alt

সারাদেশ

জমি ছাড়তে বন বিভাগের নোটিশ, বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কায় প্রতিবাদে গাজীপুরের দুই হাজার পরিবার

প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর) : মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

বন বিভাগের জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের তিনটি গ্রামের হাজার পাঁচেক মানুষ। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার তালতলী বাজারে এ কর্মসূচি করেন তারা।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা জানান, তালতলীসহ আশপাশের তিনটি গ্রামে বন বিভাগের জায়গায় দুই হাজারের বেশি পরিবার বসতবাড়ি নির্মাণ করে ১০ যুগেরও বেশি সময় বসবাস করে আসছে। গত রবিবার (২০ এপ্রিল) বনবিভাগের পক্ষ থেকে আগামী চার দিনের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেয়াসহ জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দেয়।

সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় কর্মসূচিতে আসা ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, শারফুল ইসলাম, সখিনা বেগম (৭০), গোলেছা (৫০) এবং এলাচি বেগমের (৬৫) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দারিদ্র্যের কারণেই বংশ পরম্পরায় তারা বন বিভাগের জায়গায় থাকেন। অন্য কোথাও তাদের মাথা গোজার ঠাই নেই। বন বিভাগ তা জানে।

সখিনা বেগম (৭০) বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন জমিজমা নেই। এক যুগেরও বেশি সময় যাবত বনের জমিতে বাপ-দাদাদের পর আমরা বসতবাড়ি করে ছেলে-পুলে, নাতি-নাতনি নিয়ে বসবাস করছি। বন বিভাগ হঠাৎ করে আমাদের বসতভিটা ছাড়তে নোটিশ দিয়েছে। আমরা কই যাবো নাতি-পুতি ও ছেলে সন্তান নিয়ে? খোলা আকাশের নিচে বসা ছাড়া আমাদের কোন রাস্তা নেই।

ষাটোর্ধ্ব নারী সখিনা বানু বলেন, আমাদের চোখের জলের কোনো মূল্য নেই। স্বামীর ভিটেমাটি আমাদের ছাড়তে নোটিশ দিছে। এই বৃদ্ধ বয়সে কই যাবো। শ্বশুরের পর স্বামী মরলো এই ভিটায়। শেষ বয়সে এসে এমন খবর পাইছি। আমরা তো বন বিভাগের কোনো গাছপালা কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করিনি। তাহলে আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন?

ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন বলেন, গরিবের ওপর এটা কেমন জুলুম। এই বয়সে বসতবাড়ির জন্য রাস্তায় এসে কান্না করতে হয়। আমরা সরকারের দয়া চাই, সরকার যেন আমাদের ওপর দয়া করে। আমাদের খুপরি ঘরগুলো যেন রক্ষা পায়। আমাদের তো কোন নিজস্ব জমি নেই। সরকারি বনভূমিতে তো দীর্ঘ বছর যাবৎ বসবাস করছি।

শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, বনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতবাড়ি নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। যেসব পরিবার বা যারা বনভূমি জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদেরকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।

ছবি

১০ যুগেরও বেশি সময় বসবাস করা বাসতভিটা রক্ষার দাবী গ্রামবাসীর

ছবি

বরেন্দ্র কৃষিতে পদ্মার ছোঁয়া, পাইপলাইনে পদ্মার পানি ব্যবহার করে চাষাবাদ

ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ছাত্রদলের প্রিজাইটিং অফিসার

পটিয়ায় মসজিদের বিরোধে রক্তাক্ত, প্রভাবশালীর চাপে মামলা নেয়নি পুলিশ

শিশু সোয়াইবের সারা শরীর জুড়ে ছ্যাঁকা, হাতের নখ উপড়ানো, করানো হতো ভিক্ষা

ছবি

সোনাগাজীতে বিএনপি কর্মী আবুল হাসেমকে কুপিয়ে হত্যা, একজন আটক

সোনারগাঁয়ে চিকিৎসকের আত্মহত্যা

সরকার উৎখাতের চক্রান্তের অভিযোগ, পাবনায় সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ্যে যুবককে গুলি করে হত্যা : পৃথক গুলির ঘটনায় সিএনজি চালক আহত

সোনারগাঁয়ে চিকিৎসকের আত্মহত্যা

ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ছাত্রদলের প্রিজাইটিং অফিসার

চুনারুঘাটে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার

মোটর গ্যারেজে অগ্নিকা-, পুড়লো ২ ট্রাক, ঝলসে গেল ২ প্রাণ

শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চে বসা নিয়ে ছুরিকাঘাত, দুই শিক্ষার্থী আহত

