যশোর : পৌরসভার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ভেতর ময়লার স্তূপে ধরানো আগুনের ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী -সংবাদ
যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরে পৌরসভার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতর ময়লার স্তূপে ধরানো আগুনের ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন পার্শ্বর্তী বাসিন্দারা। ময়লা পোড়া ধোঁয়ার কটু গন্ধ বাসাবাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ায় প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছে নারী-শিশু ও বয়স্করা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের বেলাতেও প্লান্টের ভেতর ময়লা পোড়ানো হয়। তবে সেটির পরিমাণ অল্প। তাদের ভাষ্য, সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ময়লা পোড়ানো হয় সন্ধ্যার পর ও রাতের বেলায়। আর তাই এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি ধোঁয়া ছড়ায় চারপাশে। সম্প্রতি ধোঁয়ার কারণে দুই নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে প্লান্টটির ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। এ সময় প্লান্টটির লিজগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান দ্য ইস্কেইট লিমিটেডের কর্মীরা প্রতিবাদ জানানো ব্যক্তিদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে প্লান্টের ভেতরে ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো শুরু হলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে শুরু করে। বাতাসের সঙ্গে ভেসে সেই ধোঁয়া পাশের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে।
প্রচণ্ড দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে আসে। এতে মানুষদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এটি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বারবার অনুরোধ করা হলেও তোয়াক্কা করছে না প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। ধোঁয়ায় নারী-শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে দশটার পর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আদর্শপাড়ার মানুষজন দলবেঁধে ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিবাদ জানান। স্কেইটের কর্মীরা তখন দুর্ব্যবহার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মানুষজন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুর রহমান সানি বলেন, ময়লা খানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় যখন বাড়িঘর ধোঁয়ায় ভরে যায় বাড়ির ছোটো বাচ্চা ও মুরব্বিদের নিশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হয় তখন।
এত ধোঁয়া ছড়ায় যে রাস্তাঘাট স্পষ্ট দেখা যায় না। আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই। মারিয়া খাতুন নামে স্থানীয় এক নারী জানান, বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়া করে। ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসে। যশোর সরকারি সিটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ার আলী বলেন, বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া যখন বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ি। খাবার খেতে বসলে বমি আসে। ধোঁয়ার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিষাক্ত ধোঁয়া আমাদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ব্যাপারে দ্য ইস্কেইট লিমিটেডের ম্যানেজার সোহেল রেজা বলেন, এখানে ময়লা-আবর্জনায় আগুন ধরানো হয় না যা থেকে ধোঁয়া সৃষ্টি হতে পারে। ময়লার স্তূপে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস থেকে ধোঁয়া বের হয়।
এটি যাতে না হয়; তার জন্য সকাল-বিকেল পানি ছিটানো হয়। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না আমি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনমানুষের কোন ক্ষতি হয় এমন কোনকিছু আমরা করতে দেব না। পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, ময়লা পোড়ানোর সময় একটি ভারি ধাতু নির্গত হয়। এটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ট্রিটমেন্ট প্লান্টটিতে ময়লা পোড়ানো হয় এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সরেজমিনে পরিদর্শণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।
যশোর : পৌরসভার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ভেতর ময়লার স্তূপে ধরানো আগুনের ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী -সংবাদ
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
যশোর সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুরে পৌরসভার ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতর ময়লার স্তূপে ধরানো আগুনের ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন পার্শ্বর্তী বাসিন্দারা। ময়লা পোড়া ধোঁয়ার কটু গন্ধ বাসাবাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ায় প্রায়শই অসুস্থ হয়ে পড়ছে নারী-শিশু ও বয়স্করা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিনের বেলাতেও প্লান্টের ভেতর ময়লা পোড়ানো হয়। তবে সেটির পরিমাণ অল্প। তাদের ভাষ্য, সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ময়লা পোড়ানো হয় সন্ধ্যার পর ও রাতের বেলায়। আর তাই এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি ধোঁয়া ছড়ায় চারপাশে। সম্প্রতি ধোঁয়ার কারণে দুই নারী ও শিশুসহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়লে প্লান্টটির ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। এ সময় প্লান্টটির লিজগ্রহীতা প্রতিষ্ঠান দ্য ইস্কেইট লিমিটেডের কর্মীরা প্রতিবাদ জানানো ব্যক্তিদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে প্লান্টের ভেতরে ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো শুরু হলে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে শুরু করে। বাতাসের সঙ্গে ভেসে সেই ধোঁয়া পাশের বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে।
প্রচণ্ড দুর্গন্ধযুক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে আসে। এতে মানুষদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এটি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বারবার অনুরোধ করা হলেও তোয়াক্কা করছে না প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। ধোঁয়ায় নারী-শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত সাড়ে দশটার পর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আদর্শপাড়ার মানুষজন দলবেঁধে ওয়েস্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিবাদ জানান। স্কেইটের কর্মীরা তখন দুর্ব্যবহার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মানুষজন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুর রহমান সানি বলেন, ময়লা খানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় যখন বাড়িঘর ধোঁয়ায় ভরে যায় বাড়ির ছোটো বাচ্চা ও মুরব্বিদের নিশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হয় তখন।
এত ধোঁয়া ছড়ায় যে রাস্তাঘাট স্পষ্ট দেখা যায় না। আমরা এ সমস্যার সমাধান চাই। মারিয়া খাতুন নামে স্থানীয় এক নারী জানান, বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়ায় চোখ জ্বালাপোড়া করে। ধোঁয়া ও দুর্গন্ধে দমবন্ধ হয়ে আসে। যশোর সরকারি সিটি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ার আলী বলেন, বর্জ্য পোড়ানোর ধোঁয়া যখন বাড়িতে প্রবেশ করে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ি। খাবার খেতে বসলে বমি আসে। ধোঁয়ার কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। বিষাক্ত ধোঁয়া আমাদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে।
স্থানীয়দের এমন অভিযোগের ব্যাপারে দ্য ইস্কেইট লিমিটেডের ম্যানেজার সোহেল রেজা বলেন, এখানে ময়লা-আবর্জনায় আগুন ধরানো হয় না যা থেকে ধোঁয়া সৃষ্টি হতে পারে। ময়লার স্তূপে সৃষ্ট মিথেন গ্যাস থেকে ধোঁয়া বের হয়।
এটি যাতে না হয়; তার জন্য সকাল-বিকেল পানি ছিটানো হয়। পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত না আমি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনমানুষের কোন ক্ষতি হয় এমন কোনকিছু আমরা করতে দেব না। পরিবেশ অধিদপ্তর যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এমদাদুল হক বলেন, ময়লা পোড়ানোর সময় একটি ভারি ধাতু নির্গত হয়। এটি পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ট্রিটমেন্ট প্লান্টটিতে ময়লা পোড়ানো হয় এমন অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সরেজমিনে পরিদর্শণ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।