নওগাঁর মহাদেবপুরে থামছেইনা চাঁদাবাজি। সাংবাদিকতার নাম করে একের পর এক নতুন নতুন কৌশলে চলছে এ কাজ। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অপকর্ম থামাতেই পারছেন না কেউ। বরং সংশ্লিষ্টরা প্রকাশ্যে তাদের শেল্টার দিয়ে চাঁদাবাজিকে আরো উৎসাহিত করছেন বলে মত স্থানীয়দের। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে ।
ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ, না কোন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ব্যবহার করে এরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, থানায় নানা বৈঠক পরিচালনা করছে, আবার অংশ নিচ্ছে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও। থানা পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা কমিটি, রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের প্রকাশ্যে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মহাদেবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মান্দা উপজেলার মিরপুর গ্রামের পিয়ার বক্স মন্ডলের ছেলে বিরাজ উদ্দিন মন্ডল অভিযোগ করেন যে, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে নিয়মানুযায়ী লাইসেন্স নিয়ে একটি ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দাঁতের মাজন ও টাইগার বাম তৈরি করে গ্রামে গ্রামে হাটে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। খবর পেয়ে গত ঈদের দুদিন আগে ২৯ মার্চ মহাদেবপুর থেকে কথিত কিছু সাংবাদিক ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তাকে ব্যবসা করতে দিবেনা বলে হুমকি দেয়। পরদিন থেকে চাঁদার টাকার জন্য বার বার মোবাইলফোনে হুমকি দেয়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। এর ৫ দিন আগে গত ২৪ মার্চ মহাদেবপুর উপজেলার সদর খাদ্যগুদামে ঈদপূর্ববর্তী চাঁদার টাকা নিতে গেলে গুদামের কর্মচারি ও স্থানীয়রা কথিত সাংবাদিক বরুণ মজুমদার ও সাংবাদিক আককাস আলীকে আড়াই ঘন্টা আটক করে রাখে। এসংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এসব চাঁদাবাজির একটিরও কোন ব্যবস্থা হয়নি। মান্দার বিরাজ উদ্দিন চাঁদাবাজির বিষয়ে মান্দা থানায় গেলে পুলিশ চাঁদাবাজি মামলা নিতে অস্বীকার করে। এখন তিনি কোর্টে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান জানান, হুমকি দানের মামলা নেয়া হবে। মহাদেবপুর খাদ্যগুদামে চাঁদাবাজির বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে মামলার প্রস্তুতি নিতে দেবি হচ্ছে।
এসব কথিত সাংবাদিকদের প্রায় প্রতিদিনই মহাদেবপুর থানা চত্ত্বরে বিভিন্ন জনের মামলার তদ্বির ও বৈঠকে উপস্থিত থেকে দালালি করতে দেখা যায়। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন রেজা জানান, কেউ নিজের থেকে থানা চত্ত্বরে উপস্থিত হলে তাকে নিষেধ করা যায়না।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
নওগাঁর মহাদেবপুরে থামছেইনা চাঁদাবাজি। সাংবাদিকতার নাম করে একের পর এক নতুন নতুন কৌশলে চলছে এ কাজ। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই অপকর্ম থামাতেই পারছেন না কেউ। বরং সংশ্লিষ্টরা প্রকাশ্যে তাদের শেল্টার দিয়ে চাঁদাবাজিকে আরো উৎসাহিত করছেন বলে মত স্থানীয়দের। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে পড়েছে ।
ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ, না কোন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী। সাংবাদিকতার আইডি কার্ড ব্যবহার করে এরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে, থানায় নানা বৈঠক পরিচালনা করছে, আবার অংশ নিচ্ছে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও। থানা পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা কমিটি, রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদের প্রকাশ্যে মদদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মহাদেবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মান্দা উপজেলার মিরপুর গ্রামের পিয়ার বক্স মন্ডলের ছেলে বিরাজ উদ্দিন মন্ডল অভিযোগ করেন যে, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে নিয়মানুযায়ী লাইসেন্স নিয়ে একটি ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দাঁতের মাজন ও টাইগার বাম তৈরি করে গ্রামে গ্রামে হাটে বাজারে বিক্রি করে আসছেন। খবর পেয়ে গত ঈদের দুদিন আগে ২৯ মার্চ মহাদেবপুর থেকে কথিত কিছু সাংবাদিক ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় তাকে ব্যবসা করতে দিবেনা বলে হুমকি দেয়। পরদিন থেকে চাঁদার টাকার জন্য বার বার মোবাইলফোনে হুমকি দেয়। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুটি কল রেকর্ড ফাঁস হয়। এর ৫ দিন আগে গত ২৪ মার্চ মহাদেবপুর উপজেলার সদর খাদ্যগুদামে ঈদপূর্ববর্তী চাঁদার টাকা নিতে গেলে গুদামের কর্মচারি ও স্থানীয়রা কথিত সাংবাদিক বরুণ মজুমদার ও সাংবাদিক আককাস আলীকে আড়াই ঘন্টা আটক করে রাখে। এসংক্রান্ত একটি লাইভ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এসব চাঁদাবাজির একটিরও কোন ব্যবস্থা হয়নি। মান্দার বিরাজ উদ্দিন চাঁদাবাজির বিষয়ে মান্দা থানায় গেলে পুলিশ চাঁদাবাজি মামলা নিতে অস্বীকার করে। এখন তিনি কোর্টে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানতে চাইলে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান জানান, হুমকি দানের মামলা নেয়া হবে। মহাদেবপুর খাদ্যগুদামে চাঁদাবাজির বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে মামলার প্রস্তুতি নিতে দেবি হচ্ছে।
এসব কথিত সাংবাদিকদের প্রায় প্রতিদিনই মহাদেবপুর থানা চত্ত্বরে বিভিন্ন জনের মামলার তদ্বির ও বৈঠকে উপস্থিত থেকে দালালি করতে দেখা যায়। মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন রেজা জানান, কেউ নিজের থেকে থানা চত্ত্বরে উপস্থিত হলে তাকে নিষেধ করা যায়না।