চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সবুজে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়েই এখন সবুজের সমারোহ। বোরো ধানের শিষে দোল খাচ্ছে কৃষকের বুকভরা স্বপ্ন। ধান গাছের সবুজ পাতা আর কাঁচা শিষ দেখে আনন্দে ভরে উঠেছে কৃষকের মন।
ক’দিন পরেই ধানের সবুজ গাছ এবং কাঁচা শিষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শিষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষক-কৃষাণীর শূন্য গোলা।
যথা সময়ে জমিতে সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বোয়ালখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আমুচিয়া, শ্রীপুর খরণদ্বীপ, করলডেঙ্গা, সারোয়াতলি ও শাকপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি খেতে শিষ উঁকি দিচ্ছে। কৃষকরা ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।
এবার ১৬ একর জমিতে হাইব্রিড ৯৬, ৬৭, ১০০ এবং নতুন (১০৮) জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছেন আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শিষ বের হয়েছে। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
একই কথা জানিয়েছেন কৃষক অমিয় বড়ুয়া, তৈয়ব চৌধুরী, মো. ইছাক, মফিজুল হক, নুনু বড়ুয়া ও এ্যান্থন বড়ুয়া।
তারা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি ধান কাটা শুরু হবে। তখন পূরণ হবে কৃষকের স্বপ্ন।
সারোয়াতলি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লক্ষণ কুমার কারণ বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো আতিক উল্লাহ বলেন, সঠিক সময়ে চারা লাগানো, যথাসময়ে সেচ দেয়া, নিবিড় পরিচর্যা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বোয়ালখালীতে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
পোকামাকড় আক্রমণ না করে এমন ধান লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। চলতি বছরে ধানে তেমন রোগবালাই নেই বল্লেই চলে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সবুজে ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়েই এখন সবুজের সমারোহ। বোরো ধানের শিষে দোল খাচ্ছে কৃষকের বুকভরা স্বপ্ন। ধান গাছের সবুজ পাতা আর কাঁচা শিষ দেখে আনন্দে ভরে উঠেছে কৃষকের মন।
ক’দিন পরেই ধানের সবুজ গাছ এবং কাঁচা শিষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শিষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। মাঠ ভরা ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষক-কৃষাণীর শূন্য গোলা।
যথা সময়ে জমিতে সার, কীটনাশক প্রয়োগ ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে ইরি-বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বোয়ালখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আমুচিয়া, শ্রীপুর খরণদ্বীপ, করলডেঙ্গা, সারোয়াতলি ও শাকপুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বোরো ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি খেতে শিষ উঁকি দিচ্ছে। কৃষকরা ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।
এবার ১৬ একর জমিতে হাইব্রিড ৯৬, ৬৭, ১০০ এবং নতুন (১০৮) জাতের বোরো ধানের আবাদ করেছেন আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো. আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, ধানের সবল-সতেজ চারা এবং শিষ বের হয়েছে। কোন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
একই কথা জানিয়েছেন কৃষক অমিয় বড়ুয়া, তৈয়ব চৌধুরী, মো. ইছাক, মফিজুল হক, নুনু বড়ুয়া ও এ্যান্থন বড়ুয়া।
তারা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতা ও পরামর্শে চাষাবাদকৃত ইরি-বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি ধান কাটা শুরু হবে। তখন পূরণ হবে কৃষকের স্বপ্ন।
সারোয়াতলি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লক্ষণ কুমার কারণ বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। তাই এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো আতিক উল্লাহ বলেন, সঠিক সময়ে চারা লাগানো, যথাসময়ে সেচ দেয়া, নিবিড় পরিচর্যা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বোয়ালখালীতে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
পোকামাকড় আক্রমণ না করে এমন ধান লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। চলতি বছরে ধানে তেমন রোগবালাই নেই বল্লেই চলে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে ধান কাটা শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।