alt

সারাদেশ

চাটমোহরে বিখ্যাত চড়ক পূজা

প্রতিনিধি, চাটমোহর (পাবনা) : মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

গত রবিবার থেকে চলনবিলের বড়াল নদীর পাড়ে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় উপ মহাদেশের বিখ্যাত চড়ক পূজা ও মেলা শুর হয়েছিলো। মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) চড়ক গাছ ঘোরানো এবং দুপুরে মরা বড়াল নদীতে মহাদেব প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনব্যপী ঐতিহাসিক চড়ক পূজা । ঐতিহাসিক সভ্যতা নিয়ে কেউ কোন চিন্তা না করলেও এই চড়ক উৎসব অবিভক্ত বাংলার ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের মনে বেশ নাড়া দেয়। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনে মরা বড়াল নদীর তীরের বোঁথড় গ্রামটি হয়ে ওঠে তীর্থ ক্ষেত্রের কেন্দ্র বিন্দুতে।

সিন্ধু সভ্যতা থেকেই বোঁথড়ের এই চড়ক পূজা চলে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মুক্তির বার্তা নিয়ে মহাদেবের আবির্ভাব হয়। সে সময় উচ্চবর্ণ হিন্দু দ্বারা নিম্নবর্ণ হিন্দু নিগৃহীত হতো। ব্রাহ্মন্যবাদের বিলোপ ঘটলে বর্ণ হিন্দুরাও এতে সম্পৃক্ত হয়। রুপ নেয় সার্বজনীনতায়। মূলতঃ এ পূজার প্রচলন হয় বান রাজার আমল থেকে। শ’ শ’ বছর ধরে এই পূজা চলছে। ২২ শে চৈত্র সন্ধ্যয় পাঠ ঠাকুরের পাঠে ধুপ দিয়েই শুরু হয় পূজানুষ্ঠান। বোঁথড় শিব মন্দির থেকে পাঠ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ি বাড়ি। এই পর্বকে বলা হয় পাঠ মাল বা গ্রস্ত। ২৬ ও ২৭ চৈত্র মাঝ রাত থেকে ফুলভাঙ্গা ও কালী নাচ শুরু হয়। তারপর মহাদেব প্রতিমা আসনে অবস্থান নেয়। মেলা শুরু হয় চৈত্র মাসের শেষ দু’দিন থেকে। আগে মেলা হতো পুরো বৈশাখ মাস ব্যাপি। এখন হয় মাত্র তিন দিন। শেষ দিনের গোধুলী লগ্নে চড়ক গাছ আনুষ্ঠানিক ভাবে পোঁতা হয়। এর আগে চড়ক গাছে পূজা দেয়া হয় ফুল, দুধ ও চিনি দিয়ে। ভুমিকম্পে বিধস্ত হলে ১২৫২ সালে বোঁথড় শিব মন্দির পুনঃসংস্কার করা হয়। এই শিব মন্দিরের বড়ো কষ্টি পাথরের মহাদেব মুর্তিটি ১৯৮৪ সালে চুরি হয়ে গেলে ১৯৯০ সালে তা পনুঃস্থাপন করা হয়। দোল বাড়িতে মহাদেব আসনে তোলা হয় ২৮ চৈত্র। ৭ বৈশাখ নামানো হয়। ১৩ জন প্রধান বৃত্তাকে ৬ দিন উপোষ করতে হয়।

