alt

সারাদেশ

বেদে সম্প্রদায়ের ভাসমান জীবনের গল্প

মাসুদ রানা, লালমাই (কুমিল্লা) : রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

লালমাই (কুমিল্লা) : লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে ভাসমান বেদে পরিবার -সংবাদ

আমাদের দেশে বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় ৮ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা বসবাস করে। দেশের অতি পরিচিত প্রান্তিক যাযাবর গোষ্ঠী হলো বেদে সম্প্রদায়। বেদেদেরকে সাধারণত বাইদ্যা বলে ডাকা হয়। কেউ কেউ এদেরকে জলের জিপসিও বলে থাকে। তারা জীবনের অধিকাংশ সময়ই নদীতে নৌকায় ভেসে বেড়ায়। নদীমাতৃক বাংলাদেশের সব নদীতেই এরা ছুটে বেড়ায়। তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আবেগ-অনুভূতি সবকিছু জড়িয়ে থাকে নৌকা আর নদীকে কেন্দ্র করে। নৌকার মধ্যেই চলে তাদের ঘর-সংসার।

তাদের জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে সবকিছুই নদীতেই হয়ে থাকে। জোয়ার ভাটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের জীবনের গল্প। তাদের নিজস্ব কোনো ভূমি নেই। ঘাটে ঘাটে নৌকা ফেলা আবার নোঙর তুলে নিয়ে অন্যত্র ছুটে চলাই তাদের প্রতিদিনের চিত্র। তারা নাগরিক জীবনের অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় ৯৮ শতাংশ সদস্য দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ সম্প্রদায়ের বিশুদ্ধ পানি কিংবা স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট। ভাসমান জীবনযাপনের ফলে বেদেরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সাধারণ মানুষ বেদেদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞার চোখে দেখে। এদের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না।

কুমিল্লায় ভাসমান ২৫ পরিবার : ভাসমান মুসলিম পরিবারের মানুষগুলো কষ্টে জীবন পার করছেন। অভাব অনটনে দিন যাচ্ছে তাদের। স্থায়ী ঠিকানা ছিল ঢাকার বিক্রমপুর ও মুন্সিগঞ্জ কিন্তু নিয়তির টানে এখন জীবন পার করছেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের কুমিল্লা বরুড়া সড়কের সঙ্গে। চন্ডি মন্দিরের পূর্ব পাশে। একটি বাগানে ঝুপড়ি ঘরে। দীর্ঘ দেড় মাস যাবৎ এখানে রয়েছেন। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো সর্বস্ব হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। ৫০ জন নারী পুরুষ ও ৪৫জন শিশু আর ১১ জন কিশোর থাকেন এখানে। রমজান মাসে মানুষগুলোর মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এগিয়ে আসেন সদর দক্ষিণ উপজেলা ইউএনও। ব্যবস্থা করেন চাউলের।

তাদের আয়ের উৎস্য : ২৫টি পরিবারের ২৫ জন নারী গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিঙ্গা লাগানো ও দাঁতের পোকা খুলে থাকে আর পুরুষদের মধ্যে কেউ কেউ স্বর্ণ হারিয়ে গেলে খুঁজে দেয়া কাজ করে থাকে, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন মালা, কড়ি, বাজারের গ্রামগঞ্জে গিয়ে বিক্রি করে থাকে।

শিশুদের শিক্ষা জীবন : এখানে শিশুদের জীবনের প্রদীপ শুরুর আগেই নিবে যায় কেননা, কোন প্রকার পড়ালেখা ছাড়াই বড় হচ্ছেন এখানকার শিশুরা। সারাদিন ক্রিকেট বল খেলা, লুকোচুরি খেলা, রাজা রানী খেলাসহ বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা করে বড় হচ্ছেন তারা। যাযাবর জনগোষ্ঠী হওয়াতে একাধিক স্থানে থাকতে হয় তাদের সে জন্য শিশুদেরও সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়। আর তাই শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকতে হয় শিশুদের। যার ফলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও গড়ে উঠেছে তাদের মতো করে। সরকার কিংবা সচেতনমহলের প্রচেষ্টায় এই শিশুদের শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন।

সামাজিক ব্যবস্থা : ২৫ পরিবারের সবাই মিলে সর্বসম্মতি ক্রমে আনিসকে সর্দার বানিয়েছে। এখানে আনিস যা বলবে সবাই তা শুনবে। সর্দারের কথাই তাদের জন্য শেষ কথা। আনিসের এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আনিস বলেন, আমরা ইতোপূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িসহ দেশের আরো দু’একটি জায়গায় ছিলাম কিন্তু এখানেই প্রথম আপনার লেখনীর মাধ্যমে কেউ আমাদের কিছু দিল। ইউএনও স্যারকেও ধন্যবাদ যে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। সত্যি স্থায়ীভাবে কোথায় জায়গা পেতাম তাহলে ওইখানে থেকেই নিজেরা কাজ করতাম।

স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা : লালমাই পাহাড়ের কোনে নিজেরা সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে টয়লেট নির্মাণ করেছেন। তাতেই বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাই ব্যবহার করে থাকেন।

প্রতিদিন সকালে নারীরা গ্রাম গঞ্জে চলে যায় আর বিকালের মধ্যে নীড়ে ফেরে রান্না বান্নার কাজ করে থাকেন। মূলত, বেশিরভাগ সময় মাঠ থেকে বিভিন্ন শাক-সবজি খুঁজে রান্না করে থাকে এছাড়াও মাঝে মধ্যে বাজার থেকেও মাছ মাংস ক্রয় করে খাবার ম্যানুতে অন্তর্ভুক্ত করে তারা।

একাধিক সন্তান লাভ : যাযাবর জনগোষ্ঠীর মানুষদের অধিক সন্তান লাভের কথা নতুন নয়। কিন্তু এখানে ২৫ পরিবারের নারীদেরও সন্তান রয়েছে আবার অনেকেই পরিবার পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্তান নিচ্ছেন।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা : নিজেদের কষ্টার্জিত টাকায় সোলার কিনেছে কয়েকটি পরিবার আর বাকীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে বিদ্যুৎতের চাহিদা মেটায়। সারাদিন রোদে সোলার ফেলে রাখে সন্ধ্যা নামলে তা ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে যায়। মোবাইল চার্জ দেওয়া ও রাতে বাল্প জ্বালানো সবই সোলারের মাধ্যমে করে থাকে।

ছবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ

ঠিকাদারকে ফোন করে ‘জিলাপির আবদার’, ওসির অডিও ফাঁস

মহেশখালীতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর লাঠির আঘাতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যু,আটক ১

ছবি

জাজিরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২

ছবি

রামুতে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে বৌদ্ধ স্নান ও জলকেলি উৎসব অনুষ্ঠিত

ছবি

ডিসি হিলে বর্ষবরণের মঞ্চ ভাঙচুর, অনুষ্ঠান বাতিল

ছবি

ট্রাইব্যুনালের ‘জিজ্ঞাসাবাদের’ জন্য পুলিশের হেফাজতে রাঙামাটির এসপি অনির্বান চৌধুরী

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

শিবগঞ্জে একই গাছে দুই ফসল টম আলু

বোরো ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

ছবি

ভালুকার পাল সম্প্রদায়ের জীবিকার মাধ্যম মৃৎশিল্প

ফাগুয়ার রঙে রঙিন চা বাগান

ছবি

ধর্মপাশায় ডোবার পানিতে ডুবে মামাতো ভাই-বোনের মৃত্যু

ছবি

সীতাকুণ্ডে লিফট ছিঁড়ে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু

সিদ্ধিরগঞ্জে ৩ খুন, সন্দেহভাজন যুবক ৫ দিনের রিমান্ডে

ছবি

মোরেলগঞ্জে বিএনপি কাউন্সিলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৭

গ্যাস সিলিন্ডার কারখানায় অভিযান, গ্রেপ্তার ১

টিকটকে পরিচয় পলাশে কিশোরী ধর্ষণের শিকার, আটক ১

রামু থানার সাবেক এসআইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

যশোরে মেয়েদের শয়নকক্ষে সিসি ক্যামেরা, কওমি মাদ্রাসা বন্ধ

খাসিয়াদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর

কক্সবাজারে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার

কর্ণফুলীতে লক্ষাধিক টাকার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

কলারোয়ায় পুলিশের ওপর হামলা মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৫

