চট্টগ্রামের কাপাসগোলায় ব্যাটারিচালিত রিকশা খালে পড়ে সাত মাসের শিশু শেহেরিজের মৃত্যুর ঘটনায় নিজেরও দায় স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার নগরীর চাক্তাই আসাদগঞ্জ এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “যদিও সিডিএ এসব খালের কাজ করছে, কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, একটি সেবা সংস্থার প্রধান হিসেবে এ দায় কখনও এড়াতে পারি না।”
তিনি বলেন, “সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলে আমি মনে করি। নগর সরকার ব্যবস্থা থাকলে হয়ত সমন্বয় থাকত। আমি কিছু বললে হয়ত তারা শুনত। এসব যতক্ষণ হবে না ততক্ষণ সমন্বয় হবে না।”
শুক্রবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে কাপাসগোলা নবাব হোটেলের কাছে হিজড়া খালে ব্যাটারির রিকশা পড়ে যায়। ওই রিকশায় থাকা শিশুটি স্রোতে ভেসে যায়। তার মা ও নানি খালে পড়ে গেলেও তারা উঠে আসতে সক্ষম হন।
১৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর শনিবার সকাল ১০টার দিকে চাক্তাই খালের আসাদগঞ্জ শুটকিপট্টির অংশে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। শিশুটির পরিবারও ওই এলাকাতেই বসবাস করে।
মেয়র বলেন, “সে নিখোঁজ হয়েছে হিজড়া খালের কাপাসগোলা অংশে। তাকে পাওয়া গেছে তার বাড়ির কাছেই আসাদগঞ্জে রাজাখালী খালে। আমরা হয়তবা বাচ্চাটাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি। কিন্তু ডেড বডিটা মা বাবা পেয়েছে।”
শিশু শেহেরিজের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মেয়র বলেন, “এ ধরনের প্রাণহানি কখনও কাম্য নয়। আমরা কেউই এর দায় এড়াতে পারি না।”
তিনি জানান, “যে খালে এ ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ৩৪ ব্রিগেড কাজ করেছিল। তিন-চার দিন আগে তারা এটা ক্লিন করেছিল, ১২ ফুটের মত। কাজটা খুব চমৎকার হয়েছে। সেখানে বাঁশ দিয়ে যে প্রিভেন্টিভ মেজারস দিয়েছিল, সেটা কাজ করার সময় হয়ত খুলে ফেলা হয়েছিল। আমি বলেছি কাজ করার পর অন্তত সেটা লাগিয়ে দিতে হবে অথবা তারা না পারলে আমাদের বললে আমরা লাগিয়ে দিব।”
মেয়র আরও বলেন, “আমরা এখন বলতে চাই, সব জায়গায় স্ল্যাব ও ম্যানহোলের ঢাকনা লাগিয়ে দিতে। এজন্য এলাকাবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।”
খাল-নালা পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “যাদের বাড়ির সামনে ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানে অভিযান চালানো হবে। খাল পরিষ্কার করছি, আবার ময়লা ফেলছে। যারা ময়লা ফেলবে, তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের কাপাসগোলায় ব্যাটারিচালিত রিকশা খালে পড়ে সাত মাসের শিশু শেহেরিজের মৃত্যুর ঘটনায় নিজেরও দায় স্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শনিবার নগরীর চাক্তাই আসাদগঞ্জ এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, “যদিও সিডিএ এসব খালের কাজ করছে, কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, একটি সেবা সংস্থার প্রধান হিসেবে এ দায় কখনও এড়াতে পারি না।”
তিনি বলেন, “সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলে আমি মনে করি। নগর সরকার ব্যবস্থা থাকলে হয়ত সমন্বয় থাকত। আমি কিছু বললে হয়ত তারা শুনত। এসব যতক্ষণ হবে না ততক্ষণ সমন্বয় হবে না।”
শুক্রবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে কাপাসগোলা নবাব হোটেলের কাছে হিজড়া খালে ব্যাটারির রিকশা পড়ে যায়। ওই রিকশায় থাকা শিশুটি স্রোতে ভেসে যায়। তার মা ও নানি খালে পড়ে গেলেও তারা উঠে আসতে সক্ষম হন।
১৪ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর শনিবার সকাল ১০টার দিকে চাক্তাই খালের আসাদগঞ্জ শুটকিপট্টির অংশে শিশুটির মরদেহ ভেসে ওঠে। শিশুটির পরিবারও ওই এলাকাতেই বসবাস করে।
মেয়র বলেন, “সে নিখোঁজ হয়েছে হিজড়া খালের কাপাসগোলা অংশে। তাকে পাওয়া গেছে তার বাড়ির কাছেই আসাদগঞ্জে রাজাখালী খালে। আমরা হয়তবা বাচ্চাটাকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি। কিন্তু ডেড বডিটা মা বাবা পেয়েছে।”
শিশু শেহেরিজের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মেয়র বলেন, “এ ধরনের প্রাণহানি কখনও কাম্য নয়। আমরা কেউই এর দায় এড়াতে পারি না।”
তিনি জানান, “যে খালে এ ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ৩৪ ব্রিগেড কাজ করেছিল। তিন-চার দিন আগে তারা এটা ক্লিন করেছিল, ১২ ফুটের মত। কাজটা খুব চমৎকার হয়েছে। সেখানে বাঁশ দিয়ে যে প্রিভেন্টিভ মেজারস দিয়েছিল, সেটা কাজ করার সময় হয়ত খুলে ফেলা হয়েছিল। আমি বলেছি কাজ করার পর অন্তত সেটা লাগিয়ে দিতে হবে অথবা তারা না পারলে আমাদের বললে আমরা লাগিয়ে দিব।”
মেয়র আরও বলেন, “আমরা এখন বলতে চাই, সব জায়গায় স্ল্যাব ও ম্যানহোলের ঢাকনা লাগিয়ে দিতে। এজন্য এলাকাবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।”
খাল-নালা পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “যাদের বাড়ির সামনে ময়লা পাওয়া যাবে, সেখানে অভিযান চালানো হবে। খাল পরিষ্কার করছি, আবার ময়লা ফেলছে। যারা ময়লা ফেলবে, তাদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”