বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মুজিবনগর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাতে একজন মাছের ঘের ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘের ব্যবসায়ী বাবুল শেখ ও তার শ্যালকপুত্র মাঞ্জু সেখকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবুল শেখের মেয়ে সাবরিনা খাতুন বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শনিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসাবে রেকর্ড করে নাই বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহতরা ও অভিযোগকারী সাবরিনা খাতুন জানান, রামপাল উপজেলার মুজিবনগর গ্রামের মৎস্যঘের ব্যবসায়ী শেখ বাবুল শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে তার সাথে উপজেলার বাঁশতলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সরদার রকিবুল ইসলাম মুক্ত, তার ভাই কাঞ্চন সরদার, ফিরোজ সরদার, ইসলামাবাদ গ্রামের রেজা ফকির, বিকু ফকির, গিলাতলা গ্রামের মনির তালুকদার, বাঁশতলী গ্রামের আবু হুরাইরা, শেখ আবু দাইয়ান, শেখ মারুফ ও শিকদার মামুনদের মাছের ঘের সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আর এ বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বাবুল শেখ ও তার শ্যালকপুত্র শেখ মাঞ্জুর বাড়ি থেকে মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় আসফাক গাজীর বাড়ির সামনে ঘেরের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা কুড়াল, রাম দা, রড, লাঠি নিয়ে হামলা করে। কাঞ্চন সরদার কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য বাবুলের মাথায় কোপ দেয়। এরপরে আবু হুরাইরাসহ অন্যরা রাম দা, ছোরা ও লাঠি দিয়ে বাবুল ও মাঞ্জুরকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে আহতদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার পূর্বে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাঁশতলী গ্রামের মুক্ত ও কাঞ্চনের নেতৃত্বে লিমন নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। একের পর এক ওই এলাকায় সন্ত্রাসীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করায় বাঁশতলী, গিলাতলা, মুজিবনগর, তেঘরিয়া, ইসলামাবাদসহ আশপাশের এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
দুজনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার বিষয়ে রামপাল থানার নবাগত ওসি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত এজাহারের কপি পেয়েছি। তবে হাইকোর্টে কর্মরত ওই এলাকার একজন বেঞ্চ সহকারী এলে মামলা রেকর্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে কেহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার মুজিবনগর গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাতে একজন মাছের ঘের ব্যবসায়ীসহ দুইজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘের ব্যবসায়ী বাবুল শেখ ও তার শ্যালকপুত্র মাঞ্জু সেখকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবুল শেখের মেয়ে সাবরিনা খাতুন বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। শনিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ অভিযোগটি এজাহার হিসাবে রেকর্ড করে নাই বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহতরা ও অভিযোগকারী সাবরিনা খাতুন জানান, রামপাল উপজেলার মুজিবনগর গ্রামের মৎস্যঘের ব্যবসায়ী শেখ বাবুল শান্তিপূর্ণভাবে এলাকায় মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে তার সাথে উপজেলার বাঁশতলী এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সরদার রকিবুল ইসলাম মুক্ত, তার ভাই কাঞ্চন সরদার, ফিরোজ সরদার, ইসলামাবাদ গ্রামের রেজা ফকির, বিকু ফকির, গিলাতলা গ্রামের মনির তালুকদার, বাঁশতলী গ্রামের আবু হুরাইরা, শেখ আবু দাইয়ান, শেখ মারুফ ও শিকদার মামুনদের মাছের ঘের সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
আর এ বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বাবুল শেখ ও তার শ্যালকপুত্র শেখ মাঞ্জুর বাড়ি থেকে মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় আসফাক গাজীর বাড়ির সামনে ঘেরের রাস্তায় পৌঁছালে আসামিরা কুড়াল, রাম দা, রড, লাঠি নিয়ে হামলা করে। কাঞ্চন সরদার কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য বাবুলের মাথায় কোপ দেয়। এরপরে আবু হুরাইরাসহ অন্যরা রাম দা, ছোরা ও লাঠি দিয়ে বাবুল ও মাঞ্জুরকে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে আহতদের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনার পূর্বে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বাঁশতলী গ্রামের মুক্ত ও কাঞ্চনের নেতৃত্বে লিমন নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। একের পর এক ওই এলাকায় সন্ত্রাসীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করায় বাঁশতলী, গিলাতলা, মুজিবনগর, তেঘরিয়া, ইসলামাবাদসহ আশপাশের এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
দুজনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার বিষয়ে রামপাল থানার নবাগত ওসি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন ঘটনার বিষয়ে একটি লিখিত এজাহারের কপি পেয়েছি। তবে হাইকোর্টে কর্মরত ওই এলাকার একজন বেঞ্চ সহকারী এলে মামলা রেকর্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে কেহ অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।