alt

সারাদেশ

তিতাসে লতিকচু চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন কৃষক পলাশের

এমএ কাশেম ভূঁইয়া, তিতাস কুমিল্লা : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

কুমিল্লার তিতাসে লতিকচু চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ কৃষক পলাশ। তিনি উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের ঐচারচর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।

পলাশ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে নিরন্তর ফসলের মাঠে খেটে যাচ্ছেন, তবে মৌসুমি সবজি-কিংবা কৃষি ফসলে তেমন আশানুরূপ সুবিধা পাচ্ছিলেন না।

অনেক আশা নিয়ে এবার তিনি ঐচারচর গ্রামের উত্তর পাশে দেড় বিঘা জমিতে লতি কচুর আবাদ করে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন; দেখছেন ভাগ্য বদলের স্বপ্নও।

গত ডিসেম্বর মাসের দিকে তিনি জমিতে লতিকচুর চারা রোপণ করে শুরু করেন এই চাষবাদ। নিয়মিত আন্তঃপরিচর্যা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বর্তমানে তিনি তার ফসল বিক্রি করে এ পর্যন্ত পেয়েছেন প্রায় ১লক্ষ টাকা। জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার ও সেচসহ চাষের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে পলাশ নিজেই কাজ করে যাচ্ছেন কোন সহযোগী ছাড়া।

তিনি সবকিছুই করেছেন আত্ম বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে। তার এই সাফল্যে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঐচারচরের কৃষক মোঃ পলাশের জমিতে গেলে দেখা যায়, সে একাই লতি কচু তুলতেছে এবং আঁটি বাঁধতেছে। পাশেই দাঁড়ানো ছিলো স্থানীয় ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আহমেদ। পরিচর্যা, স্বপ্ন ও সাফল্য নিয়ে জানতে চাইলে

কৃষক মোঃ পলাশ মিয়া সংবাদের এই প্রতিবেদকে জানান, প্রতিদিন লতি কচু তুলছি, স্থানীয় বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। আর এই লতিকচু চাষে শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন আমাদের ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ কাউছার স্যার। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে সিজিন শেষে ৩-৪লাখ টাকা পাবো আশা করছি। সামনের বছর আরো বেশি জমিতে করার স্বপ্ন দেখছি।

তিতাস উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লতি কচু চাষ লাভজনক ও তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও পরিচর্যা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘পলাশের মতো উদ্যমী কৃষকদের আমরা সবসময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। তার এই সাফল্য অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সে অনেক পরিশ্রম করছে। সিজন শেষে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারণা করছি।”

ছবি

চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ৪৫ জনের

ছবি

চট্টগ্রামের রাউজানে প্রকাশ্যে গুলি, যুবদল কর্মী নিহত

ছবি

দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় গেলেন স্বামী

ছবি

গ্রেপ্তার অভিযানের ঘণ্টাখানেক পর খেত থেকে যুবদল নেতার লাশ উদ্ধার

ছবি

লালমনিরহাটে থানায় হামলার মামলায় মোট ১৪ জন গ্রেপ্তার

ছবি

চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাতে পাহাড়ধসের শঙ্কা, ৩ নম্বর সতর্কসংকেত বহাল

ছবি

উখিয়ায় পিতার হাতে চার বছরের শিশু খুনের অভিযোগ, গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে অবতরণের পর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়ে বন্ধ ২ ঘণ্টা

বৈদেশিক মুদ্রা ডাকাতি: একজন কারাগারে, রিমান্ডে ৫

আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত দুই ভাই

ছবি

‘দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে’—পুলিশ কমিশনারকে নারীর চিঠি

বাংলাদেশ লোকগবেষণা পরিষদের আত্মপ্রকাশ

সোনাইমুড়ীকে পৃথক নির্বাচনী আসন করার দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন

কমলগঞ্জে রোজিনা হত্যা মামলার আসামি ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার

মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ

ছবি

পুর্ব-সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা মাছসহ নৌকা আটক

চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানার লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি

ভোলায় নেত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, বিএনপির নেতা বহিষ্কার

