বন বিভাগের জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের তিনটি গ্রামের হাজার পাঁচেক মানুষ। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার তালতলী বাজারে এ কর্মসূচি করেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা জানান, তালতলীসহ আশপাশের তিনটি গ্রামে বন বিভাগের জায়গায় দুই হাজারের বেশি পরিবার বসতবাড়ি নির্মাণ করে ১০ যুগেরও বেশি সময় বসবাস করে আসছে। গত রবিবার (২০ এপ্রিল) বনবিভাগের পক্ষ থেকে আগামী চার দিনের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেয়াসহ জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দেয়।
সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় কর্মসূচিতে আসা ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, শারফুল ইসলাম, সখিনা বেগম (৭০), গোলেছা (৫০) এবং এলাচি বেগমের (৬৫) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দারিদ্র্যের কারণেই বংশ পরম্পরায় তারা বন বিভাগের জায়গায় থাকেন। অন্য কোথাও তাদের মাথা গোজার ঠাই নেই। বন বিভাগ তা জানে।
সখিনা বেগম (৭০) বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন জমিজমা নেই। এক যুগেরও বেশি সময় যাবত বনের জমিতে বাপ-দাদাদের পর আমরা বসতবাড়ি করে ছেলে-পুলে, নাতি-নাতনি নিয়ে বসবাস করছি। বন বিভাগ হঠাৎ করে আমাদের বসতভিটা ছাড়তে নোটিশ দিয়েছে। আমরা কই যাবো নাতি-পুতি ও ছেলে সন্তান নিয়ে? খোলা আকাশের নিচে বসা ছাড়া আমাদের কোন রাস্তা নেই।
ষাটোর্ধ্ব নারী সখিনা বানু বলেন, আমাদের চোখের জলের কোনো মূল্য নেই। স্বামীর ভিটেমাটি আমাদের ছাড়তে নোটিশ দিছে। এই বৃদ্ধ বয়সে কই যাবো। শ্বশুরের পর স্বামী মরলো এই ভিটায়। শেষ বয়সে এসে এমন খবর পাইছি। আমরা তো বন বিভাগের কোনো গাছপালা কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করিনি। তাহলে আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন?
ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন বলেন, গরিবের ওপর এটা কেমন জুলুম। এই বয়সে বসতবাড়ির জন্য রাস্তায় এসে কান্না করতে হয়। আমরা সরকারের দয়া চাই, সরকার যেন আমাদের ওপর দয়া করে। আমাদের খুপরি ঘরগুলো যেন রক্ষা পায়। আমাদের তো কোন নিজস্ব জমি নেই। সরকারি বনভূমিতে তো দীর্ঘ বছর যাবৎ বসবাস করছি।
শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, বনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতবাড়ি নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। যেসব পরিবার বা যারা বনভূমি জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদেরকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
বন বিভাগের জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের তিনটি গ্রামের হাজার পাঁচেক মানুষ। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার তালতলী বাজারে এ কর্মসূচি করেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা জানান, তালতলীসহ আশপাশের তিনটি গ্রামে বন বিভাগের জায়গায় দুই হাজারের বেশি পরিবার বসতবাড়ি নির্মাণ করে ১০ যুগেরও বেশি সময় বসবাস করে আসছে। গত রবিবার (২০ এপ্রিল) বনবিভাগের পক্ষ থেকে আগামী চার দিনের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেয়াসহ জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দেয়।
সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় কর্মসূচিতে আসা ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, শারফুল ইসলাম, সখিনা বেগম (৭০), গোলেছা (৫০) এবং এলাচি বেগমের (৬৫) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দারিদ্র্যের কারণেই বংশ পরম্পরায় তারা বন বিভাগের জায়গায় থাকেন। অন্য কোথাও তাদের মাথা গোজার ঠাই নেই। বন বিভাগ তা জানে।
সখিনা বেগম (৭০) বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন জমিজমা নেই। এক যুগেরও বেশি সময় যাবত বনের জমিতে বাপ-দাদাদের পর আমরা বসতবাড়ি করে ছেলে-পুলে, নাতি-নাতনি নিয়ে বসবাস করছি। বন বিভাগ হঠাৎ করে আমাদের বসতভিটা ছাড়তে নোটিশ দিয়েছে। আমরা কই যাবো নাতি-পুতি ও ছেলে সন্তান নিয়ে? খোলা আকাশের নিচে বসা ছাড়া আমাদের কোন রাস্তা নেই।
ষাটোর্ধ্ব নারী সখিনা বানু বলেন, আমাদের চোখের জলের কোনো মূল্য নেই। স্বামীর ভিটেমাটি আমাদের ছাড়তে নোটিশ দিছে। এই বৃদ্ধ বয়সে কই যাবো। শ্বশুরের পর স্বামী মরলো এই ভিটায়। শেষ বয়সে এসে এমন খবর পাইছি। আমরা তো বন বিভাগের কোনো গাছপালা কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করিনি। তাহলে আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন?
ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন বলেন, গরিবের ওপর এটা কেমন জুলুম। এই বয়সে বসতবাড়ির জন্য রাস্তায় এসে কান্না করতে হয়। আমরা সরকারের দয়া চাই, সরকার যেন আমাদের ওপর দয়া করে। আমাদের খুপরি ঘরগুলো যেন রক্ষা পায়। আমাদের তো কোন নিজস্ব জমি নেই। সরকারি বনভূমিতে তো দীর্ঘ বছর যাবৎ বসবাস করছি।
শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, বনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতবাড়ি নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। যেসব পরিবার বা যারা বনভূমি জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদেরকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।