দুই জেলায় ২ মরদেহ উদ্ধার

৩ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র ভাঙচুর

ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু

পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলা করায় ২৭ শিক্ষককে অব্যাহতি

খাগড়াছড়িতে ৩ মাসেও চালু হয়নি মোবাইলফোন টাওয়ার

ছবি

ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পলিথিনে মোড়ানো অ্যাম্বুলেন্স, সেবাবঞ্চিত রোগীরা

ফসলি জমিতে পুকুর খনন, জেল-জরিমানা

রূপগঞ্জে রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

তিন শিশুকে বলাৎকার মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার

বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় একই পরিবারের ৬ জনকে পিটিয়ে জখম

কুষ্টিয়ার পৌর কর্মচারীদের ৪৩ মাসের বেতন বকেয়া, ফটকে তালা দিয়ে কর্মবিরতি

তেঁতুলিয়ায় রাস্তা নির্মাণে বালুর বদলে মাটি

যানজট আর দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত রিকশা

টেকনাফে যৌথ বাহিনীর গুলিতে ডাকাতি মামলার আসামি গুলিবিদ্ধ

ছবি

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা

দাউদকান্দিতে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি ও ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ছবি

ঝালকাঠিতে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী

মুন্সীগঞ্জে জুসে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে লুটপাট ৩ আসামির দণ্ড ৫ বছর

ছবি

ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিম্নমানের খাবার সরবরাহসহ নানা অনিয়ম

tab

সারাদেশ

জমি ছাড়তে বন বিভাগের নোটিশ, বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কায় প্রতিবাদে গাজীপুরের দুই হাজার পরিবার

প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর)

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

বন বিভাগের জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের তিনটি গ্রামের হাজার পাঁচেক মানুষ। মঙ্গলবার, (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী উপজেলার তালতলী বাজারে এ কর্মসূচি করেন তারা।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া ব্যক্তিরা জানান, তালতলীসহ আশপাশের তিনটি গ্রামে বন বিভাগের জায়গায় দুই হাজারের বেশি পরিবার বসতবাড়ি নির্মাণ করে ১০ যুগেরও বেশি সময় বসবাস করে আসছে। গত রবিবার (২০ এপ্রিল) বনবিভাগের পক্ষ থেকে আগামী চার দিনের মধ্যে মালামাল সরিয়ে নেয়াসহ জমি ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দেয়।

সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় কর্মসূচিতে আসা ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, শারফুল ইসলাম, সখিনা বেগম (৭০), গোলেছা (৫০) এবং এলাচি বেগমের (৬৫) সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দারিদ্র্যের কারণেই বংশ পরম্পরায় তারা বন বিভাগের জায়গায় থাকেন। অন্য কোথাও তাদের মাথা গোজার ঠাই নেই। বন বিভাগ তা জানে।

সখিনা বেগম (৭০) বলেন, আমাদের নিজস্ব কোন জমিজমা নেই। এক যুগেরও বেশি সময় যাবত বনের জমিতে বাপ-দাদাদের পর আমরা বসতবাড়ি করে ছেলে-পুলে, নাতি-নাতনি নিয়ে বসবাস করছি। বন বিভাগ হঠাৎ করে আমাদের বসতভিটা ছাড়তে নোটিশ দিয়েছে। আমরা কই যাবো নাতি-পুতি ও ছেলে সন্তান নিয়ে? খোলা আকাশের নিচে বসা ছাড়া আমাদের কোন রাস্তা নেই।

ষাটোর্ধ্ব নারী সখিনা বানু বলেন, আমাদের চোখের জলের কোনো মূল্য নেই। স্বামীর ভিটেমাটি আমাদের ছাড়তে নোটিশ দিছে। এই বৃদ্ধ বয়সে কই যাবো। শ্বশুরের পর স্বামী মরলো এই ভিটায়। শেষ বয়সে এসে এমন খবর পাইছি। আমরা তো বন বিভাগের কোনো গাছপালা কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করিনি। তাহলে আমাদের ওপর এমন জুলুম কেন?

ষাটোর্ধ্ব আজিম উদ্দিন বলেন, গরিবের ওপর এটা কেমন জুলুম। এই বয়সে বসতবাড়ির জন্য রাস্তায় এসে কান্না করতে হয়। আমরা সরকারের দয়া চাই, সরকার যেন আমাদের ওপর দয়া করে। আমাদের খুপরি ঘরগুলো যেন রক্ষা পায়। আমাদের তো কোন নিজস্ব জমি নেই। সরকারি বনভূমিতে তো দীর্ঘ বছর যাবৎ বসবাস করছি।

শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, বনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতবাড়ি নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। যেসব পরিবার বা যারা বনভূমি জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদেরকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।

back to top