ইজারার টাকা আদায়ে বাঁধা! নৌচ্যানেল প্রায় ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ ক্ষতির মূখে।
জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থেকে পাবনা জেলার পাকশী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌ চ্যানেলটির ইজারা নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী মো. আবু সাঈদ খান। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর ২৭ অনুচ্ছেদ এর “ক” ধারা মোতাবেক, ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি এক বছরের জন্য এই ইজারা নিয়েছেন। এছাড়াও ভ্যাট ও আয়কর ৭৫ লাখ টাকা, সেই হিসেবে মোট ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ইজারার মেয়াদ নির্ধারিত হয়। যার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএর তৎকালীন আরিচা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. মামুন অর রশীদ। তবে বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ নৌপথে সুনির্দিষ্ট সীমানা চিহ্ন না দেওয়া, নিরাপত্তার অভাব ও প্রশাসনিক জটিলতায় শুরু থেকেই ইজারাদার টাকা আদায় করতে চরম অসুবিধায় পড়তে হয় ইজারাদারকে।
সংশ্লিষ্টমহলের মতে, সরকারি নিয়ম মেনে বৈধভাবে কাজ করেও ভোগান্তিতে পড়েন, তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে গোয়ালন্দ-পাকশী নৌ চ্যানেলে সীমানা চিহ্ন না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন নৌযানগুলো। তারা প্রতিদিন সরকারি লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত গোয়ালন্দ-পাকশী নৌচ্যানেলে চলাচল করছেন।
গোয়ালন্দ-পাকশী নৌচ্যানেল ইজারাদার মো. আবু সাঈদ খান বলেন, আমি ৩ কোটি, ৭৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি, কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে আমার অর্ধেক টাকা তোলা সম্ভব হয়নি। ৫ আগষ্টের পর টানা ৩ মাস ইজারার টাকা আদায় সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বর্তমান বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ আজও পর্যন্ত আমার সীমানা নির্ধারণ বুঝে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, পাকশী থেকে গোয়ালন্দ নৌচ্যানেলের গোয়ালন্দ-ধাওয়াপাড়া-শিলাইদহ-পাকশী পর্যন্ত কমপক্ষে ৪টি পন্টুন প্রয়োজন। কিন্ত বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ আমাকে একটিও পন্টুন দেয়নি। এই অবস্থায় আমি ব্যবসায়িকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, নদীতে নেই কোনো সীমানা চিহ্ন, নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, ফলে নৌযান থেকে চার্জ আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ আমি সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনেই কাজ করছি। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক সেলিম শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ইজারা দেওয়ার সকল প্রকার নিয়ম মেনে দেওয়া হয়েছে।
ইজারা দেওয়ার শর্তগুলোও শত ভাগ পূরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, চুক্তিপত্রে ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কোন পন্টুন দেওয়ার শর্ত ছিল না। যে কারণে তাদের কোন পন্টুন দেওয়া হয়নি। আর টেন্ডার অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়। সুতরাং ইজারাদাকে গোয়ালন্দ-পাকশী নৌ চ্যানেলটি চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
ইজারার টাকা আদায়ে বাঁধা! নৌচ্যানেল প্রায় ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ ক্ষতির মূখে।
জানা যায়, রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থেকে পাবনা জেলার পাকশী পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নৌ চ্যানেলটির ইজারা নিয়েছিলেন ব্যবসায়ী মো. আবু সাঈদ খান। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর ২৭ অনুচ্ছেদ এর “ক” ধারা মোতাবেক, ৩ কোটি টাকার বিনিময়ে তিনি এক বছরের জন্য এই ইজারা নিয়েছেন। এছাড়াও ভ্যাট ও আয়কর ৭৫ লাখ টাকা, সেই হিসেবে মোট ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ইজারার মেয়াদ নির্ধারিত হয়। যার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএর তৎকালীন আরিচা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মো. মামুন অর রশীদ। তবে বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ নৌপথে সুনির্দিষ্ট সীমানা চিহ্ন না দেওয়া, নিরাপত্তার অভাব ও প্রশাসনিক জটিলতায় শুরু থেকেই ইজারাদার টাকা আদায় করতে চরম অসুবিধায় পড়তে হয় ইজারাদারকে।
সংশ্লিষ্টমহলের মতে, সরকারি নিয়ম মেনে বৈধভাবে কাজ করেও ভোগান্তিতে পড়েন, তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আর এমন ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এদিকে গোয়ালন্দ-পাকশী নৌ চ্যানেলে সীমানা চিহ্ন না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন নৌযানগুলো। তারা প্রতিদিন সরকারি লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত গোয়ালন্দ-পাকশী নৌচ্যানেলে চলাচল করছেন।
গোয়ালন্দ-পাকশী নৌচ্যানেল ইজারাদার মো. আবু সাঈদ খান বলেন, আমি ৩ কোটি, ৭৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি, কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে আমার অর্ধেক টাকা তোলা সম্ভব হয়নি। ৫ আগষ্টের পর টানা ৩ মাস ইজারার টাকা আদায় সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বর্তমান বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ আজও পর্যন্ত আমার সীমানা নির্ধারণ বুঝে দেয়নি। তিনি আরো বলেন, পাকশী থেকে গোয়ালন্দ নৌচ্যানেলের গোয়ালন্দ-ধাওয়াপাড়া-শিলাইদহ-পাকশী পর্যন্ত কমপক্ষে ৪টি পন্টুন প্রয়োজন। কিন্ত বিআইডব্লিউটিএর কর্তৃপক্ষ আমাকে একটিও পন্টুন দেয়নি। এই অবস্থায় আমি ব্যবসায়িকভাবে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, নদীতে নেই কোনো সীমানা চিহ্ন, নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, ফলে নৌযান থেকে চার্জ আদায়ের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ আমি সরকার নির্ধারিত নিয়ম মেনেই কাজ করছি। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা নদী বন্দরের উপ-পরিচালক সেলিম শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ইজারা দেওয়ার সকল প্রকার নিয়ম মেনে দেওয়া হয়েছে।
ইজারা দেওয়ার শর্তগুলোও শত ভাগ পূরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, চুক্তিপত্রে ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কোন পন্টুন দেওয়ার শর্ত ছিল না। যে কারণে তাদের কোন পন্টুন দেওয়া হয়নি। আর টেন্ডার অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়া হয়। সুতরাং ইজারাদাকে গোয়ালন্দ-পাকশী নৌ চ্যানেলটি চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।