বোয়ালখালীতে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ব্যাটারিচালিত মোটর রিক্সা। অনিয়ন্ত্রিত মোটর রিক্সার কারণে প্রতিদিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
সারাদেশের ন্যায় হঠাৎ করে অল্প সময়ে বোয়ালখালীতে ব্যাটারিচালিত মোটর রিক্সা বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত যানজটের শিকার হতে হচ্ছে।
এদিকে বোয়ালখালীতে অবৈধ ওই বাহনটির সংখ্যা কত রয়েছে, তা জানা নেই পৌর প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এছাড়াও ওইসব রিকশা কারা নিয়ন্ত্রণ করছে সেই বিষয়টিও জানে না প্রশাসন। তাই ব্যাটারিচালিত মোটর রিক্সাগুলো এখন গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক কানিজ ফাতেমা।
তিনি বলেন, সরকারি নিবন্ধনের মধ্যে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রয়েছে অনেক। আছে সিএনজি চালিত টিকটিকি টেম্পোও। উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে আভ্যন্তরীণ সড়কসহ অলিতে-গলিতে সর্বত্র দাপিয়ে চলছে অগুনিত ব্যাটারী চালিত মোটর রিক্সা। এদের নেই কোনো শৃঙ্খলা, নেই কোন প্রশিক্ষণ, অনেক চালকই বয়সে কিশোর। আইন ও নিয়ম শৃঙ্খলা সম্পর্কে এসব চালকদের কোন ধারণাই নাই। এলোমেলো চলাচলের কারণে দুর্ঘটনাও বেড়েছে অনেক বেশি। বিশেষ করে উপজেলা সড়কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যানজট লেগেই থাকে। যার কারণে সাধারণ মানুষকে এখন অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করতে হয়। কয়েকজন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন,
বিপুলসংখ্যক মোটররিকশার চাপে অন্যান্য পরিবহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। আর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো মোটর রিক্সার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটলে দুপক্ষই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়ে বিশৃঙ্খলা লেগে যায়। মোটর রিকশার অস্বাভাবিক গতি এবং দুর্বল ব্রেক সিস্টেম এর কারণে প্রায়ই যাত্রী পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার প্রধান সড়কে জ্যামে পড়া কয়েকজন পথচারী জানান, আগে মোটর রিকশার পরিমাণ কম ছিল। বর্তমানে এগুলোর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, এদের নেই কোনো হিসাব ও নিয়মশৃঙ্খলা। নেই কোনো ধরা-বাধা নিয়ম। মোটররিকশার সৃষ্ট জ্যামে পড়ে নাজেহাল হতে হয় সব ধরনের মানুষকে।
এছাড়াও এসব ব্যাটারিচালিত মোটররিকশা রিচার্জ করতে প্রচুর বিদ্যুতেরও প্রয়োজন হয়। এজন্য কোন কোন জায়গায় বিদ্যুৎ চার্জ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যেখানে মোটররিকশা রিচার্জ করা হয়। এতে করে দুই ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, বিদ্যুৎ বিভাগ অর্থ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর গ্রাহক বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে। এর প্রভাবও সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে। অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা আনয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
বোয়ালখালীতে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ব্যাটারিচালিত মোটর রিক্সা। অনিয়ন্ত্রিত মোটর রিক্সার কারণে প্রতিদিন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা।
সারাদেশের ন্যায় হঠাৎ করে অল্প সময়ে বোয়ালখালীতে ব্যাটারিচালিত মোটর রিক্সা বেড়ে যাওয়ায় এলাকাবাসীকে প্রতিনিয়ত যানজটের শিকার হতে হচ্ছে।
এদিকে বোয়ালখালীতে অবৈধ ওই বাহনটির সংখ্যা কত রয়েছে, তা জানা নেই পৌর প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে। এছাড়াও ওইসব রিকশা কারা নিয়ন্ত্রণ করছে সেই বিষয়টিও জানে না প্রশাসন। তাই ব্যাটারিচালিত মোটর রিক্সাগুলো এখন গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও পৌর প্রশাসক কানিজ ফাতেমা।
তিনি বলেন, সরকারি নিবন্ধনের মধ্যে দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রয়েছে অনেক। আছে সিএনজি চালিত টিকটিকি টেম্পোও। উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে আভ্যন্তরীণ সড়কসহ অলিতে-গলিতে সর্বত্র দাপিয়ে চলছে অগুনিত ব্যাটারী চালিত মোটর রিক্সা। এদের নেই কোনো শৃঙ্খলা, নেই কোন প্রশিক্ষণ, অনেক চালকই বয়সে কিশোর। আইন ও নিয়ম শৃঙ্খলা সম্পর্কে এসব চালকদের কোন ধারণাই নাই। এলোমেলো চলাচলের কারণে দুর্ঘটনাও বেড়েছে অনেক বেশি। বিশেষ করে উপজেলা সড়কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যানজট লেগেই থাকে। যার কারণে সাধারণ মানুষকে এখন অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করতে হয়। কয়েকজন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সাথে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন,
বিপুলসংখ্যক মোটররিকশার চাপে অন্যান্য পরিবহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটে। আর সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো মোটর রিক্সার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটলে দুপক্ষই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এতে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়ে বিশৃঙ্খলা লেগে যায়। মোটর রিকশার অস্বাভাবিক গতি এবং দুর্বল ব্রেক সিস্টেম এর কারণে প্রায়ই যাত্রী পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার প্রধান সড়কে জ্যামে পড়া কয়েকজন পথচারী জানান, আগে মোটর রিকশার পরিমাণ কম ছিল। বর্তমানে এগুলোর সংখ্যা এতটাই বেড়েছে যে, এদের নেই কোনো হিসাব ও নিয়মশৃঙ্খলা। নেই কোনো ধরা-বাধা নিয়ম। মোটররিকশার সৃষ্ট জ্যামে পড়ে নাজেহাল হতে হয় সব ধরনের মানুষকে।
এছাড়াও এসব ব্যাটারিচালিত মোটররিকশা রিচার্জ করতে প্রচুর বিদ্যুতেরও প্রয়োজন হয়। এজন্য কোন কোন জায়গায় বিদ্যুৎ চার্জ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যেখানে মোটররিকশা রিচার্জ করা হয়। এতে করে দুই ধরনের ক্ষতি হচ্ছে, বিদ্যুৎ বিভাগ অর্থ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর গ্রাহক বিদ্যুৎ কম পাচ্ছে। এর প্রভাবও সাধারণ মানুষের ওপর পড়ছে। অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা আনয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।