টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : পানিবিহীন খাল -সংবাদ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল, ধীপুর, বালিগাঁও এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার খালসমূহে অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ দখলের কারণে স্বচ্ছ পানির তীব্র সংকটে ভুগছে মানুষ। পদ্মা নদী থেকে আসা এইসব খালের সংযোগসমূহ, পয়েন্টসমূহ অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো আজ মৃতপ্রায়। রূপ নিয়েছে কচুরীপানার ভাগাড়ে।
একসময় অসংখ্য সরকারি খাল জালের মতো ছড়িয়ে ছিল এই অঞ্চলে যা এখন শুধুই সরকারি রেকর্ড হিসেবে পর্চায় খতিয়ান আর ম্যাপে স্থান পেয়েছে। মাছশূন্য, পঁচা, দুর্গন্ধ ও বিষাক্ত পানিতে জনজীবন বিপন্ন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হুমকির মুখে। সাঁতার কাটা, নৌকাবাইচ বা শাপলা-শালুক আজ সুদূর অতীত বা রূপকথায় পরিণত হয়েছে।
পদ্মা নদী হতে আসা বালিগাঁও-কলমা হতে এইসব খালের ১৮টি সংযোগ অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলোর জৌলুস হারিয়েছে।
আড়িয়লের বাসিন্দা আমীর হোসেন জানান, এই খালগুলো আড়িয়ল, বালিগাঁও, কলমা, ধীপুর, সোনারং টঙ্গীবাড়ী, আব্দুল্লাপুর, বেতকাসহ আশপাশের ইউনিয়নের মানুষের নৌপথে যোগাযোগের একমাত্র ব্যবস্থা ছিল। খালগুলো দিয়ে ছোট বড় লঞ্চ, পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌকা, ট্রলার, ইত্যাদি চলাচল করত। এই অঞ্চলের মানুষেরা বড়-মোকাম হয়ে পদ্মা নদীতে, তালতলা হয়ে ইছামতি নদীতে এবং মিরকাদিম হয়ে ধলেশ্বরী নদীর মাধ্যমে জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশ-বিদেশে পাড়ি জমাতো। এই খালের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা দূরবর্তী নদীতে অপসারিত হতো। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় সেসব সরকারি খালসমূহ আজ অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ দখলদারদের স্থাপনায় হারিয়ে যেতে বসেছে। মৃতপ্রায় এই খালগুলো উদ্ধারের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। স্থানীয়রা এই অঞ্চলের বিপন্ন প্রায় পরিবেশ রক্ষা, কৃষি জামির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং গণমানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারি খালসমূহের বিভিন্ন পয়েন্টের অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ ও খাল খনন করার দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, জয়নুল আলম তালুকদার বলেন খালের পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকার জন্য। জমিতে যখন পানির প্রয়োজন পরে তখন আশপাশে ছোটও ছোটও ডোবা ও খাল থেকে স্বল্প খরচে পানির ব্যবস্থা করা গেলেও যাদের জমি থেকে তুলনামুলক দূর থেকে লতা পাইপের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করা হয় তাদের অনেক বেশি খরচ হয়।
আগের খালগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, এগুলো যদি খনন করা হয় তাহলে গুরুত্বপূর্ণ ২টি উপকার হবে। প্রথমত যখন পানি নেমে যায় দ্রুত নেমে যাবে তাহলে কৃষক দ্রুত আলু সহ অন্যান্য বীজ বপন করতে পারবে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও পানি জমে থাকবে না। খরা মৌসুমে পাট, ভুট্টা বিভিন্ন ফসলে খালের জমা পানি ব্যবহার করতে পারবে এতে ফলন ভালো হবে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : পানিবিহীন খাল -সংবাদ
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল, ধীপুর, বালিগাঁও এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার খালসমূহে অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ দখলের কারণে স্বচ্ছ পানির তীব্র সংকটে ভুগছে মানুষ। পদ্মা নদী থেকে আসা এইসব খালের সংযোগসমূহ, পয়েন্টসমূহ অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো আজ মৃতপ্রায়। রূপ নিয়েছে কচুরীপানার ভাগাড়ে।
একসময় অসংখ্য সরকারি খাল জালের মতো ছড়িয়ে ছিল এই অঞ্চলে যা এখন শুধুই সরকারি রেকর্ড হিসেবে পর্চায় খতিয়ান আর ম্যাপে স্থান পেয়েছে। মাছশূন্য, পঁচা, দুর্গন্ধ ও বিষাক্ত পানিতে জনজীবন বিপন্ন, গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা হুমকির মুখে। সাঁতার কাটা, নৌকাবাইচ বা শাপলা-শালুক আজ সুদূর অতীত বা রূপকথায় পরিণত হয়েছে।
পদ্মা নদী হতে আসা বালিগাঁও-কলমা হতে এইসব খালের ১৮টি সংযোগ অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলোর জৌলুস হারিয়েছে।
আড়িয়লের বাসিন্দা আমীর হোসেন জানান, এই খালগুলো আড়িয়ল, বালিগাঁও, কলমা, ধীপুর, সোনারং টঙ্গীবাড়ী, আব্দুল্লাপুর, বেতকাসহ আশপাশের ইউনিয়নের মানুষের নৌপথে যোগাযোগের একমাত্র ব্যবস্থা ছিল। খালগুলো দিয়ে ছোট বড় লঞ্চ, পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌকা, ট্রলার, ইত্যাদি চলাচল করত। এই অঞ্চলের মানুষেরা বড়-মোকাম হয়ে পদ্মা নদীতে, তালতলা হয়ে ইছামতি নদীতে এবং মিরকাদিম হয়ে ধলেশ্বরী নদীর মাধ্যমে জীবন ও জীবিকার তাগিদে দেশ-বিদেশে পাড়ি জমাতো। এই খালের মাধ্যমে ময়লা-আবর্জনা দূরবর্তী নদীতে অপসারিত হতো। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয় সেসব সরকারি খালসমূহ আজ অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ দখলদারদের স্থাপনায় হারিয়ে যেতে বসেছে। মৃতপ্রায় এই খালগুলো উদ্ধারের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। স্থানীয়রা এই অঞ্চলের বিপন্ন প্রায় পরিবেশ রক্ষা, কৃষি জামির উর্বরতা বৃদ্ধি এবং গণমানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারি খালসমূহের বিভিন্ন পয়েন্টের অপরিকল্পিত বাঁধ আর অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ ও খাল খনন করার দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, জয়নুল আলম তালুকদার বলেন খালের পানি অতি গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকার জন্য। জমিতে যখন পানির প্রয়োজন পরে তখন আশপাশে ছোটও ছোটও ডোবা ও খাল থেকে স্বল্প খরচে পানির ব্যবস্থা করা গেলেও যাদের জমি থেকে তুলনামুলক দূর থেকে লতা পাইপের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করা হয় তাদের অনেক বেশি খরচ হয়।
আগের খালগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, এগুলো যদি খনন করা হয় তাহলে গুরুত্বপূর্ণ ২টি উপকার হবে। প্রথমত যখন পানি নেমে যায় দ্রুত নেমে যাবে তাহলে কৃষক দ্রুত আলু সহ অন্যান্য বীজ বপন করতে পারবে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও পানি জমে থাকবে না। খরা মৌসুমে পাট, ভুট্টা বিভিন্ন ফসলে খালের জমা পানি ব্যবহার করতে পারবে এতে ফলন ভালো হবে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।