চট্টগ্রাম ওয়াসায় দৈনিক প্রায় ৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ কমায় দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকরা। কর্ণফুলী ও হালদার পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন কমিয়ে দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। এদিকে পানি কম থাকায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে একটি মাত্র ইউনিট চালু রয়েছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের লবণ পানি জোয়ারের সময়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে হালদায় প্রবেশ করছে। এতে লবণ পানির কারণে হালদা ও কর্ণফুলী নদীভিত্তিক ওয়াসার ৪টি প্রকল্পে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ ৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়াসার পানি উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে দৈনিক প্রায় ৪৬ কোটি লিটার। কিন্তু হালদা নদীতে লবণ ও কর্ণফুলী নদীর পানির স্তর কমে যাওয়ায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে দৈনিক প্রায় ৫ কোটি লিটার।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় কাপ্তাই লেকে পানি থাকে সর্বোচ্চ ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। চলতি এপ্রিল মাসে রয়েছে ৮৭ দশমিক ৭৭ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর পানিতে লবণের উপস্থিতি দেখা দেয় যা চলে মার্চ পর্যন্ত। গত ৩ মাসে নদী দুটির পানিতে লবণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। চলতি এপ্রিল মাসে এসে তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। সর্বশেষ গত ঈদের সময়ে হালদার পনিতে ২৩০০ মিলিগ্রাম (প্রতি লিটারে) পর্যন্ত লবণ পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, কাপ্তাই হ্রদ থেকে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে। এই কারণে ওয়াসা জোয়ারের সময় পানি উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। এতে করে দৈনিক ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমে যায়।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রাম ওয়াসায় দৈনিক প্রায় ৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ কমায় দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকরা। কর্ণফুলী ও হালদার পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন কমিয়ে দেয় চট্টগ্রাম ওয়াসা। এদিকে পানি কম থাকায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে বর্তমানে একটি মাত্র ইউনিট চালু রয়েছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের লবণ পানি জোয়ারের সময়ে কর্ণফুলী নদী হয়ে হালদায় প্রবেশ করছে। এতে লবণ পানির কারণে হালদা ও কর্ণফুলী নদীভিত্তিক ওয়াসার ৪টি প্রকল্পে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ ৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়াসার পানি উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে দৈনিক প্রায় ৪৬ কোটি লিটার। কিন্তু হালদা নদীতে লবণ ও কর্ণফুলী নদীর পানির স্তর কমে যাওয়ায় উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে দৈনিক প্রায় ৫ কোটি লিটার।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, স্বাভাবিক অবস্থায় কাপ্তাই লেকে পানি থাকে সর্বোচ্চ ১০৯ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। চলতি এপ্রিল মাসে রয়েছে ৮৭ দশমিক ৭৭ মিনস সি লেভেল (এমএসএল)। চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তারা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর পানিতে লবণের উপস্থিতি দেখা দেয় যা চলে মার্চ পর্যন্ত। গত ৩ মাসে নদী দুটির পানিতে লবণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। চলতি এপ্রিল মাসে এসে তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। সর্বশেষ গত ঈদের সময়ে হালদার পনিতে ২৩০০ মিলিগ্রাম (প্রতি লিটারে) পর্যন্ত লবণ পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, কাপ্তাই হ্রদ থেকে পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততা দেখা দিয়েছে। এই কারণে ওয়াসা জোয়ারের সময় পানি উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়। এতে করে দৈনিক ৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন কমে যায়।