চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার পশ্চিম শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে প্রায় সময়ে ক্লাস চলাকালীন তালা ঝুলানো দেখায় যায়। শিক্ষার্থীরা যথাসমেয় স্কুলে উপস্থিত হলেও শিক্ষকরা স্কুলে যথাসময়ে উপস্থিত না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারেন সহকারী শিক্ষকরা নিজের খেয়াল খুশিমতো স্কুলে যাওয়া আসা করছেন বলে স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ। স্কুলের শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিত দায়িত্ব পালনে অবেহলার বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে স্কুলের শিক্ষকরা দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে হুমকি দেয়ার অভিযোগও ওঠেছে।
পশ্চিম শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। উক্ত স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন আজল উদ্দিন সারাং। স্কুলটিতে শিশুশ্রেণি থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত প্রায় ১১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে শিক্ষক রয়েছে ৫ জন এর মধ্যে ৪ জন মহিলা শিক্ষক একজন পুরুষ শিক্ষক রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদলি হওয়ার পর নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থায় ভাটা পড়ে।
গত কয়েক বছর ধরে স্কুলটিতে শিক্ষকদের অবহেলার কারণে নিয়মিত পাঠদান হচ্ছে না বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। লেখাপড়ার মান খারাপ হওয়ায় স্কুলটির পাশ্ববর্তী বাড়ি ঘরের ছেলে মেয়েদের উক্ত স্কুলে ভর্তি না করে বাইরের প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত ১৫ এপ্রিল স্কুল চলাকালীন সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও স্কুলে তখন তালাবদ্ধ দেখা গেছে। স্কুলে সকাল ১০টা ১৫ সময় একজন শিক্ষক এসে ক্লাসরুম খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে প্রবেশ করেন। স্কুলটি বন্ধ থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায় সময় এক ঘণ্টা দেড় ঘণ্টা এভাবে স্কুলের বাইরে বই খাতা নিয়ে বসে থাকতে হয় বলে আশপাশের কয়েকজন অভিভাবক বিষয়টি জানান। গত ১৫ এপ্রিল স্কুলটি বাইর থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে স্কুলের আশপাশের সচেতন কয়েকজন সচেতন অভিভাবক ও দাতা পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আতাউর রহমানকে বিষয়টি অভিহিত করে ছবি ধারণ করে পাঠানো হয়। একই দিনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমানকেও অভিহিত করা হয়। দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়ে জানার জন্য স্কুলের সহকারী শিক্ষক রুমি সেন ও নাসরিন আক্তারের কাছ থেকে বক্তব্য জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে নারাজ, মোবাইলেও একাধিকবার ফোন করা হলে মোবাইলে কথা বলেনি।
এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মনির সিকদার জানান, স্কুলটির শিক্ষকদের অবহেলার কারণে দিন দিন শিক্ষার মান খারাপ হচ্ছে। কর্ণফুলী উপজেলাতে পশ্চিম শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মতো অবহেলিত কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় আর নেই। স্কুলটি আমাদের গ্রামের স্কুল, স্কুলের খারাপ কিছু হলে খারাপ কিছু দেখলে আমাদের খারাপ লাগে এলাকার স্বার্থে শিক্ষার মান্নোয়নে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিকিলেশ চাকমা বলেন, নাছির নামের একজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমরা জানার পর সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ছিলাম, সেখানে দেরি হওয়ার বিয়ষটি অনাকাক্সিক্ষত যার কাছে স্কুলের চাবি ছিল উনার ছেলে অসুস্থ হওয়ায় আসতে দেরি হয়েছিল বলে দাবি করেন, এর মধ্যে কোনো শিক্ষকদের কোনো অবহেলার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার পশ্চিম শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে প্রায় সময়ে ক্লাস চলাকালীন তালা ঝুলানো দেখায় যায়। শিক্ষার্থীরা যথাসমেয় স্কুলে উপস্থিত হলেও শিক্ষকরা স্কুলে যথাসময়ে উপস্থিত না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলের বাইরে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। স্কুলে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারেন সহকারী শিক্ষকরা নিজের খেয়াল খুশিমতো স্কুলে যাওয়া আসা করছেন বলে স্কুলের অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ। স্কুলের শিক্ষকদের অনিয়মিত উপস্থিত দায়িত্ব পালনে অবেহলার বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে স্কুলের শিক্ষকরা দলীয় নেতাকর্মীদের দিয়ে হুমকি দেয়ার অভিযোগও ওঠেছে।
পশ্চিম শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। উক্ত স্কুলের প্রতিষ্ঠা করেন আজল উদ্দিন সারাং। স্কুলটিতে শিশুশ্রেণি থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত প্রায় ১১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে শিক্ষক রয়েছে ৫ জন এর মধ্যে ৪ জন মহিলা শিক্ষক একজন পুরুষ শিক্ষক রয়েছে। গত ডিসেম্বর মাসে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদলি হওয়ার পর নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় স্কুলটির শিক্ষা ব্যবস্থায় ভাটা পড়ে।
গত কয়েক বছর ধরে স্কুলটিতে শিক্ষকদের অবহেলার কারণে নিয়মিত পাঠদান হচ্ছে না বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। লেখাপড়ার মান খারাপ হওয়ায় স্কুলটির পাশ্ববর্তী বাড়ি ঘরের ছেলে মেয়েদের উক্ত স্কুলে ভর্তি না করে বাইরের প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন স্থানীয়রা। গত ১৫ এপ্রিল স্কুল চলাকালীন সকাল ৯টায় ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও স্কুলে তখন তালাবদ্ধ দেখা গেছে। স্কুলে সকাল ১০টা ১৫ সময় একজন শিক্ষক এসে ক্লাসরুম খুলে দিলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে প্রবেশ করেন। স্কুলটি বন্ধ থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায় সময় এক ঘণ্টা দেড় ঘণ্টা এভাবে স্কুলের বাইরে বই খাতা নিয়ে বসে থাকতে হয় বলে আশপাশের কয়েকজন অভিভাবক বিষয়টি জানান। গত ১৫ এপ্রিল স্কুলটি বাইর থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে স্কুলের আশপাশের সচেতন কয়েকজন সচেতন অভিভাবক ও দাতা পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক আতাউর রহমানকে বিষয়টি অভিহিত করে ছবি ধারণ করে পাঠানো হয়। একই দিনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমানকেও অভিহিত করা হয়। দায়িত্ব পালনে অবহেলার বিষয়ে জানার জন্য স্কুলের সহকারী শিক্ষক রুমি সেন ও নাসরিন আক্তারের কাছ থেকে বক্তব্য জানতে চাইলে তারা এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে নারাজ, মোবাইলেও একাধিকবার ফোন করা হলে মোবাইলে কথা বলেনি।
এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য মনির সিকদার জানান, স্কুলটির শিক্ষকদের অবহেলার কারণে দিন দিন শিক্ষার মান খারাপ হচ্ছে। কর্ণফুলী উপজেলাতে পশ্চিম শিকলবাহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির মতো অবহেলিত কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় আর নেই। স্কুলটি আমাদের গ্রামের স্কুল, স্কুলের খারাপ কিছু হলে খারাপ কিছু দেখলে আমাদের খারাপ লাগে এলাকার স্বার্থে শিক্ষার মান্নোয়নে সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিকিলেশ চাকমা বলেন, নাছির নামের একজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি আমরা জানার পর সরেজমিন তদন্তে গিয়ে ছিলাম, সেখানে দেরি হওয়ার বিয়ষটি অনাকাক্সিক্ষত যার কাছে স্কুলের চাবি ছিল উনার ছেলে অসুস্থ হওয়ায় আসতে দেরি হয়েছিল বলে দাবি করেন, এর মধ্যে কোনো শিক্ষকদের কোনো অবহেলার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।