মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সাংবাদিক মাসুম বাদশাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে এক সাব-ইন্সপেক্টর ( এসআই) ও দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
গত সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম। তিনি বলেন, আহত তিন পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
এর আগে গত রোববার আহত এসআই এবং ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পার্থ শেখর ঘোষ বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে উপজেলার ধল্লা লক্ষীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর ছেলে আক্তার হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার চায়না (৩৫), মৃত রুহুল শিকদারের ছেলে আল ইসলাম (২৯) ও মো. আব্বাস মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৩)।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভোরের কাগজ পত্রিকার সিংগাইর প্রতিনিধি ও দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশাহর ওপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় মাসুম বাদশাহ বাদী হয়ে পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পার্থ শেখর ঘোষ গত ১৯ এপ্রিল দুপুরের দিকে কনস্টেবল মাহাবুবুর রহমান ও শহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ২নং আসামি হুমায়ুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে।
এ সময় তার পরিবার ও আশপাশের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসামি হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে। আসামি হুমায়ুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে গলা চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সব আসামিরা মিলে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে কনস্টেবল মাহাবুবুর রহমান ও শহিদুল ইসলামকে এলোপাতারি মারধর করে হুমায়ুনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে গত রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন।
এদিকে, হুমায়ুনের পরিবারের লোকজন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে। ঘটনার পরদিন হুমায়ুনের স্ত্রীকে দিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে ওই নারী পুলিশি অভিযানে আহত হওয়ার কথা অভিযোগে উল্লেখ করলেও তিনি স্বশরীরে জেলা সদরে গিয়ে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এমন ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।
থানা পুলিশের দাবি, তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অথচ ওই নারী চিকিৎসা না নিয়ে পরদিন এসপি অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি পুলিশকে ফাঁসানোর চেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
অভিযুক্ত হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার বোন জেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ নেত্রী ছালেহা জাহান বলেন, পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে আমি জানি না, ওখানে ছিলাম না। অন্য লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করার কথা বলে লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সাংবাদিক মাসুম বাদশাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে এক সাব-ইন্সপেক্টর ( এসআই) ও দুই পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
গত সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম। তিনি বলেন, আহত তিন পুলিশ সদস্য প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
এর আগে গত রোববার আহত এসআই এবং ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পার্থ শেখর ঘোষ বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে উপজেলার ধল্লা লক্ষীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর ছেলে আক্তার হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার চায়না (৩৫), মৃত রুহুল শিকদারের ছেলে আল ইসলাম (২৯) ও মো. আব্বাস মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৩)।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল সকাল পৌনে ১০টার দিকে ভোরের কাগজ পত্রিকার সিংগাইর প্রতিনিধি ও দৈনিক ফুলকির স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশাহর ওপর হামলা হয়। ওই ঘটনায় মাসুম বাদশাহ বাদী হয়ে পরদিন ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পার্থ শেখর ঘোষ গত ১৯ এপ্রিল দুপুরের দিকে কনস্টেবল মাহাবুবুর রহমান ও শহিদুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ২নং আসামি হুমায়ুনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে।
এ সময় তার পরিবার ও আশপাশের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসামি হুমায়ুনকে গ্রেপ্তারে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশ বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে। আসামি হুমায়ুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে গলা চেপে ধরে হত্যা চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে সব আসামিরা মিলে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে কনস্টেবল মাহাবুবুর রহমান ও শহিদুল ইসলামকে এলোপাতারি মারধর করে হুমায়ুনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে গত রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন।
এদিকে, হুমায়ুনের পরিবারের লোকজন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করছে। ঘটনার পরদিন হুমায়ুনের স্ত্রীকে দিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতে ওই নারী পুলিশি অভিযানে আহত হওয়ার কথা অভিযোগে উল্লেখ করলেও তিনি স্বশরীরে জেলা সদরে গিয়ে অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার সত্যতা মিলেছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর এমন ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন।
থানা পুলিশের দাবি, তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অথচ ওই নারী চিকিৎসা না নিয়ে পরদিন এসপি অফিসে গিয়ে অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি পুলিশকে ফাঁসানোর চেষ্টা ছাড়া অন্য কিছু নয়।
অভিযুক্ত হুমায়ুনের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার বোন জেলা আওয়ামী যুব মহিলা লীগ নেত্রী ছালেহা জাহান বলেন, পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে আমি জানি না, ওখানে ছিলাম না। অন্য লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করার কথা বলে লাইন কেটে দেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জসিম উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।