ছবি

রায়পুরে সংঘর্ষে নিহত স্পেন প্রবাসী আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে স্ত্রী-সন্তানের মানববন্ধন

ছবি

পদ্মার পানি প্রবাহিত না হওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে খাল

ছবি

চাঁদপুরে ৫ টন জাটকা জব্দ

পবিপ্রবিতে কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বিএনপি নেতার চাঁদা দাবি রোষানলে পড়ে পালিয় বেড়াচ্ছেন জেলে নিখিল

কসবায় ট্রাক-বাসের সংঘর্ষে নিহত ২

সুন্দরবনের হরিণের চামড়াসহ মাংস উদ্ধার

ডুমুরিয়ায় পাঁচটি নদীর চর দখলের মহোৎসব

ফরিদপুরে ব্যবসায়ী হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেয়ায় পোশাক কারখানায় ভাঙচুর, ৪৫ জন আটক

কৃষকদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ফকিরহাটে গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেল চালকের, গাছ চাপায় শ্রমিক নিহত

tab

সারাদেশ

বেদে সম্প্রদায়ের ভাসমান জীবনের গল্প

মাসুদ রানা, লালমাই (কুমিল্লা)

লালমাই (কুমিল্লা) : লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে ভাসমান বেদে পরিবার -সংবাদ

রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

আমাদের দেশে বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় ৮ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা বসবাস করে। দেশের অতি পরিচিত প্রান্তিক যাযাবর গোষ্ঠী হলো বেদে সম্প্রদায়। বেদেদেরকে সাধারণত বাইদ্যা বলে ডাকা হয়। কেউ কেউ এদেরকে জলের জিপসিও বলে থাকে। তারা জীবনের অধিকাংশ সময়ই নদীতে নৌকায় ভেসে বেড়ায়। নদীমাতৃক বাংলাদেশের সব নদীতেই এরা ছুটে বেড়ায়। তাদের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আবেগ-অনুভূতি সবকিছু জড়িয়ে থাকে নৌকা আর নদীকে কেন্দ্র করে। নৌকার মধ্যেই চলে তাদের ঘর-সংসার।

তাদের জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে সবকিছুই নদীতেই হয়ে থাকে। জোয়ার ভাটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাদের জীবনের গল্প। তাদের নিজস্ব কোনো ভূমি নেই। ঘাটে ঘাটে নৌকা ফেলা আবার নোঙর তুলে নিয়ে অন্যত্র ছুটে চলাই তাদের প্রতিদিনের চিত্র। তারা নাগরিক জীবনের অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বেদে সম্প্রদায়ের প্রায় ৯৮ শতাংশ সদস্য দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ সম্প্রদায়ের বিশুদ্ধ পানি কিংবা স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট। ভাসমান জীবনযাপনের ফলে বেদেরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সাধারণ মানুষ বেদেদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞার চোখে দেখে। এদের সঙ্গে কেউ মিশতে চায় না।

কুমিল্লায় ভাসমান ২৫ পরিবার : ভাসমান মুসলিম পরিবারের মানুষগুলো কষ্টে জীবন পার করছেন। অভাব অনটনে দিন যাচ্ছে তাদের। স্থায়ী ঠিকানা ছিল ঢাকার বিক্রমপুর ও মুন্সিগঞ্জ কিন্তু নিয়তির টানে এখন জীবন পার করছেন কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের কুমিল্লা বরুড়া সড়কের সঙ্গে। চন্ডি মন্দিরের পূর্ব পাশে। একটি বাগানে ঝুপড়ি ঘরে। দীর্ঘ দেড় মাস যাবৎ এখানে রয়েছেন। স্বল্প আয়ের মানুষগুলো সর্বস্ব হারিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ায়। ৫০ জন নারী পুরুষ ও ৪৫জন শিশু আর ১১ জন কিশোর থাকেন এখানে। রমজান মাসে মানুষগুলোর মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এগিয়ে আসেন সদর দক্ষিণ উপজেলা ইউএনও। ব্যবস্থা করেন চাউলের।

তাদের আয়ের উৎস্য : ২৫টি পরিবারের ২৫ জন নারী গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিঙ্গা লাগানো ও দাঁতের পোকা খুলে থাকে আর পুরুষদের মধ্যে কেউ কেউ স্বর্ণ হারিয়ে গেলে খুঁজে দেয়া কাজ করে থাকে, আবার কেউ কেউ বিভিন্ন মালা, কড়ি, বাজারের গ্রামগঞ্জে গিয়ে বিক্রি করে থাকে।

শিশুদের শিক্ষা জীবন : এখানে শিশুদের জীবনের প্রদীপ শুরুর আগেই নিবে যায় কেননা, কোন প্রকার পড়ালেখা ছাড়াই বড় হচ্ছেন এখানকার শিশুরা। সারাদিন ক্রিকেট বল খেলা, লুকোচুরি খেলা, রাজা রানী খেলাসহ বিভিন্ন প্রকার খেলাধুলা করে বড় হচ্ছেন তারা। যাযাবর জনগোষ্ঠী হওয়াতে একাধিক স্থানে থাকতে হয় তাদের সে জন্য শিশুদেরও সঙ্গে নিয়ে যেতে হয়। আর তাই শিক্ষার আলো থেকে দূরে থাকতে হয় শিশুদের। যার ফলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মও গড়ে উঠেছে তাদের মতো করে। সরকার কিংবা সচেতনমহলের প্রচেষ্টায় এই শিশুদের শিক্ষাদান কার্যক্রম চালু করা প্রয়োজন।

সামাজিক ব্যবস্থা : ২৫ পরিবারের সবাই মিলে সর্বসম্মতি ক্রমে আনিসকে সর্দার বানিয়েছে। এখানে আনিস যা বলবে সবাই তা শুনবে। সর্দারের কথাই তাদের জন্য শেষ কথা। আনিসের এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আনিস বলেন, আমরা ইতোপূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িসহ দেশের আরো দু’একটি জায়গায় ছিলাম কিন্তু এখানেই প্রথম আপনার লেখনীর মাধ্যমে কেউ আমাদের কিছু দিল। ইউএনও স্যারকেও ধন্যবাদ যে আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। সত্যি স্থায়ীভাবে কোথায় জায়গা পেতাম তাহলে ওইখানে থেকেই নিজেরা কাজ করতাম।

স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা : লালমাই পাহাড়ের কোনে নিজেরা সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে টয়লেট নির্মাণ করেছেন। তাতেই বৃদ্ধ থেকে শিশু সবাই ব্যবহার করে থাকেন।

প্রতিদিন সকালে নারীরা গ্রাম গঞ্জে চলে যায় আর বিকালের মধ্যে নীড়ে ফেরে রান্না বান্নার কাজ করে থাকেন। মূলত, বেশিরভাগ সময় মাঠ থেকে বিভিন্ন শাক-সবজি খুঁজে রান্না করে থাকে এছাড়াও মাঝে মধ্যে বাজার থেকেও মাছ মাংস ক্রয় করে খাবার ম্যানুতে অন্তর্ভুক্ত করে তারা।

একাধিক সন্তান লাভ : যাযাবর জনগোষ্ঠীর মানুষদের অধিক সন্তান লাভের কথা নতুন নয়। কিন্তু এখানে ২৫ পরিবারের নারীদেরও সন্তান রয়েছে আবার অনেকেই পরিবার পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্তান নিচ্ছেন।

বিদ্যুৎ ব্যবস্থা : নিজেদের কষ্টার্জিত টাকায় সোলার কিনেছে কয়েকটি পরিবার আর বাকীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে বিদ্যুৎতের চাহিদা মেটায়। সারাদিন রোদে সোলার ফেলে রাখে সন্ধ্যা নামলে তা ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে যায়। মোবাইল চার্জ দেওয়া ও রাতে বাল্প জ্বালানো সবই সোলারের মাধ্যমে করে থাকে।

back to top