রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা হত্যাকারী মামলার ২ আসামিকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রাজশাহী র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গত শুক্রবার রাতে নওগাঁ সদর থানার রামরায়পুর আড়ারাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার ১ নং আসামি মো. নান্টু (২৮), পিতা- মো. কালু মিয়া ও সহযোগী ৩নং আসামি মো. খোকন মিয়া (২৮), পিতা-মৃত আ. সাত্তার, উভয় সাং তালাইমারিকে গ্র্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে রাজশাহী র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়।
জানা যায়, ভিকটিম মৃত আকরাম হোসেন (৫২) বায়ালিয়া রাজশাহী মহানগর পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। আসামি নান্টু (২৮) তার প্রতিবেশী। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে নান্টুর পূর্ব থেকেই শত্রুতা ছিল। ভিকটিমের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ঘটনার দিন বিকালে ভিকটিমের মেয়ে প্রইভেট পড়া শেষ করে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামি নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে গালাগাল করে উত্ত্যক্ত করে। ভিকটিমের মেয়ে তাদের কিছু না বলে বাসায় গিয়ে বাবা আকরাম হোসেনকে গালাগালের কথা জানায়। তার বাবা নান্টুর বাবাকে নান্টুর উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে জানায়। এতে নান্টু আরও ক্ষীপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০টায় রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারি শহিদ মিনার সাকিনস্থ জনৈক মনি (৬৫)এর বসত বাড়ির সামনে দিয়ে মামলার বাদী মো. ইমাম হোসেন অনন্ত (২৪), নিজের বাড়ি দিকে যাওয়ার সময় আসামী নান্টু ও তার সহযোগী ৯-১০ জন মিলে রড, বাশের লাঠি, কাঠের লাকরি, ইট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। ইমাম হোসেন প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে চিৎকার করলে তার বাবা ভিকটিম আকরাম হোসেন (৫২) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামীরা তাকেও মারধর করা শুরু করে। ঘটনার একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম গুরুতর জখম হন।
পরবর্তীতে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিট, ইলেক্টনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন গৃষ্টি করে। এলাকাবাসী আসামিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারে ও বিচারের জন্য লাশ নিয়ে রাজশাহী মহানগরের তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন করে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে আরএমপি এর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৭ জনকে এজাহারনামীয় ও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
রাজশাহীতে মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা হত্যাকারী মামলার ২ আসামিকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রাজশাহী র্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল গত শুক্রবার রাতে নওগাঁ সদর থানার রামরায়পুর আড়ারাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মামলার ১ নং আসামি মো. নান্টু (২৮), পিতা- মো. কালু মিয়া ও সহযোগী ৩নং আসামি মো. খোকন মিয়া (২৮), পিতা-মৃত আ. সাত্তার, উভয় সাং তালাইমারিকে গ্র্রেপ্তার করে। শনিবার সকালে রাজশাহী র্যাব সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায়।
জানা যায়, ভিকটিম মৃত আকরাম হোসেন (৫২) বায়ালিয়া রাজশাহী মহানগর পেশায় একজন বাস ড্রাইভার। আসামি নান্টু (২৮) তার প্রতিবেশী। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে নান্টুর পূর্ব থেকেই শত্রুতা ছিল। ভিকটিমের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী। ঘটনার দিন বিকালে ভিকটিমের মেয়ে প্রইভেট পড়া শেষ করে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকায় অটোরিকশা থেকে নেমে বাসায় যাওয়ার পথে আসামি নান্টু ও তার সহযোগীরা তাকে গালাগাল করে উত্ত্যক্ত করে। ভিকটিমের মেয়ে তাদের কিছু না বলে বাসায় গিয়ে বাবা আকরাম হোসেনকে গালাগালের কথা জানায়। তার বাবা নান্টুর বাবাকে নান্টুর উত্ত্যক্ত করার বিষয়ে জানায়। এতে নান্টু আরও ক্ষীপ্ত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ এপ্রিল রাত ১০টায় রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারি শহিদ মিনার সাকিনস্থ জনৈক মনি (৬৫)এর বসত বাড়ির সামনে দিয়ে মামলার বাদী মো. ইমাম হোসেন অনন্ত (২৪), নিজের বাড়ি দিকে যাওয়ার সময় আসামী নান্টু ও তার সহযোগী ৯-১০ জন মিলে রড, বাশের লাঠি, কাঠের লাকরি, ইট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করে। ইমাম হোসেন প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে চিৎকার করলে তার বাবা ভিকটিম আকরাম হোসেন (৫২) ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামীরা তাকেও মারধর করা শুরু করে। ঘটনার একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম গুরুতর জখম হন।
পরবর্তীতে আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যায়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিট, ইলেক্টনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন গৃষ্টি করে। এলাকাবাসী আসামিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারে ও বিচারের জন্য লাশ নিয়ে রাজশাহী মহানগরের তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন করে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে আরএমপি এর বোয়ালিয়া মডেল থানায় ৭ জনকে এজাহারনামীয় ও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।