alt

‘দুর্নীতির’ মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের সাজা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

‘অবৈধভাবে’ সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর নগর পরিকল্পনা শাখার সাবেক কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন সিকদারকে দুটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাকে ৬ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ৫৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করার রায় দেয়া হয়েছে।রোববার ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান রানা সাজার বিষয় বলেন, সাজা হওয়া রাজউকের সাবেক অফিস সহায়ক (এম এল এস এস) দেলোয়ার হোসেন সিকদার মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে। দেলোয়ার হোসেন চাঁদপুরের কচুয়া থানার কাদিরখিল গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর আলী সিকদারের ছেলে।

তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ২০১৯ সালের ৭ মে মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। মামলার রায়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেলোয়ার হোসেনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে, অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে।

এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তথ্য গোপনের অভিযোগে দেলোয়ারকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় এসেছে। ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে, অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, দেলোয়ার হোসেন তার ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৩ লাখ ৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬০ লাখ ৫৬ হাজার ১৭৭ টাকার সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধান করে দুদক তার ১ কোটি ১১ লাখ ২৭ হাজার ২৪২ টাকার সম্পদ পায়। এর মধ্যে ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পায় সংস্থাটি।

দেলোয়ারের বিরুদ্ধে রমনা থানায় করা মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফা জাহান। ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।

ছবি

বিভিন্ন স্থানে আগুন ও হাতবোমা

ছবি

সব অভিযোগ ‘মিথ্যা’, আত্মপক্ষ সমর্থনের ‘সুযোগ মেলেনি’, বললেন হাসিনা

ছবি

মৌসুম শুরু হলেও এখনও খালি পড়ে আছে লবণ মাঠ

ছবি

মানিকগঞ্জে ১৪ মাসে হত্যাকাণ্ড ২৩টি, ৪১ অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ছবি

সাদুল্লাপুরে বিনামূল্যে হুইলচেয়ার ও ছাগল বিতরণ

ছবি

কিশোরগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকে আগুন রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ

ছবি

নারায়ণগঞ্জে থামিয়ে রাখা বাসে আগুন

ছবি

মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সড়কে দেড় শতাধিক গর্ত

ছবি

পাখির কলধ্বনিতে মুখর গলাচিপার চরাঞ্চল

ছবি

ঘোড়াশালে ফুটপাতে শীতবস্ত্র কিনতে ক্রেতাদের ভিড়

ছবি

গাজীপুরে রেড ক্রিসেন্টের নির্বাচন: বহুল পরিচিত মৃতরাও ভোটার

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়িতে আরকান আর্মির সদস্য সন্দেহে একজন গ্রেপ্তার, ‘মাদকচক্রে জড়িত’ থাকার অভিযোগ

ছবি

শেরপুরে আমন ধানের পর আলু চাষে চিন্তা কৃষকের

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় বাড়ছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়ার প্রকোপ

ছবি

কলারোয়ায় ইউএনও’র বিদায় সংবর্ধনা

ছবি

হাটহাজারীতে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

কেশবপুরে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের ট্রান্সফরমার চুরিতে বিপাকে কৃষক

ছবি

লালপুরে নারী প্রলোভনে চাঁদা আদায়, চক্রের দুই প্রতারক গ্রেপ্তার

ছবি

বাগেরহাটে নাগরিক প্লাটফর্মের সদস্যদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি

নবীনগর প্রাত:ভ্রমণ এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ছবি

রায়গঞ্জে ফিস্টুলা রোগী সনাক্তকরণ সংক্রান্ত অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

বাগেরহাটে খাস জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ডের অভিযোগ

ছবি

সিলেটে ১৩ গাড়ি পুড়ে ছাঁই

ছবি

গাজনার বিলপাবনার শস্যভান্ডারে জলাবদ্ধতা পেঁয়াজ চাষে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ছবি

সিরাজগঞ্জের জেলে পরিবারের সব খরচই যেন যমুনা নদীর দান

ছবি

সিংগাইরে ইসলামী ব্যাংক শাখায় অগ্নিকা-, ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে নবান্ন উৎসব, নেই পিঠাপুলির ধুম

ছবি

নড়বড়ে সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের পারাপার

ছবি

ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচির উদ্বোধন

ছবি

সোনালি ধানের ঢেউয়ে নবান্ন উৎসব

ছবি

গজারিয়া উপজেলা পোস্ট অফিসে লোকবল সংকট

ছবি

বাগেরহাটে বিদ্যুতায়িত হয়ে শ্রমিক নিহত

ছবি

গজারিয়ায় মৃত্তিকার গুনাগুন বিষয়ক প্রশিক্ষণ

ছবি

চকরিয়ার মানিকপুরে তিনটি পরিবেশবান্ধব ঝিকঝাক ইটভাটা উচ্ছেদ

ছবি

জন্ম- মৃত্যু নিবন্ধনে টানা পঞ্চমবারের মতো শীর্ষে দুমকি উপজেলা

tab

‘দুর্নীতির’ মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের সাজা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

‘অবৈধভাবে’ সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর নগর পরিকল্পনা শাখার সাবেক কর্মচারী দেলোয়ার হোসেন সিকদারকে দুটি ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাকে ৬ লাখ টাকা জরিমানার পাশাপাশি অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ৫৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করার রায় দেয়া হয়েছে।রোববার ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের কৌঁসুলি আসাদুজ্জামান রানা সাজার বিষয় বলেন, সাজা হওয়া রাজউকের সাবেক অফিস সহায়ক (এম এল এস এস) দেলোয়ার হোসেন সিকদার মামলার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে। দেলোয়ার হোসেন চাঁদপুরের কচুয়া থানার কাদিরখিল গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর আলী সিকদারের ছেলে।

তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ২০১৯ সালের ৭ মে মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। মামলার রায়ে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দেলোয়ার হোসেনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে, অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে।

এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তথ্য গোপনের অভিযোগে দেলোয়ারকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় এসেছে। ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে, অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাস সাজা ভোগ করতে হবে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, দেলোয়ার হোসেন তার ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৭ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৩ লাখ ৮৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬০ লাখ ৫৬ হাজার ১৭৭ টাকার সম্পদ বিবরণী দুদকে দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণী যাচাই ও অনুসন্ধান করে দুদক তার ১ কোটি ১১ লাখ ২৭ হাজার ২৪২ টাকার সম্পদ পায়। এর মধ্যে ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ২৫০ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পায় সংস্থাটি।

দেলোয়ারের বিরুদ্ধে রমনা থানায় করা মামলাটি তদন্ত করে ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক খন্দকার নিলুফা জাহান। ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।

back to top