কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন এক ঠিকাদারকে ফোন করে ‘জিলাপি খাওয়ার’ আবদার জানানোয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ঠিকাদার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সংগঠক আফজাল হুসাইন শান্তর সঙ্গে ওসির ফোনালাপ ফাঁস হয়। অডিওতে ওসিকে ঠিকাদারকে বলতে শোনা যায়—“সেফটি সিকিউরিটি দিলাম তো সারা জীবন; তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকেরে খাওয়ালে না। … আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগে জিলাপি খাওয়াইতাম।”
তিনি আরও বলেন, “ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইব; এক প্যাঁচ, আধা প্যাঁচ দিলেই হইব।”
ফোনালাপে ঠিকাদার শান্ত তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, “বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখবনে।”
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার আফজাল হুসাইন শান্ত জানান, তিনি বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ পান। কাজ শেষ হওয়ার পর থানায় গেলে ওসি একাধিকবার জিলাপি খাওয়ানোর জন্য টাকা চেয়েছিলেন। পরে ফোনে আলাপের সময়ও একই দাবি জানানোয় তা রেকর্ড করেন।
তিনি বলেন, “সরকারি কাজের টেন্ডারে অংশ নিয়ে আমি কাজ পেয়েছি। একজন ওসি যদি আমার কাছে জিলাপি খাওয়ার কথা বলেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কেমন নিরাপত্তা পাবে?”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে বলেন, “এটা শুধু অনৈতিক নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি মজার ছলে কথা বলেছি। সিরিয়াস কিছু না।”
তবে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন এক ঠিকাদারকে ফোন করে ‘জিলাপি খাওয়ার’ আবদার জানানোয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ঠিকাদার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সংগঠক আফজাল হুসাইন শান্তর সঙ্গে ওসির ফোনালাপ ফাঁস হয়। অডিওতে ওসিকে ঠিকাদারকে বলতে শোনা যায়—“সেফটি সিকিউরিটি দিলাম তো সারা জীবন; তোমরা যে ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলা, ১০ টাকার জিলাপি কিনে তো পাবলিকেরে খাওয়ালে না। … আমি হইলে সুদের উপরে টাকা আইনা আগে জিলাপি খাওয়াইতাম।”
তিনি আরও বলেন, “ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইব; এক প্যাঁচ, আধা প্যাঁচ দিলেই হইব।”
ফোনালাপে ঠিকাদার শান্ত তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, “বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখবনে।”
এ প্রসঙ্গে ঠিকাদার আফজাল হুসাইন শান্ত জানান, তিনি বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ পান। কাজ শেষ হওয়ার পর থানায় গেলে ওসি একাধিকবার জিলাপি খাওয়ানোর জন্য টাকা চেয়েছিলেন। পরে ফোনে আলাপের সময়ও একই দাবি জানানোয় তা রেকর্ড করেন।
তিনি বলেন, “সরকারি কাজের টেন্ডারে অংশ নিয়ে আমি কাজ পেয়েছি। একজন ওসি যদি আমার কাছে জিলাপি খাওয়ার কথা বলেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কেমন নিরাপত্তা পাবে?”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন এই ঘটনার তদন্ত দাবি করে বলেন, “এটা শুধু অনৈতিক নয়, ক্ষমতার অপব্যবহার।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মনোয়ার হোসেন বলেন, “আমি মজার ছলে কথা বলেছি। সিরিয়াস কিছু না।”
তবে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”