গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাদগাতী গ্রামে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের এক নিদর্শন আড়াইশ বছরের পুরনো ১৩ গম্বুজবিশিষ্ট একটি জামে মসজিদ। মোগল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটির দেয়ালে টেরাকোটার অপূর্ব নকশা, কারুকার্যময় মেহরাব, আর গম্বুজের প্রতিটি রেখায় ফুটে উঠেছে অতীতের ছোঁয়া। ৃতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানিয়ে দিচ্ছে এক গৌরবময় অতীতের কথা।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদগাতী গ্রামে দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ১৩ গম্বুজ বিশিষ্ট জামে মসজিদ। এতে কোনো ধরনের শিলালিপি না থাকায় ঐতিহাসিক এ মসজিদটির নির্মাণকাল নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মসজিদটিতে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদের আদলে কিছু কারুকার্য করা হয়েছে।
কারুকার্যময় মেহরাবসহ মোঘল আমলের নানা নিদর্শনও রয়েছে মসজিদটিতে। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক ১৩ গম্বুজ মসজিদটি আজও স্মৃতি বহন করছে। মসজিদ কমিটির উদ্যোগে ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মসজিদটি সৌন্দর্যবর্ধনসহ সংস্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, স্থানীয়দের উদ্যোগে এর সৌন্দর্যবর্ধন ও সংস্কার করা হয়েছে। তবে নির্মাণকাল নিয়ে নিশ্চিত কোনো শিলালিপি না থাকলেও, স্থানীয় মুরব্বিরা মনে করেন এটি মোগল আমলের স্থাপনা। বিশেষ কায়দায় তৈরি এই মসজিদে এখনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। পশ্চিম পাশে একটি ছোট দরজা রয়েছে, যেটি জানাজার সময় ব্যবহার করা হয়।
মসজিদের কয়েকজন মুসল্লী বলেন, এই মসজিদ শুধু নামাজের জায়গা না, এটা আমাদের ইতিহাস, গর্ব। জনসংখ্যা ও মুসল্লির সংখ্যা বাড়ায় মসজিদের সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি। আধুনিক অজুখানা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবি করেন তারা।
মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. হাবীবুর রহমান বলেন, স্থানীয় মুরব্বিদের ধারণা মতে মসজিদটি মোঘল আমলে স্থাপিক হয়েছে। এছাড়াও টেরাকেটা ও গম্বুজ মোঘল ও মুসলিম স্থাপত্যের একটি বৈশিষ্ট্য বলে জানান মসজিদের পেশ ইমাম।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মোহাম্মদ হোসেন আরমান বলেন, ‘এই গ্রামের আদি নাম ছিল শাহদেরগাঁও। শাহ অর্থ শাসক আর গাঁও অর্থ গ্রাম। এছাড়াও এই গ্রামে ছিল শাহ দের বসবাস। ধারণা কর হয় ওই সময় থেকেই এখানে মসজিদটি ছিল। মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার পর এটি শাহদেরগাঁও এর মিয়ারা ১৮ শতকের শেষ দিকে পূনরায় স্থাপন করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে মসজিদটি ৮টা গম্বুজ ছিল। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভারত থেকে মিস্ত্রি এনে আরও ৫টা গম্বুজ যোগ করা হয়। স্থাপত্য দেখে আমরা মনে করি মসজিদটির বয়স অন্তত আড়াইশ বছর।’
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাদগাতী গ্রামে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের এক নিদর্শন আড়াইশ বছরের পুরনো ১৩ গম্বুজবিশিষ্ট একটি জামে মসজিদ। মোগল স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মসজিদটির দেয়ালে টেরাকোটার অপূর্ব নকশা, কারুকার্যময় মেহরাব, আর গম্বুজের প্রতিটি রেখায় ফুটে উঠেছে অতীতের ছোঁয়া। ৃতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানিয়ে দিচ্ছে এক গৌরবময় অতীতের কথা।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাদগাতী গ্রামে দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ১৩ গম্বুজ বিশিষ্ট জামে মসজিদ। এতে কোনো ধরনের শিলালিপি না থাকায় ঐতিহাসিক এ মসজিদটির নির্মাণকাল নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মসজিদটিতে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদের আদলে কিছু কারুকার্য করা হয়েছে।
কারুকার্যময় মেহরাবসহ মোঘল আমলের নানা নিদর্শনও রয়েছে মসজিদটিতে। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহাসিক ১৩ গম্বুজ মসজিদটি আজও স্মৃতি বহন করছে। মসজিদ কমিটির উদ্যোগে ও এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মসজিদটি সৌন্দর্যবর্ধনসহ সংস্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, স্থানীয়দের উদ্যোগে এর সৌন্দর্যবর্ধন ও সংস্কার করা হয়েছে। তবে নির্মাণকাল নিয়ে নিশ্চিত কোনো শিলালিপি না থাকলেও, স্থানীয় মুরব্বিরা মনে করেন এটি মোগল আমলের স্থাপনা। বিশেষ কায়দায় তৈরি এই মসজিদে এখনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। পশ্চিম পাশে একটি ছোট দরজা রয়েছে, যেটি জানাজার সময় ব্যবহার করা হয়।
মসজিদের কয়েকজন মুসল্লী বলেন, এই মসজিদ শুধু নামাজের জায়গা না, এটা আমাদের ইতিহাস, গর্ব। জনসংখ্যা ও মুসল্লির সংখ্যা বাড়ায় মসজিদের সম্প্রসারণ এখন সময়ের দাবি। আধুনিক অজুখানা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগে অন্তর্ভুক্তির দাবি করেন তারা।
মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. হাবীবুর রহমান বলেন, স্থানীয় মুরব্বিদের ধারণা মতে মসজিদটি মোঘল আমলে স্থাপিক হয়েছে। এছাড়াও টেরাকেটা ও গম্বুজ মোঘল ও মুসলিম স্থাপত্যের একটি বৈশিষ্ট্য বলে জানান মসজিদের পেশ ইমাম।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মোহাম্মদ হোসেন আরমান বলেন, ‘এই গ্রামের আদি নাম ছিল শাহদেরগাঁও। শাহ অর্থ শাসক আর গাঁও অর্থ গ্রাম। এছাড়াও এই গ্রামে ছিল শাহ দের বসবাস। ধারণা কর হয় ওই সময় থেকেই এখানে মসজিদটি ছিল। মসজিদটি বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার পর এটি শাহদেরগাঁও এর মিয়ারা ১৮ শতকের শেষ দিকে পূনরায় স্থাপন করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে মসজিদটি ৮টা গম্বুজ ছিল। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভারত থেকে মিস্ত্রি এনে আরও ৫টা গম্বুজ যোগ করা হয়। স্থাপত্য দেখে আমরা মনে করি মসজিদটির বয়স অন্তত আড়াইশ বছর।’