জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জীবনযাপন করছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের গণোপৌত বিলপাড়া গ্রামের প্রমিলা ও তার দুইকন্যা। অভাব-অনটনের ছায়া গাঢ় হয়ে থাকা এই পরিবারে প্রতিটি দিন যেন এক কঠিন সংগ্রাম।
?প্রমিলা নিজেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুই কন্যা অনামিকা (১০) ও সনজিতা (৮)। তাদের জন্মও হয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে। এভাবেই তারা বেড়ে উঠছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি প্রমিলার স্বামী প্রশন্ন চন্দ্র রায় (৫৫), যিনি নিজেও একহাত প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়েছেন। জীবনযুদ্ধের কঠিন বাস্তবতায় সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে তিনি ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছেন।
সংসারে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে চলা এই পরিবারে বর্তমানে পাঁচজন সদস্য। প্রমিলা ও তার দুই কন্যা প্রতিবন্ধী ভাতা পান এবং তার বৃদ্ধা মা জোছনা বয়স্ক ভাতা পান। তবে তা দিয়ে পরিবারের দৈনন্দিন খরচ, ওষুধ-পথ্য কিংবা খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসাও থমকে আছে টাকার অভাবে।সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর থাকলেও নেই খাবারের নিশ্চয়তা, নেই স্থায়ী আয়ের কোনো ব্যবস্থা। জায়গা-জমিও না থাকায় জীবিকার অন্য কোনো পথ খোলা নেই প্রমিলার পরিবারের সামনে। অভাবের মাঝেও দুই প্রতিবন্ধী কন্যা স্কুলে যাচ্ছে। অনামিকা স্থানীয় বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং সনজিতা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়, এই অনাহারে-অর্ধাহারে তাদের পড়ালেখা কতদিন চলবে?
স্থানীয় দোকানদার ফয়েজ উদ্দিন বলেন, এই পরিবারটি সত্যিই অসহায়। প্রশন্ন মাঝে মধ্যে আমার দোকানে এসে সহায়তা চায়, আমি যতটুকু পারি সহযোগিতা করি।
শিবরামপুর ইউনিয়নেরন মুরারিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিমউদ্দিন আহমেদ জানান, প্রমিলার পরিবারের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। সমাজের হৃদয়বান মানুষদের এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।
এলাকাবাসীও জানিয়েছেন, সরকারি সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানদের সহানুভূতির হাত বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
শিবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায় কার্তিক জানান, সে সরকারি ভাতা ভোগী, তার দুই প্রতিবন্ধী কন্যার জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করি। তবে সমাজের হৃদয়বান মানুষরা তাদের পাশে দাঁড়ালে পরিবারটির কিছুটা কষ্ট নিবারণ হতো।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন, এলাকায় গিয়ে পরিবারটির খোঁজখবর নিয়ে সরকারি অন্যান্য সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জীবনযাপন করছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের গণোপৌত বিলপাড়া গ্রামের প্রমিলা ও তার দুইকন্যা। অভাব-অনটনের ছায়া গাঢ় হয়ে থাকা এই পরিবারে প্রতিটি দিন যেন এক কঠিন সংগ্রাম।
?প্রমিলা নিজেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার দুই কন্যা অনামিকা (১০) ও সনজিতা (৮)। তাদের জন্মও হয়েছে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে। এভাবেই তারা বেড়ে উঠছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তি প্রমিলার স্বামী প্রশন্ন চন্দ্র রায় (৫৫), যিনি নিজেও একহাত প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়েছেন। জীবনযুদ্ধের কঠিন বাস্তবতায় সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে তিনি ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছেন।
সংসারে চরম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে চলা এই পরিবারে বর্তমানে পাঁচজন সদস্য। প্রমিলা ও তার দুই কন্যা প্রতিবন্ধী ভাতা পান এবং তার বৃদ্ধা মা জোছনা বয়স্ক ভাতা পান। তবে তা দিয়ে পরিবারের দৈনন্দিন খরচ, ওষুধ-পথ্য কিংবা খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসাও থমকে আছে টাকার অভাবে।সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর থাকলেও নেই খাবারের নিশ্চয়তা, নেই স্থায়ী আয়ের কোনো ব্যবস্থা। জায়গা-জমিও না থাকায় জীবিকার অন্য কোনো পথ খোলা নেই প্রমিলার পরিবারের সামনে। অভাবের মাঝেও দুই প্রতিবন্ধী কন্যা স্কুলে যাচ্ছে। অনামিকা স্থানীয় বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং সনজিতা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়, এই অনাহারে-অর্ধাহারে তাদের পড়ালেখা কতদিন চলবে?
স্থানীয় দোকানদার ফয়েজ উদ্দিন বলেন, এই পরিবারটি সত্যিই অসহায়। প্রশন্ন মাঝে মধ্যে আমার দোকানে এসে সহায়তা চায়, আমি যতটুকু পারি সহযোগিতা করি।
শিবরামপুর ইউনিয়নেরন মুরারিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিমউদ্দিন আহমেদ জানান, প্রমিলার পরিবারের অবস্থা অত্যন্ত করুণ। সমাজের হৃদয়বান মানুষদের এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি।
এলাকাবাসীও জানিয়েছেন, সরকারি সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ও সমাজের বিত্তবানদের সহানুভূতির হাত বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
শিবরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায় কার্তিক জানান, সে সরকারি ভাতা ভোগী, তার দুই প্রতিবন্ধী কন্যার জন্য প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করি। তবে সমাজের হৃদয়বান মানুষরা তাদের পাশে দাঁড়ালে পরিবারটির কিছুটা কষ্ট নিবারণ হতো।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন, এলাকায় গিয়ে পরিবারটির খোঁজখবর নিয়ে সরকারি অন্যান্য সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।