এখানে প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : সেতুর অভাবে মানুষের দুর্ভোগ -সংবাদ
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার ৮নং দক্ষিন চরবংশী মোল্লারহাট চরকাছিয়া সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন একটি ইউনিয়ন। উপজেলা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে এই ইউনিয়নটির অবস্থান। যেখানে গ্রাম থেকে বের হওয়ার তেমন কোনো রাস্তা নেই। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা নদীর সংযোগে অসংখ্য খাল। কারণ স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হয়ে গেলেও চরবংশী ইউনিয়নের খেয়ারঘাটে নির্মাণ হয়নি ব্রিজ। ফলে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে করে ব্রিজের অভাবে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ জনপদের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের একমাত্র ভরসা নৌকা দিয়ে নদী পারাপার করতে হচ্ছে।
সরেজমিন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, চরকাছিয়া, পারিঘাট, মোল্লাহাট এলাকার হাজার হাজার মানুষ রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দাপ্তরিক কাজে প্রতিদিন পৌর শহরে আসতে হয়। সাধারণ মানুষ রোগী নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন এই সড়ক দিয়ে। মামলা মোকদ্দমা সংক্রান্ত কাজে অতি অল্প সময়ে শহরে আসা যায়। রায়পুর থেকে মোল্লাহাট হয়ে পারিন ঘাট পর্যন্ত এবং গেয়ার ঘাট থেকে চরকাছিয়া পর্যন্ত কাচা-পাকা রাস্তা নির্মাণ হলেও এখানে ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এতে এ জনপদের শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের যাতায়াত করার জন্য খেয়ারঘাটে এসে নৌকার জন্য রোদ, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে নানা দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর নৌকা ঘাটে ভিড়লে শুরু হয় নৌকায় ওঠার প্রতিযোগিতা।
চরকাছিয়া গ্রামের কয়েকজন শিক্ষার্থীরা জানান, এ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকায় সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার জন্য নেই কোনো উপযুক্ত রাস্তা। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার জনসাধারণকে। তাই ঝুঁকি নিয়ে বছরের বারমাসই বৈঠা বেয়ে নৌকায় স্কুলে যাতায়াত করে। বর্ষা মৌসুমে এ সব পথ পানির নিচে নিমজ্জিত থাকে, যা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অথচ এ গ্রামে রয়েছে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী যা আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যৎ। যোগাযোগের অভাবে শুরুতেই ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এ জনপদের সব মানুষের বার মাস নৌকা ব্যবহার করতে হয়। নৌকা ছাড়া উপায় নেই, নৌকাই তাদের রাস্তা। নদী পার হওয়া যাত্রী আনোয়ার মাঝি বলেন, অনেকেই জনপ্রতিনিধি হওয়ার আগে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচনের পর আর কেউ আমাদের খোঁজখবর রাখেন না। আমরা স্বাধীনতার পর থেকে একটি ব্রিজের স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু আমদের স্বপ্ন যেন স্বপ্নই রয়ে গেল। চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছালে মিন্টু ফরাজী বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নের আওতাধীন চরকাছিয়া ও মোল্লারহাট বাজারে বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ নৌকা যাতায়াতের কোনো মাধ্যমে নেই। যদি সরকার ব্রিজ নির্মাণে উদ্যোগী হয় তাহলে সাধারন মানুষসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সার্বিক উন্নয়নের পথ তৈরি হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাবলেন, আমাদের যদি সরকারিভাবে প্রকল্প নেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই এখানে প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।