নোয়াখালীতে গত শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাকা বোরো ধানের জমিতে পানি জমায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চৌমুহনী পৌরসভাসহ উপজেলার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোর মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চৌমুহনী শহরের প্রত্যেকটি ড্রেন নালা-নর্দমা বর্তমানে ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া উপজেলার ছোট বড় এবং অধিকাংশ শাখা খালগুলো দখল এবং ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করায় তা মৃতপ্রায় অবস্থা হয়ে আছে। ফলে বৃষ্টি হলেই পানি নামতে না পারায় শহরের অলি-গলিতে পানি জমে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, বর্ষার আগেই উপজেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা শহরের ড্রেন এবং খালগুলো পরিষ্কার না করলে সামনে আমাদেরকে বড় ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। গত বছরের এত এবারও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হবে। জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা ছিল দেশের সব্বোর্চ বৃষ্টিপাত। এদিকে ভারি বর্ষণে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা বোরো ধানের জমিতেও পানি জমে গেছে। এতে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে পাকা এবং আধাপাকা বোরো ধান হেলে পড়েছে। কোথাও কোথাও জমিতে কেটে রাখা ধান পানির কারণে মাড়াই দেয়া যাচ্ছে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মীরা রানী দাস বলেন, নোয়াখালীতে এরই মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ জমির পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। সামনে বৃষ্টির মৌসুম থাকায় কৃষকদের দ্রুত পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার জন্যও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক বলেন, গত বছর নোয়াখালীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরই স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই খাল-নালাগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনঃখননসহ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
নোয়াখালীতে গত শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় বেগমগঞ্জের চৌমুহনী শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাকা বোরো ধানের জমিতে পানি জমায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চৌমুহনী পৌরসভাসহ উপজেলার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোর মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চৌমুহনী শহরের প্রত্যেকটি ড্রেন নালা-নর্দমা বর্তমানে ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে। এ ছাড়া উপজেলার ছোট বড় এবং অধিকাংশ শাখা খালগুলো দখল এবং ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করায় তা মৃতপ্রায় অবস্থা হয়ে আছে। ফলে বৃষ্টি হলেই পানি নামতে না পারায় শহরের অলি-গলিতে পানি জমে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, বর্ষার আগেই উপজেলা প্রশাসন এবং পৌরসভা শহরের ড্রেন এবং খালগুলো পরিষ্কার না করলে সামনে আমাদেরকে বড় ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। গত বছরের এত এবারও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হবে। জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা ছিল দেশের সব্বোর্চ বৃষ্টিপাত। এদিকে ভারি বর্ষণে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা বোরো ধানের জমিতেও পানি জমে গেছে। এতে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে পাকা এবং আধাপাকা বোরো ধান হেলে পড়েছে। কোথাও কোথাও জমিতে কেটে রাখা ধান পানির কারণে মাড়াই দেয়া যাচ্ছে না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মীরা রানী দাস বলেন, নোয়াখালীতে এরই মধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ জমির পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে। সামনে বৃষ্টির মৌসুম থাকায় কৃষকদের দ্রুত পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার জন্যও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক বলেন, গত বছর নোয়াখালীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরই স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই খাল-নালাগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনঃখননসহ পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি।