প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি ও চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহাজিরাবাদ পাহাড়ে এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।
তুর্কি নক্সায় নির্মিত মসজিদটি দেখতে এবং নামাজ আদায় করতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অসংখ্য পর্যটক। মসজিদটির নাম দেয়া হয়েছে মসজিদুল আউলিয়া খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.)।
জানা যায়, উপমহাদেশ খ্যাত আধ্যাত্মিক সুফি-সাধক খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরীর (রহ.) উত্তরসূরি ছিলেন খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.)।
খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.) এর সাহেবজাদা খাজা টিপু সুলতান এ মসজিদটি এখানে নির্মাণ করিয়েছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে বালিশিরা পাহাড়ের মহাজিরাবাদ এলাকায় এ মসজিদটির অবস্থান।
সমতল থেকে প্রায় ৭০-৮০ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত মসজিদটিতে যেতে হয় ১৩৯টি সিঁড়ি পেরিয়ে। প্রায় ১৯ বিঘা জমির ওপর নির্মিত মসজিদের চারদিকেই রয়েছে সবুজ পাহাড়। আর এসব পাহাড়ে রয়েছে চোখ জুড়ানো সবুজের আবরণ। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে সবুজ চা বাগানও। আরো রয়েছে লেবু ও আনারসের বাগান। উপরে উঠার সিঁড়িগুলোর দুই পাশে সাদা আর মধ্যে দেয়া হয়েছে লাল রঙ। সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে সাদা আর লাল রঙের মিশ্রণ করা হয়েছে । তাছাড়া মসজিদের পাশেই রাখা হয়েছে কবরস্থানের জায়গা। রয়েছে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদের বিশ্রামের জন্য গেস্ট হাউসও।
ভিআইপিদের আসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে হেলিপ্যাডের। গরিব ও অসহায় মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার জন্য রয়েছে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র।
মসজিদের ভেতরে লাগানো দৃষ্টিনন্দন একটি ঝাড়বাতি আনা হয়েছে চীন থেকে। নানান জাতের ফুল গাছ লাগিয়ে সাজানো পুরো মসজিদ এলাকার নাম দেওয়া হয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস। দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ৮০০ লোক নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে ।
এ মসজিদে বার্ষিক ওরসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খাজা এনায়েতপুরীর (রহ.) প্রায় আট হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। মসজিদটি পরিচালিত হচ্ছে খাজা মোজাম্মেল হক (রহ.) ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি ও চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহাজিরাবাদ পাহাড়ে এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ।
তুর্কি নক্সায় নির্মিত মসজিদটি দেখতে এবং নামাজ আদায় করতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন অসংখ্য পর্যটক। মসজিদটির নাম দেয়া হয়েছে মসজিদুল আউলিয়া খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.)।
জানা যায়, উপমহাদেশ খ্যাত আধ্যাত্মিক সুফি-সাধক খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরীর (রহ.) উত্তরসূরি ছিলেন খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.)।
খাজা শাহ্ মোজাম্মেল হক (রহ.) এর সাহেবজাদা খাজা টিপু সুলতান এ মসজিদটি এখানে নির্মাণ করিয়েছেন। শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর থেকে প্রায় ৬-৭ কিলোমিটার দূরে বালিশিরা পাহাড়ের মহাজিরাবাদ এলাকায় এ মসজিদটির অবস্থান।
সমতল থেকে প্রায় ৭০-৮০ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় স্থাপিত মসজিদটিতে যেতে হয় ১৩৯টি সিঁড়ি পেরিয়ে। প্রায় ১৯ বিঘা জমির ওপর নির্মিত মসজিদের চারদিকেই রয়েছে সবুজ পাহাড়। আর এসব পাহাড়ে রয়েছে চোখ জুড়ানো সবুজের আবরণ। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে রয়েছে সবুজ চা বাগানও। আরো রয়েছে লেবু ও আনারসের বাগান। উপরে উঠার সিঁড়িগুলোর দুই পাশে সাদা আর মধ্যে দেয়া হয়েছে লাল রঙ। সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে সাদা আর লাল রঙের মিশ্রণ করা হয়েছে । তাছাড়া মসজিদের পাশেই রাখা হয়েছে কবরস্থানের জায়গা। রয়েছে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের পরিবারের সদস্যদের বিশ্রামের জন্য গেস্ট হাউসও।
ভিআইপিদের আসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে হেলিপ্যাডের। গরিব ও অসহায় মানুষের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার জন্য রয়েছে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র।
মসজিদের ভেতরে লাগানো দৃষ্টিনন্দন একটি ঝাড়বাতি আনা হয়েছে চীন থেকে। নানান জাতের ফুল গাছ লাগিয়ে সাজানো পুরো মসজিদ এলাকার নাম দেওয়া হয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস। দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদে একসঙ্গে প্রায় ৮০০ লোক নামাজ পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে ।
এ মসজিদে বার্ষিক ওরসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা খাজা এনায়েতপুরীর (রহ.) প্রায় আট হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে। মসজিদটি পরিচালিত হচ্ছে খাজা মোজাম্মেল হক (রহ.) ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে।