ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) : পাউবোর উদ্যোগে নেতাই নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও টেকসই না হওয়ায় ভেঙে যায় প্রতি বছর -সংবাদ
ময়মসিংহের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদ ধোবাউড়া। ভৌগোলিক কারণে এই জনপদটি বন্যা প্রবণ এলাকা। ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলে এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। ফলে ফসল নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। প্রতি বছরই নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল স্রোতে ভেসে যায় ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে নেতাই নদীর পাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও টেকসই না হওয়ায় ভেঙে যায় প্রতি বছর। ভাঙার পর নামমাত্র সংস্কার করে অর্থ লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ কিন্তু তা বাস্তবে রূপ নেয় না। এভাবেই আশ্বাসেই কেটে যায় বছরের পর বছর। নেতাই নদীর পাড়ঘেঁষে কলসিন্দুর থেকে ঘোষগাঁও ভূঁইয়াপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। গত প্রায় ২৫ বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত ২৫ বছরে নির্মাণের পর আর কোনো স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেই। প্রতি বছর ভাঙা অংশ নামমাত্র সংস্কার করা হয়।
ভূঁইয়াপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি গত ২৫ বছর ধরে এলাকার মেম্বার, অনেকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডেল কাছে আবেদন করেছি কিন্তু তাদের গাফিলতির কারণে কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয় না। তিনি আরও বলেন, অস্থায়ী বাঁধ হলে তাদের লাভ বেশি, সংস্কার করে টাকা নয়ছয় করতে পারে। নেতাই পাড়ের বাসিন্দা বিউটি আক্তার বলেন, বর্ষাকাল এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি, পানির স্রোতের প্রথম ধাক্কাতেই আমাদের ঘরবাড়ি ভেসে যায়। আদিল আহমেদ বলেন, ধোবাউড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি নেতাই নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা কিন্তু পানি কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। চলতি বছরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ঘোষাগাঁও জিগাতলা এবং কলসিন্দুর ঘাটপাড় এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষ। উপজেলায় কৃষি ও মৎস্য খাতে অন্তত ১৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় যার ফলে মানুষের জীবন যাত্রায় হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। নেতাই নদীতে অবাধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলেও নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তারা নদীতে ড্রেজার বন্ধ করার দাবি জানান।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসী বলেন, বেড়িবাঁধের সঙ্গে কৃষকদের ফসলের বিষয়টি জড়িত। এখানে একটি স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হলে স্থানীয় কৃষকরা অনেক উপকৃত হবেন। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, বিষয়টি আমি জেলা সভায় উত্থাপন করেছি। আশা করছি পানি উন্নয়ন বোর্ড এদিকে নজর দিলে সেখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অপু দাস বলেন, নেতাই বেড়িবাঁধ এবং নতুন বেড়িবাঁধ সংযুক্ত করার প্রস্তাব করেছি। এটি বাস্তবায়ন হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) : পাউবোর উদ্যোগে নেতাই নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও টেকসই না হওয়ায় ভেঙে যায় প্রতি বছর -সংবাদ
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
ময়মসিংহের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদ ধোবাউড়া। ভৌগোলিক কারণে এই জনপদটি বন্যা প্রবণ এলাকা। ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় প্রতি বছর পাহাড়ি ঢলে এই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। ফলে ফসল নষ্ট হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষক। প্রতি বছরই নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল স্রোতে ভেসে যায় ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে নেতাই নদীর পাশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও টেকসই না হওয়ায় ভেঙে যায় প্রতি বছর। ভাঙার পর নামমাত্র সংস্কার করে অর্থ লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দেন কর্তৃপক্ষ কিন্তু তা বাস্তবে রূপ নেয় না। এভাবেই আশ্বাসেই কেটে যায় বছরের পর বছর। নেতাই নদীর পাড়ঘেঁষে কলসিন্দুর থেকে ঘোষগাঁও ভূঁইয়াপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। গত প্রায় ২৫ বছর পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু গত ২৫ বছরে নির্মাণের পর আর কোনো স্থায়ী সংস্কারের উদ্যোগ নেই। প্রতি বছর ভাঙা অংশ নামমাত্র সংস্কার করা হয়।
ভূঁইয়াপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য শাহজাহান মিয়া বলেন, আমি গত ২৫ বছর ধরে এলাকার মেম্বার, অনেকবার পানি উন্নয়ন বোর্ডেল কাছে আবেদন করেছি কিন্তু তাদের গাফিলতির কারণে কোনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হয় না। তিনি আরও বলেন, অস্থায়ী বাঁধ হলে তাদের লাভ বেশি, সংস্কার করে টাকা নয়ছয় করতে পারে। নেতাই পাড়ের বাসিন্দা বিউটি আক্তার বলেন, বর্ষাকাল এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি, পানির স্রোতের প্রথম ধাক্কাতেই আমাদের ঘরবাড়ি ভেসে যায়। আদিল আহমেদ বলেন, ধোবাউড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি নেতাই নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা কিন্তু পানি কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। চলতি বছরের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় উপজেলার ঘোষাগাঁও জিগাতলা এবং কলসিন্দুর ঘাটপাড় এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় মানুষ। উপজেলায় কৃষি ও মৎস্য খাতে অন্তত ১৬০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় যার ফলে মানুষের জীবন যাত্রায় হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। নেতাই নদীতে অবাধে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলেও নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তারা নদীতে ড্রেজার বন্ধ করার দাবি জানান।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসী বলেন, বেড়িবাঁধের সঙ্গে কৃষকদের ফসলের বিষয়টি জড়িত। এখানে একটি স্থায়ী বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হলে স্থানীয় কৃষকরা অনেক উপকৃত হবেন। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন বলেন, বিষয়টি আমি জেলা সভায় উত্থাপন করেছি। আশা করছি পানি উন্নয়ন বোর্ড এদিকে নজর দিলে সেখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে দেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অপু দাস বলেন, নেতাই বেড়িবাঁধ এবং নতুন বেড়িবাঁধ সংযুক্ত করার প্রস্তাব করেছি। এটি বাস্তবায়ন হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।