বোঁথড় একটি গ্রাম। চাটমোহর উপজেলা সদরের বড়াল নদীর ওপারের এই গ্রামটি নিয়ে রয়েছে নান উপখ্যান। সিন্ধু সভ্যতার গোড়া থেকেই গ্রামটিতে জনবসতি গড়ে উঠে। চৈত্র মাসে শেষ সপ্তাহে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে বোঁথড় গ্রাম। দেশ-বিদেশের বহু আত্মীয়-স্বজন আসে এই মেলায়। নতুন পুরাতন সব জামাইকে আনতে হতো চলনবিল এলাকার এই মেলার সময়। কি হিন্দু, কি মুসলমান, কি খ্রিষ্টান প্রতিটি পরিবারে ছিল একই নিয়ম। মাত্র দু’যুগ আগেও এটি ছিল অত্র এলাকার একটি রেওয়াজ। আত্মীয়-স্বজনে ভরে যেত পার্শবর্তী গ্রাম গুলো। এমন একটি জিনিস ছিল না যা মিলতো না বোঁথড় মেলায়? এ প্রশ্ন এখন পুরানো মানুষদের। প্রায় ১৩ হাত দৈর্ঘ্য শাল গাছটি চড়ক গাছ নামে পরিচিত। তেল মর্দন করতে করতে গাছটি এখন কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। ৮ দিন ব্যাপি দুধ, চিনি, ফুল দেয় এতে পূজারিরা। ছাত্র/ছাত্রীরা পূজা দেয় ভালো ফলাফলের আশায়। যুবতীরা পূজা দেয় ভালো বিয়ে বা বরের প্রত্যাশায়। চড়ক গাছটির গায়ে রয়েছে গরুর ক্ষুরের চিহ্ন এবং কোঁচের (মাছ ধরার ফলা ধরনের) চিহ্ন। এ ব্যাপারে পূজারিদের ধারনা বা বিশ্বাস গাছটি যখন জলে ডুবিয়ে রাখা হয় তখন সেটি জড় পদার্থ থাকে না, জীবন্ত অবস্থায় চড়ক গাছ গজার মাছের আকার ধারণ করে জলে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায়। এ সময়ে মাছ বলে কেউ কোঁচ মারায় এ স্থায়ী চিহ্ন হয়ে গেছে। সুতর ও জেলেরাই এ সব কারণে প্রথম পূজো করে।

হাজার হাজার ভক্ত বাতাসা ছিটায় মঙ্গলার্থে। কেউ মানুষকে জলপান করায়। কেউ করে আতিথীয়তা। মানসা হয় ভক্তদের পক্ষ থেকে। মাথার চুলের জট কাটা হয়, উপোস করে কেউ কেউ। পাঠাবলি, ভরন নাচ, হাজরা নাচ, আরও কতো কি। এখনো বোঁথড়ের স্নানের মেলায় যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ঠিক আছে। শুধু কমেছে মেলার লোকোৎসব মাত্রিক জৌলুস। আগে সন্ন্যাসীর পিঠে বড়শী বিধিয়ে চড়ক গাছে তুলে ঘুরানো হতো। এখন বড়শী না বিধিয়ে ঘুরানো হয়। এ দৃশ্য দেখার জন্য এখনো সন্ধ্যয় মানুষের ঢল নামে। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একদা হিন্দু-মুসলমান-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যে সম্প্রীতি লক্ষ্য করে গেছে, এখন আর তেমন নেই। নাগরদোল, পুতুল নাচ, যাদু প্রদর্শনী, যাত্রা পালা, সার্কাস, গানের আসরসহ বাঙ্গালী লোক সাংস্কৃতির বৃহৎ আসর বসতো এই চড়ক মেলাকে কেন্দ্র করে। এখন সে সব ইতিহাস মাত্র! তবে মেলা উপলক্ষে এখনও দেশ-বিদেশ থেকে বহু ধর্মপ্রাণ হিন্দু আসেন চাটমেহর। উৎসব মুখর হয়ে ওঠে মেলার আশপাশের গ্রাম গুলো। সম্প্রতি বোঁথড় মহাদেব মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা ও সার্বক্ষণিক নজরদারী ছিলো ।

সন্তান বিক্রি করে স্বর্ণ ও মোবাইল ক্রয় করল মা

গৌরনদীতে গণপিটুনিতে আহত যুবকের মৃত্যু

রাউজানে রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

বোয়ালমারীতে বালুমহালের ইজারা ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে সংঘর্ষ, আহত ২

মোল্লাহাটে দেশীয় অস্ত্র ও মোটরসাইকেলসহ ২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ছবি

সড়কের গাইডওয়াল খুলে নিজ পুকুরে ব্যবহার করার অভিযোগ পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

স্ত্রীর পুতার আঘাতে স্বামীর মৃত্যু

দুই জেলায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু

৫ জেলায় সড়কে নিহত ১০

দুই জেলায় ২ মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল কার্টনের গুদাম

সদর হাসপাতালে দেড় মাস ধরে বন্ধ এক্স-রে সেবা

স্কুলছাত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন

প্রেমের ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রেমিক আটক

ভারতে অনুপ্রবেশকালে দুই বাংলাদেশি আটক

মেজর পরিচয় দেয়া প্রতারক আটক

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, কিশোর গ্রেপ্তার

মাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার

বড় ভাইয়ের হাতুড়ির আঘাতে ছোট ভাই নিহত

ছবি

পৌরসভার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে আবর্জনা পুড়িয়ে বিষ ছড়ায় স্কেইট

মুন্সীগঞ্জে স্ত্রীকে খুন করে সন্তান নিয়ে উধাও

সুনামগঞ্জে বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির দাবি

বর্ষবরণ বিতর্কে জড়ালেন বেতাগীর ইউএনও

ছবি

মৌলভীবাজারে কৃষিজমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছেই

ভোলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ধ্বংস

কুড়িগ্রামে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গ্রেপ্তার

ছবি

বদলগাছীতে বীজ ও সার বিতরণ

মির্জাগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

সাতক্ষীরায় তিন বছরে ৭৭ হাজার টন বাগদা চিংড়ি উৎপাদন

ছবি

মহাদেবপুরে ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন ও বিক্রি

আমদানি বন্ধের অজুহাত বেড়েছে চালের দাম, বিপাকে পাইকাররা

ছবি

কেশবপুরে বিল সেচে বোরো আবাদ

শেরপুর কারাগারের পলাতক আসামি টঙ্গীতে গ্রেপ্তার

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীর স্বপ্ন ছাই

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক

এলজিইডি দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িত ৫ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

tab

সারাদেশ

চাটমোহরে বিখ্যাত চড়ক পূজা

প্রতিনিধি, চাটমোহর (পাবনা)

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

গত রবিবার থেকে চলনবিলের বড়াল নদীর পাড়ে পাবনার চাটমোহর উপজেলায় উপ মহাদেশের বিখ্যাত চড়ক পূজা ও মেলা শুর হয়েছিলো। মঙ্গলবার (১৫এপ্রিল) চড়ক গাছ ঘোরানো এবং দুপুরে মরা বড়াল নদীতে মহাদেব প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তিন দিনব্যপী ঐতিহাসিক চড়ক পূজা । ঐতিহাসিক সভ্যতা নিয়ে কেউ কোন চিন্তা না করলেও এই চড়ক উৎসব অবিভক্ত বাংলার ধর্মপ্রাণ হিন্দুদের মনে বেশ নাড়া দেয়। চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনে মরা বড়াল নদীর তীরের বোঁথড় গ্রামটি হয়ে ওঠে তীর্থ ক্ষেত্রের কেন্দ্র বিন্দুতে।

সিন্ধু সভ্যতা থেকেই বোঁথড়ের এই চড়ক পূজা চলে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মুক্তির বার্তা নিয়ে মহাদেবের আবির্ভাব হয়। সে সময় উচ্চবর্ণ হিন্দু দ্বারা নিম্নবর্ণ হিন্দু নিগৃহীত হতো। ব্রাহ্মন্যবাদের বিলোপ ঘটলে বর্ণ হিন্দুরাও এতে সম্পৃক্ত হয়। রুপ নেয় সার্বজনীনতায়। মূলতঃ এ পূজার প্রচলন হয় বান রাজার আমল থেকে। শ’ শ’ বছর ধরে এই পূজা চলছে। ২২ শে চৈত্র সন্ধ্যয় পাঠ ঠাকুরের পাঠে ধুপ দিয়েই শুরু হয় পূজানুষ্ঠান। বোঁথড় শিব মন্দির থেকে পাঠ নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ি বাড়ি। এই পর্বকে বলা হয় পাঠ মাল বা গ্রস্ত। ২৬ ও ২৭ চৈত্র মাঝ রাত থেকে ফুলভাঙ্গা ও কালী নাচ শুরু হয়। তারপর মহাদেব প্রতিমা আসনে অবস্থান নেয়। মেলা শুরু হয় চৈত্র মাসের শেষ দু’দিন থেকে। আগে মেলা হতো পুরো বৈশাখ মাস ব্যাপি। এখন হয় মাত্র তিন দিন। শেষ দিনের গোধুলী লগ্নে চড়ক গাছ আনুষ্ঠানিক ভাবে পোঁতা হয়। এর আগে চড়ক গাছে পূজা দেয়া হয় ফুল, দুধ ও চিনি দিয়ে। ভুমিকম্পে বিধস্ত হলে ১২৫২ সালে বোঁথড় শিব মন্দির পুনঃসংস্কার করা হয়। এই শিব মন্দিরের বড়ো কষ্টি পাথরের মহাদেব মুর্তিটি ১৯৮৪ সালে চুরি হয়ে গেলে ১৯৯০ সালে তা পনুঃস্থাপন করা হয়। দোল বাড়িতে মহাদেব আসনে তোলা হয় ২৮ চৈত্র। ৭ বৈশাখ নামানো হয়। ১৩ জন প্রধান বৃত্তাকে ৬ দিন উপোষ করতে হয়।

