যশোরের কেশবপুরে বিল খুকশিয়ার পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম অর্থাভাবে বন্ধ হতে চলেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পরবর্তী করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ২৭ বিলের ৫৬ হাজার বিঘা জমির বোরো আবাদ।
জানা গেছে, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ২৭ বিলের ৬৮ গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি বিল খুকশিয়ার ডায়ের খাল দিয়ে হরি নদীতে নিষ্কাশন হয়। হরি নদী ও তার সংযোগ ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড ও পাশের ৩ ব্যন্ড স্লুইস গেট দীর্ঘদিন পলিতে ভরাটের কারণে কেশবপুরের পাঁজিয়া ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের ২২ গ্রাম, মনিরামপুরের শ্যামকুড়, খানপুর, দুর্বাডাঙ্গা ও মনোহরপুর ইউনিয়নের ৪৬ গ্রামসহ ৬৮ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ ৫ মাস ধরে পানিবন্দী জীবনযাপন করে। প্রায় ৩ যুগ ধরে ২৭ বিলের ৫৬ হাজার বিঘা জমিতে কোনো বোরো আবাদ হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে গত বছরের ৮ অক্টোবর ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটি ৫ দফা দাবিতে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এ ছাড়া ২৩ অক্টোবর পাঁজিয়া মাছ বাজার চত্বরে দুই উপজেলার হাজারও বানভাসীদের বিশাল সমাবেশ থেকে পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মকবুল হোসেন মুকুলকে সভাপতি করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ২৭ বিল সেচ ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। সভায় বানভাসী জমির মালিক বিঘাপ্রতি ৫শ টাকা ও ঘের মালিকরা অবশিষ্ট টাকা দিয়ে সেচকার্য চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
হদ গ্রামের মহিরউদ্দীন বিশ্বাস বলেন, পলীতে হরি নদীসহ বিল খুকশিয়ার ডায়ের খালের ১১ ব্যান্ড স্লুইস গেট ভরাট হয়ে যায়। স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ করে স্লুইস গেটের ৬টি জল কপাট সচল করা হলেও নদীর তলদেশ উঁচু থাকায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনে ৩ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এলক্ষ্যে বিল খুকশিয়ার ডায়ের খালের পাশে ৮ ব্যান্ড স্লুইচ গেটে ৩০টি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প স্থাপণের উদ্যোগ নেয়া হয়। মিটার স্থাপনে পাকা ঘর ও পাকা ড্রেন নির্মাণকাজ ইতোপূর্বে শেষ হয়েছে। ডুমুরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ২১ লাখ টাকা জমা দিলে বৈদ্যুতিক সংযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু ফান্ডে কোনো টাকা না থাকায় অর্থাভাবে বন্ধের পথে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম। এমতাবস্থায় প্রশাসন যদি সেচ কাজে সহযোগিতা করে তাহলে পানি নিষ্কাশন আরও সহজ হবে। বিল খুকশিয়ায় ২৭ বিল সেচ ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, পানি বিশেষজ্ঞ মহিরউদ্দীন বিশ্বাস, মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মাহামুদুল হাসান, ওজিয়ার বিশ্বাস প্রমুখ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩ নদী ও ১০ খাল পুনঃখননে সরকার ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩ নদী পুনঃখনন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী নদী খনন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসব নদী-খাল খনন সম্পন্ন হলে এলাকা বন্যা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
যশোরের কেশবপুরে বিল খুকশিয়ার পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম অর্থাভাবে বন্ধ হতে চলেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন কার্যক্রমের অগ্রগতি ও পরবর্তী করণীয় শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে দুই উপজেলার ৬ ইউনিয়নের ২৭ বিলের ৫৬ হাজার বিঘা জমির বোরো আবাদ।
জানা গেছে, কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ২৭ বিলের ৬৮ গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি বিল খুকশিয়ার ডায়ের খাল দিয়ে হরি নদীতে নিষ্কাশন হয়। হরি নদী ও তার সংযোগ ডায়ের খালের ৮ ব্যান্ড ও পাশের ৩ ব্যন্ড স্লুইস গেট দীর্ঘদিন পলিতে ভরাটের কারণে কেশবপুরের পাঁজিয়া ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের ২২ গ্রাম, মনিরামপুরের শ্যামকুড়, খানপুর, দুর্বাডাঙ্গা ও মনোহরপুর ইউনিয়নের ৪৬ গ্রামসহ ৬৮ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘ ৫ মাস ধরে পানিবন্দী জীবনযাপন করে। প্রায় ৩ যুগ ধরে ২৭ বিলের ৫৬ হাজার বিঘা জমিতে কোনো বোরো আবাদ হচ্ছে না। জলাবদ্ধতা নিরসনে গত বছরের ৮ অক্টোবর ২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটি ৫ দফা দাবিতে পানিসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এ ছাড়া ২৩ অক্টোবর পাঁজিয়া মাছ বাজার চত্বরে দুই উপজেলার হাজারও বানভাসীদের বিশাল সমাবেশ থেকে পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার মকবুল হোসেন মুকুলকে সভাপতি করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ২৭ বিল সেচ ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। সভায় বানভাসী জমির মালিক বিঘাপ্রতি ৫শ টাকা ও ঘের মালিকরা অবশিষ্ট টাকা দিয়ে সেচকার্য চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
হদ গ্রামের মহিরউদ্দীন বিশ্বাস বলেন, পলীতে হরি নদীসহ বিল খুকশিয়ার ডায়ের খালের ১১ ব্যান্ড স্লুইস গেট ভরাট হয়ে যায়। স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ করে স্লুইস গেটের ৬টি জল কপাট সচল করা হলেও নদীর তলদেশ উঁচু থাকায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশনে ৩ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এলক্ষ্যে বিল খুকশিয়ার ডায়ের খালের পাশে ৮ ব্যান্ড স্লুইচ গেটে ৩০টি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প স্থাপণের উদ্যোগ নেয়া হয়। মিটার স্থাপনে পাকা ঘর ও পাকা ড্রেন নির্মাণকাজ ইতোপূর্বে শেষ হয়েছে। ডুমুরিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ২১ লাখ টাকা জমা দিলে বৈদ্যুতিক সংযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু ফান্ডে কোনো টাকা না থাকায় অর্থাভাবে বন্ধের পথে পানি নিষ্কাশন কার্যক্রম। এমতাবস্থায় প্রশাসন যদি সেচ কাজে সহযোগিতা করে তাহলে পানি নিষ্কাশন আরও সহজ হবে। বিল খুকশিয়ায় ২৭ বিল সেচ ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুলের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, পানি বিশেষজ্ঞ মহিরউদ্দীন বিশ্বাস, মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মাহামুদুল হাসান, ওজিয়ার বিশ্বাস প্রমুখ।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩ নদী ও ১০ খাল পুনঃখননে সরকার ১৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ৩ নদী পুনঃখনন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী নদী খনন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসব নদী-খাল খনন সম্পন্ন হলে এলাকা বন্যা ও জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে।