অবশেষে আইনি জটিলতা ও জল্পনা-কল্পনা শেষে পবা উপজেলার হাটবাজার ইজারার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এবার মুক্ত পরিবেশে ইজারা টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন ইজারাদাররা। ফলে রেকর্ড সংখ্যক শিডিউল বিক্রির পাশাপাশি ইজারামূল্যও বেড়েছে প্রায় কয়েক গুণ। ১৬ এপ্রিল ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল। উপজেলার ১২টি হাটের বিপরীতে ৮৬টি দরপত্র ফরম বিক্রি হয়েছে যার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। সেই লক্ষ্যে গত বুধবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে দরপত্রের বক্স খোলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ। এসময় হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে উপজেলার ১২টি হাটের বিপরীতে ১০টি হাটের ইজারা চূড়ান্ত করা হয়। অবশিষ্ট রামচন্দ্রপুর ও বিলনেপালপাড়া হাট দুইটির বিপরীতে কোন দরপত্র বক্সে জমা হয়নি।
এতে দেখা যায়, হাটবাজার ইজারার ১ নম্বর তালিকায় থাকা দামকুড়া পশুহাটটি ১ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে জেলা বিএনপির সদস্য ও দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী পেয়েছেন, যা গত বছরের ইজারা মূল্যের চেয়ে প্রায় ৭৫ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকা বেশি। ১৬ বছর পর এই হাইটি পুনরায় চালু হলো।
এ বিষয়ে শাহজাহান আলী জানান, ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম দামকুড়া পশুহাটটি চালু হয়। কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের আমলে ২০০৮ সালের পর থেকে কৌশলে দামকুড়া পশুহাটটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। সপ্তাহে বুধবার ও রোববার এই দুইদিন নগরীর সিটি হাট ও দামকুড়া পশুহাট বসে। এই দুই হাটের বার একই হওয়ায় কৌশলে ইজারা নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল দামকুড়া পশুহাটটি। ফলে বিগত সরকারের সময় কাগজ কলমে সবকিছু ঠিক থাকলেও কৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছিল প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব থেকে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাটটি আমি ক্রয় করেছি। এর ফলে ১৬ বছর পর আবার চালু হবে বহুল কাঙ্খিত দামকুড়া পশুহাট। পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ বলেন, গত তিন বছরের বাজার দরের গড় হার এবং ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাজারের কাঙ্খিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেওয়ার সুযোগ নেই। বাজারের মূল্য যত বেশি হবে সরকার রাজস্ব তত বেশি পাবে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
অবশেষে আইনি জটিলতা ও জল্পনা-কল্পনা শেষে পবা উপজেলার হাটবাজার ইজারার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এবার মুক্ত পরিবেশে ইজারা টেন্ডারে অংশ নিয়েছেন ইজারাদাররা। ফলে রেকর্ড সংখ্যক শিডিউল বিক্রির পাশাপাশি ইজারামূল্যও বেড়েছে প্রায় কয়েক গুণ। ১৬ এপ্রিল ছিল দরপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল। উপজেলার ১২টি হাটের বিপরীতে ৮৬টি দরপত্র ফরম বিক্রি হয়েছে যার মূল্য প্রায় ২ লাখ টাকা। সেই লক্ষ্যে গত বুধবার বিকেল ৩টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে দরপত্রের বক্স খোলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ। এসময় হাটবাজার ইজারার দরপত্র মূল্যায়ন শেষে উপজেলার ১২টি হাটের বিপরীতে ১০টি হাটের ইজারা চূড়ান্ত করা হয়। অবশিষ্ট রামচন্দ্রপুর ও বিলনেপালপাড়া হাট দুইটির বিপরীতে কোন দরপত্র বক্সে জমা হয়নি।
এতে দেখা যায়, হাটবাজার ইজারার ১ নম্বর তালিকায় থাকা দামকুড়া পশুহাটটি ১ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকায় সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে জেলা বিএনপির সদস্য ও দামকুড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী পেয়েছেন, যা গত বছরের ইজারা মূল্যের চেয়ে প্রায় ৭৫ লাখ ১১ হাজার ১১১ টাকা বেশি। ১৬ বছর পর এই হাইটি পুনরায় চালু হলো।
এ বিষয়ে শাহজাহান আলী জানান, ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম দামকুড়া পশুহাটটি চালু হয়। কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের আমলে ২০০৮ সালের পর থেকে কৌশলে দামকুড়া পশুহাটটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। সপ্তাহে বুধবার ও রোববার এই দুইদিন নগরীর সিটি হাট ও দামকুড়া পশুহাট বসে। এই দুই হাটের বার একই হওয়ায় কৌশলে ইজারা নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর বন্ধ রাখা হয়েছিল দামকুড়া পশুহাটটি। ফলে বিগত সরকারের সময় কাগজ কলমে সবকিছু ঠিক থাকলেও কৌশলে বঞ্চিত করা হয়েছিল প্রায় অর্ধকোটি টাকার রাজস্ব থেকে। সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাটটি আমি ক্রয় করেছি। এর ফলে ১৬ বছর পর আবার চালু হবে বহুল কাঙ্খিত দামকুড়া পশুহাট। পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ বলেন, গত তিন বছরের বাজার দরের গড় হার এবং ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাজারের কাঙ্খিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত মূল্যের নিচে নেওয়ার সুযোগ নেই। বাজারের মূল্য যত বেশি হবে সরকার রাজস্ব তত বেশি পাবে।