বোঁথড় একটি গ্রাম। চাটমোহর উপজেলা সদরের বড়াল নদীর ওপারের এই গ্রামটি নিয়ে রয়েছে নান উপখ্যান। সিন্ধু সভ্যতার গোড়া থেকেই গ্রামটিতে জনবসতি গড়ে উঠে। চৈত্র মাসে শেষ সপ্তাহে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে বোঁথড় গ্রাম। দেশ-বিদেশের বহু আত্মীয়-স্বজন আসে এই মেলায়। নতুন পুরাতন সব জামাইকে আনতে হতো চলনবিল এলাকার এই মেলার সময়। কি হিন্দু, কি মুসলমান, কি খ্রিষ্টান প্রতিটি পরিবারে ছিল একই নিয়ম। মাত্র দু’যুগ আগেও এটি ছিল অত্র এলাকার একটি রেওয়াজ। আত্মীয়-স্বজনে ভরে যেত পার্শবর্তী গ্রাম গুলো। এমন একটি জিনিস ছিল না যা মিলতো না বোঁথড় মেলায়? এ প্রশ্ন এখন পুরানো মানুষদের। প্রায় ১৩ হাত দৈর্ঘ্য শাল গাছটি চড়ক গাছ নামে পরিচিত। তেল মর্দন করতে করতে গাছটি এখন কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। ৮ দিন ব্যাপি দুধ, চিনি, ফুল দেয় এতে পূজারিরা। ছাত্র/ছাত্রীরা পূজা দেয় ভালো ফলাফলের আশায়। যুবতীরা পূজা দেয় ভালো বিয়ে বা বরের প্রত্যাশায়। চড়ক গাছটির গায়ে রয়েছে গরুর ক্ষুরের চিহ্ন এবং কোঁচের (মাছ ধরার ফলা ধরনের) চিহ্ন। এ ব্যাপারে পূজারিদের ধারনা বা বিশ্বাস গাছটি যখন জলে ডুবিয়ে রাখা হয় তখন সেটি জড় পদার্থ থাকে না, জীবন্ত অবস্থায় চড়ক গাছ গজার মাছের আকার ধারণ করে জলে যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায়। এ সময়ে মাছ বলে কেউ কোঁচ মারায় এ স্থায়ী চিহ্ন হয়ে গেছে। সুতর ও জেলেরাই এ সব কারণে প্রথম পূজো করে।

হাজার হাজার ভক্ত বাতাসা ছিটায় মঙ্গলার্থে। কেউ মানুষকে জলপান করায়। কেউ করে আতিথীয়তা। মানসা হয় ভক্তদের পক্ষ থেকে। মাথার চুলের জট কাটা হয়, উপোস করে কেউ কেউ। পাঠাবলি, ভরন নাচ, হাজরা নাচ, আরও কতো কি। এখনো বোঁথড়ের স্নানের মেলায় যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা ঠিক আছে। শুধু কমেছে মেলার লোকোৎসব মাত্রিক জৌলুস। আগে সন্ন্যাসীর পিঠে বড়শী বিধিয়ে চড়ক গাছে তুলে ঘুরানো হতো। এখন বড়শী না বিধিয়ে ঘুরানো হয়। এ দৃশ্য দেখার জন্য এখনো সন্ধ্যয় মানুষের ঢল নামে। এ মেলাকে কেন্দ্র করে একদা হিন্দু-মুসলমান-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে যে সম্প্রীতি লক্ষ্য করে গেছে, এখন আর তেমন নেই। নাগরদোল, পুতুল নাচ, যাদু প্রদর্শনী, যাত্রা পালা, সার্কাস, গানের আসরসহ বাঙ্গালী লোক সাংস্কৃতির বৃহৎ আসর বসতো এই চড়ক মেলাকে কেন্দ্র করে। এখন সে সব ইতিহাস মাত্র! তবে মেলা উপলক্ষে এখনও দেশ-বিদেশ থেকে বহু ধর্মপ্রাণ হিন্দু আসেন চাটমেহর। উৎসব মুখর হয়ে ওঠে মেলার আশপাশের গ্রাম গুলো। সম্প্রতি বোঁথড় মহাদেব মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এই মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা ও সার্বক্ষণিক নজরদারী ছিলো ।

back to top