গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : চরক গাছে বরশিতে ঝুলন্ত সাধু -সংবাদ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঐতিহ্য বাহী চড়ক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার বিকালে উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালী প্রেমচোন ফকিরের বাড়ির পাশের মাঠে এই চড়ক পূজা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
শরীরে বড়শি বিধিয়ে চরকিতে ঘোরানোর দৃশ্যটা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। তবে এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলার মূল আকর্ষন হলো পিঠে বড়শি গেঁথে চরকিতে ঘোরানো। এই মেলা দেখার জন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজবাড়ী ও আশেপাশের জেলার দূরদূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করেন এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে। তাছাড়া গ্রামীণ আবহমান বাংলার ঐতিহ্য বাহী এই মেলায় বিভিন্ন প্রকার খাবারের পাশাপাশি শিশুদের খেলনা ও গ্রামীণ তৈজসপত্র কিনতে অনেক দূরদূরান্ত থেকে আসে হাজার হাজার মানুষ।
সাধারণত প্রতি বছর চৈত্র মাসের শেষ দিনে এই মেলা ও পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিকেলের দিকে মূল পূজা শুরু হলে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। পূজার আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি কালী, শীতলা ও বুড়ি দেবীর পূজাও অনুষ্ঠিত হয়।
এবার চড়কিতে পিঠে বড়শি গেঁথে ঘোরানো হয়, জয় বিশ্বাস (২২) ও দেবদাস বিশ্বাস (২৪)। জানাযায় পিঠে বড়শী বেধে চড়কির সঙ্গে ঘুড়ানোর জন্য এই প্রক্রিয়া শুরু হয় এক বছর আগে থেকেই। আচার অনুযায়ী তারা আগেই উপবাস থেকে এই পবিত্র রীতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন।
বহু লোক এই দৃশ্য দেখতে ভিড় করে, অনেকের চোখে বিস্ময় আর আবেগের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।
মেলায় আগত দর্শনার্থী জয়দেব শংকর বলেন, আমি প্রতি বছরই এই মেলাতে আসি। শরীরে বড়শি বিধিয়ে চরকিতে ঘোরানোর দৃশ্যটা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। তবে এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। তিনি জানান, তার এলাকার মেলাগুলোতে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আচার দেখা যায় না।
কামনা বিশ্বাস জানান, প্রতিবছরের এত এবারও পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন এই ঐতিহ্যবাহী মেলা দেখতে। তার মতে, এই মেলার পরিবেশ বরাবরের এত প্রাণবন্ত এবং এবারও বিভিন্ন দোকানে প্রচুর কেনাকাটা করতে দেখা গেছে মানুষকে। অনেকেই শুধু এই বড়শি ঘোরানোর দৃশ্য দেখার জন্যই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।
সুজিত কুমার দাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই পূজা দেখছি। প্রতি বছর পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে আসি। এটা শুধু পূজা নয়, একটি সংস্কৃতি, যা হাজারো মানুষকে একত্র করে। তিনি জানান, ভগবানের কাছে সবার মঙ্গল কামনাই এই পূজার মূল বার্তা।
মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাদল বিশ্বাস বলেন, বড়শি বিধিয়ে যেসব ভক্ত চড়কে অংশ নেন, তারা পূজার আগে এক সপ্তাহ উপবাস করেন। এই মেলা রাজবাড়ী জেলার অন্যতম পুরাতন উৎসব এবং প্রতি বছর হাজারো দর্শনার্থীর আগমনে ভরে ওঠে এই এলাকাটি।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : চরক গাছে বরশিতে ঝুলন্ত সাধু -সংবাদ
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ঐতিহ্য বাহী চড়ক পূজা ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার বিকালে উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের কাটাখালী প্রেমচোন ফকিরের বাড়ির পাশের মাঠে এই চড়ক পূজা ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
শরীরে বড়শি বিধিয়ে চরকিতে ঘোরানোর দৃশ্যটা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। তবে এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই মেলার মূল আকর্ষন হলো পিঠে বড়শি গেঁথে চরকিতে ঘোরানো। এই মেলা দেখার জন্য স্থানীয়দের পাশাপাশি রাজবাড়ী ও আশেপাশের জেলার দূরদূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ভিড় করেন এই ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করতে। তাছাড়া গ্রামীণ আবহমান বাংলার ঐতিহ্য বাহী এই মেলায় বিভিন্ন প্রকার খাবারের পাশাপাশি শিশুদের খেলনা ও গ্রামীণ তৈজসপত্র কিনতে অনেক দূরদূরান্ত থেকে আসে হাজার হাজার মানুষ।
সাধারণত প্রতি বছর চৈত্র মাসের শেষ দিনে এই মেলা ও পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিকেলের দিকে মূল পূজা শুরু হলে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। পূজার আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি কালী, শীতলা ও বুড়ি দেবীর পূজাও অনুষ্ঠিত হয়।
এবার চড়কিতে পিঠে বড়শি গেঁথে ঘোরানো হয়, জয় বিশ্বাস (২২) ও দেবদাস বিশ্বাস (২৪)। জানাযায় পিঠে বড়শী বেধে চড়কির সঙ্গে ঘুড়ানোর জন্য এই প্রক্রিয়া শুরু হয় এক বছর আগে থেকেই। আচার অনুযায়ী তারা আগেই উপবাস থেকে এই পবিত্র রীতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেন।
বহু লোক এই দৃশ্য দেখতে ভিড় করে, অনেকের চোখে বিস্ময় আর আবেগের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়।
মেলায় আগত দর্শনার্থী জয়দেব শংকর বলেন, আমি প্রতি বছরই এই মেলাতে আসি। শরীরে বড়শি বিধিয়ে চরকিতে ঘোরানোর দৃশ্যটা শুনলেই গা শিউরে ওঠে। তবে এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। তিনি জানান, তার এলাকার মেলাগুলোতে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আচার দেখা যায় না।
কামনা বিশ্বাস জানান, প্রতিবছরের এত এবারও পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসেছেন এই ঐতিহ্যবাহী মেলা দেখতে। তার মতে, এই মেলার পরিবেশ বরাবরের এত প্রাণবন্ত এবং এবারও বিভিন্ন দোকানে প্রচুর কেনাকাটা করতে দেখা গেছে মানুষকে। অনেকেই শুধু এই বড়শি ঘোরানোর দৃশ্য দেখার জন্যই দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন।
সুজিত কুমার দাস বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই পূজা দেখছি। প্রতি বছর পরিবারের সবাইকে নিয়ে এখানে আসি। এটা শুধু পূজা নয়, একটি সংস্কৃতি, যা হাজারো মানুষকে একত্র করে। তিনি জানান, ভগবানের কাছে সবার মঙ্গল কামনাই এই পূজার মূল বার্তা।
মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাদল বিশ্বাস বলেন, বড়শি বিধিয়ে যেসব ভক্ত চড়কে অংশ নেন, তারা পূজার আগে এক সপ্তাহ উপবাস করেন। এই মেলা রাজবাড়ী জেলার অন্যতম পুরাতন উৎসব এবং প্রতি বছর হাজারো দর্শনার্থীর আগমনে ভরে ওঠে এই এলাকাটি।