বাগেরহাটে পানিতে পড়ে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

ভূমি খাজনা আদায়ে জেলার মধ্যে শীর্ষে সুমানগঞ্জের ছাতক

ছবি

মুন্সীগঞ্জের কাটাখালি খাল সংস্কারে চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দায় অনলাইন তীর জুয়াড়িদের গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে একে আজাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বাজারে লুটপাট-ভাঙচুর

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

নির্বিচারে গাছ কাটায় ভালুকায় হারিয়ে গেছে ৫০ প্রজাতির বৃক্ষলতা

ছবি

চিলমারীর তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু চলতি মাসের শেষে খুলে দেয়া হবে

ছবি

সুন্দরবনে কমেছে চোরা শিকারি ও বিষ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য

দৌলতপুরে অবৈধভাবে নদীর মাটি উত্তোলন করায় জরিমানা

ছবি

নদীতে ভেঙে যাওয়া চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পূর্বের গ্রামে প্রতিষ্ঠার দাবি

মীরসরাই প্রাথমিকে ১০৮ পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত

ছবি

চকরিয়ায় অভয়ারণ্য বনের গাছ কেটে পাকা বাড়ি তৈরির হিড়িক!

ছবি

মাদারীপুরে পানি প্রবাহে খাল খনন শুরু

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, নিহত ১

ফরিদপুরে বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার

tab

সারাদেশ

তিতাসে লতিকচু চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন কৃষক পলাশের

এমএ কাশেম ভূঁইয়া, তিতাস কুমিল্লা

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

কুমিল্লার তিতাসে লতিকচু চাষ করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তরুণ কৃষক পলাশ। তিনি উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের ঐচারচর গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।

পলাশ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে নিরন্তর ফসলের মাঠে খেটে যাচ্ছেন, তবে মৌসুমি সবজি-কিংবা কৃষি ফসলে তেমন আশানুরূপ সুবিধা পাচ্ছিলেন না।

অনেক আশা নিয়ে এবার তিনি ঐচারচর গ্রামের উত্তর পাশে দেড় বিঘা জমিতে লতি কচুর আবাদ করে ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন; দেখছেন ভাগ্য বদলের স্বপ্নও।

গত ডিসেম্বর মাসের দিকে তিনি জমিতে লতিকচুর চারা রোপণ করে শুরু করেন এই চাষবাদ। নিয়মিত আন্তঃপরিচর্যা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বর্তমানে তিনি তার ফসল বিক্রি করে এ পর্যন্ত পেয়েছেন প্রায় ১লক্ষ টাকা। জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার ও সেচসহ চাষের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে পলাশ নিজেই কাজ করে যাচ্ছেন কোন সহযোগী ছাড়া।

তিনি সবকিছুই করেছেন আত্ম বিশ্বাস ও নিষ্ঠার সঙ্গে। তার এই সাফল্যে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও উৎসাহ সৃষ্টি করেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঐচারচরের কৃষক মোঃ পলাশের জমিতে গেলে দেখা যায়, সে একাই লতি কচু তুলতেছে এবং আঁটি বাঁধতেছে। পাশেই দাঁড়ানো ছিলো স্থানীয় ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আহমেদ। পরিচর্যা, স্বপ্ন ও সাফল্য নিয়ে জানতে চাইলে

কৃষক মোঃ পলাশ মিয়া সংবাদের এই প্রতিবেদকে জানান, প্রতিদিন লতি কচু তুলছি, স্থানীয় বাজারে ভালো দামে বিক্রি করতে পারছি। আর এই লতিকচু চাষে শুরু থেকে এ পর্যন্ত আমাকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছেন আমাদের ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ কাউছার স্যার। সব কিছু ঠিক-ঠাক থাকলে সিজিন শেষে ৩-৪লাখ টাকা পাবো আশা করছি। সামনের বছর আরো বেশি জমিতে করার স্বপ্ন দেখছি।

তিতাস উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, লতি কচু চাষ লাভজনক ও তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ ও পরিচর্যা থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

স্থানীয় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. কাউছার আহমেদ সংবাদকে বলেন, ‘পলাশের মতো উদ্যমী কৃষকদের আমরা সবসময় পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। তার এই সাফল্য অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সে অনেক পরিশ্রম করছে। সিজন শেষে কয়েক লাখ টাকা আয় হবে বলে ধারণা করছি।”

back to top