কারখানা কর্তৃপক্ষের স্বেছাচারিতা ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন শ্রমিক ইদ্রিস আলী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় মন্ডল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মন্ট্রিমস লিমিটেড নামে একটি কারখানার ভিতরে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কারখানার কার্টন সেকশনে কাজ করা ওই শ্রমিক নিশ্চিন্তপুর এলাকায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলায়।
কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষাক্ত কেমিক্যাল পান করেন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে ওই শ্রমিক কারখানা কর্তৃপক্ষের স্বেছাচারিতা ও অনিয়ম নিয়ে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, মন্ডল গ্রুপের মন্টিন্স লিমিটেড এখানে এক বছর যাবত চাকরি করি। কিছু লোক আসার তিন মাস এবং ছয় মাস হচ্ছে তাদেরকে পার্মানান্ট করে। আমাকে করেনা কারণ হচ্ছে আমরা মেশিনের লোক। একদিন ছয়টায় গিয়েছিলাম তার জন্য আমাদেরকে বিচার করছে, আমি কি অপরাধ করছি। তাদের জন্য আমার জীবন আমি শেষ করে দেব। এর জন্য দায়ী আমাদের সেকশনের প্ল্যানিং কামরুল স্যার আর হচ্ছে ম্যানেজার হারুন স্যার ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না। তারা মনে করে ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির তৈরি। আমি আজকে সুইসাইড করব। ঈদের নিয়মে আমি অনেক কষ্ট পাইছি এই পৃথিবীর মানুষ বড়ই নিষ্ঠুর আপনারা এর বিচার করবেন এই পৃথিবীতে মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী।”
কারখানার শ্রমিকরা জানান, তিনি এক বছর ধরে ডেইলি বেসিকে কাজ করতেন। অনেককে পার্মানেন্ট করা হলেও তাকে করা হয়নি। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ বকাঝকা করেছে। পরে তিনি কেমিক্যাল খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে তাকে সফিপুর তানহা হাসপাতালে নেওয়া হলে তারা ভর্তি করা নেয়নি। গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তারা আরও জানান, হারুন ও কামরুল ম্যানেজেন্টে যোগ দেওয়ার পর থেকে শ্রমিকদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। তারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। কথায় কথায় চাকরি হতে ছাঁটাই করে। তাদেরকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করতে হবে। না হলে আরও শ্রমিক মারা যাবে।
নিহত শ্রমিকের স্ত্রী হাসি আক্তার বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে এখন তাকে নিয়ে সদর হাসপাতালে রয়েছি। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।
নিহতের বোন জামাই বাবু বলেন, ও অনেকদিন হলো কাজ করে। ওর সাথের সবাইরে চাকরিতে পার্মানেন্ট করলেও কর্তৃপক্ষ ওকে পার্মানেন্ট করেনি। অসুস্থ থাকার কারণে ৬টায় কারখানায় হতে বের হয়। এজন্য পরের দিন ম্যানেজমেন্ট হারুন ও কামরুল তাকে রুমে বকাঝকা করে। এসব কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
তানহা হাসপাতালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা বলেন, রাত ১২টার দিকে কয়েকজন লোক একজন রোগীকে হাসপাতালে আনে। তিনি কিছু একটা খেয়েছিলেন হয়তো। মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল, পরে তাকে আর ভর্তি করিনি।
মন্ট্রিমস্ লিমিটের কারখানার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, একজন শ্রমিক মারা গেছে। আমরা একটু ব্যস্ত আছি, বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলব।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
কারখানা কর্তৃপক্ষের স্বেছাচারিতা ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করেন শ্রমিক ইদ্রিস আলী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় মন্ডল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মন্ট্রিমস লিমিটেড নামে একটি কারখানার ভিতরে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
কারখানার কার্টন সেকশনে কাজ করা ওই শ্রমিক নিশ্চিন্তপুর এলাকায় বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলায়।
কারখানার শ্রমিক ও কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষাক্ত কেমিক্যাল পান করেন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে ওই শ্রমিক কারখানা কর্তৃপক্ষের স্বেছাচারিতা ও অনিয়ম নিয়ে একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি লেখেন, মন্ডল গ্রুপের মন্টিন্স লিমিটেড এখানে এক বছর যাবত চাকরি করি। কিছু লোক আসার তিন মাস এবং ছয় মাস হচ্ছে তাদেরকে পার্মানান্ট করে। আমাকে করেনা কারণ হচ্ছে আমরা মেশিনের লোক। একদিন ছয়টায় গিয়েছিলাম তার জন্য আমাদেরকে বিচার করছে, আমি কি অপরাধ করছি। তাদের জন্য আমার জীবন আমি শেষ করে দেব। এর জন্য দায়ী আমাদের সেকশনের প্ল্যানিং কামরুল স্যার আর হচ্ছে ম্যানেজার হারুন স্যার ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না। তারা মনে করে ওরা সোনার তৈরি, আমরা মাটির তৈরি। আমি আজকে সুইসাইড করব। ঈদের নিয়মে আমি অনেক কষ্ট পাইছি এই পৃথিবীর মানুষ বড়ই নিষ্ঠুর আপনারা এর বিচার করবেন এই পৃথিবীতে মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী।”
কারখানার শ্রমিকরা জানান, তিনি এক বছর ধরে ডেইলি বেসিকে কাজ করতেন। অনেককে পার্মানেন্ট করা হলেও তাকে করা হয়নি। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ বকাঝকা করেছে। পরে তিনি কেমিক্যাল খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে তাকে সফিপুর তানহা হাসপাতালে নেওয়া হলে তারা ভর্তি করা নেয়নি। গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তারা আরও জানান, হারুন ও কামরুল ম্যানেজেন্টে যোগ দেওয়ার পর থেকে শ্রমিকদের উপর অত্যাচার শুরু করেছে। তারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। কথায় কথায় চাকরি হতে ছাঁটাই করে। তাদেরকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত করতে হবে। না হলে আরও শ্রমিক মারা যাবে।
নিহত শ্রমিকের স্ত্রী হাসি আক্তার বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে এখন তাকে নিয়ে সদর হাসপাতালে রয়েছি। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না।
নিহতের বোন জামাই বাবু বলেন, ও অনেকদিন হলো কাজ করে। ওর সাথের সবাইরে চাকরিতে পার্মানেন্ট করলেও কর্তৃপক্ষ ওকে পার্মানেন্ট করেনি। অসুস্থ থাকার কারণে ৬টায় কারখানায় হতে বের হয়। এজন্য পরের দিন ম্যানেজমেন্ট হারুন ও কামরুল তাকে রুমে বকাঝকা করে। এসব কারণে সে আত্মহত্যা করেছে।
তানহা হাসপাতালের ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা বলেন, রাত ১২টার দিকে কয়েকজন লোক একজন রোগীকে হাসপাতালে আনে। তিনি কিছু একটা খেয়েছিলেন হয়তো। মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল, পরে তাকে আর ভর্তি করিনি।
মন্ট্রিমস্ লিমিটের কারখানার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, একজন শ্রমিক মারা গেছে। আমরা একটু ব্যস্ত আছি, বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলব।