গাজীপুরের শ্রীপুরে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে দুই সহস্রাধিক পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষোভকারীরা তালতলীসহ আশপাশের তিনটি গ্রামের বন বিভাগের জায়গায় বসতবাড়ী নির্মাণ করে ১০ যুগেরও বেশি সময় যাবত বসবাস করে আসছিল। বসবাসকারী ওইসব পরিবারকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয় বন বিভাগ। রবিবার (২০ এপ্রিল) চারদিনের সময় বেঁধে দিয়ে ওই নোটিশ দেয় বন বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘন্টাব্যাপী উপজেলার তালতলী বাজারে এসব কর্মসূচী পালন করে তারা তিন গ্রামের পাঁচ হাজার নারী, পুরুষ, শিশু বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বন বিভাগের নোটিশে ক্ষুব্দ হয়ে পড়ে ওইসব এলাকার গণমানুষ। পরে ওইসব গ্রামের বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার নারী, পুরুষ, শিশু বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ওই কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
ষাটোর্ধ আজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, শারফুল ইসলাম, সখিনা বেগম (৭০), গোলেছা (৫০) এবং এলাচি বেগম (৬৫) জানায়, বংশ পরম্পরায় দারিদ্র সীমার নিচে জেনেশুনে বন বিভাগের জায়গায় মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। দীর্ঘদিনেও তাদের জীবন মানের কোনো উন্নতি না হওয়ায় তারা অন্যত্র মাথা গোঁজার ঠাঁয় করতে পারেনি। এরই মধ্যে ওইসব এলাকায় জীবন ধারনের জন্য দীনমজুর, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, হকার, ফেরিওয়ালাসহ নানা পেশায় যুক্ত হয়ে কোনো রকমে জীবনযাপন করছে। তাদের বসবাসের জন্য ঠাঁয় করে দেয়া রাষ্ট্রের পূর্ণ দায়িত্ব। কিন্তু সমাজের অন্য ৮/১০ জন মানুষের মতো স্বচ্ছল জীবধারণ করতে না পারা পর্যন্ত তাদের উচ্ছেদ নোটিশ প্রত্যাহার করার দাবী জানান। অন্যথায় কোনো উপায়ন্তুর না দেখে আত্মাহুতির পথ বেছে নেয়ার হুমকি দেয়।
শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, বনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতবাড়ি নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। যেসব পরিবার বা যারা বনভূমি জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদেরকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে দুই সহস্রাধিক পরিবারের সদস্যরা। বিক্ষোভকারীরা তালতলীসহ আশপাশের তিনটি গ্রামের বন বিভাগের জায়গায় বসতবাড়ী নির্মাণ করে ১০ যুগেরও বেশি সময় যাবত বসবাস করে আসছিল। বসবাসকারী ওইসব পরিবারকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয় বন বিভাগ। রবিবার (২০ এপ্রিল) চারদিনের সময় বেঁধে দিয়ে ওই নোটিশ দেয় বন বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এক ঘন্টাব্যাপী উপজেলার তালতলী বাজারে এসব কর্মসূচী পালন করে তারা তিন গ্রামের পাঁচ হাজার নারী, পুরুষ, শিশু বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
বন বিভাগের নোটিশে ক্ষুব্দ হয়ে পড়ে ওইসব এলাকার গণমানুষ। পরে ওইসব গ্রামের বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার নারী, পুরুষ, শিশু বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ওই কর্মসূচীতে অংশ নেয়।
ষাটোর্ধ আজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, শারফুল ইসলাম, সখিনা বেগম (৭০), গোলেছা (৫০) এবং এলাচি বেগম (৬৫) জানায়, বংশ পরম্পরায় দারিদ্র সীমার নিচে জেনেশুনে বন বিভাগের জায়গায় মানবেতর জীবনযাপন করে আসছে। দীর্ঘদিনেও তাদের জীবন মানের কোনো উন্নতি না হওয়ায় তারা অন্যত্র মাথা গোঁজার ঠাঁয় করতে পারেনি। এরই মধ্যে ওইসব এলাকায় জীবন ধারনের জন্য দীনমজুর, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, হকার, ফেরিওয়ালাসহ নানা পেশায় যুক্ত হয়ে কোনো রকমে জীবনযাপন করছে। তাদের বসবাসের জন্য ঠাঁয় করে দেয়া রাষ্ট্রের পূর্ণ দায়িত্ব। কিন্তু সমাজের অন্য ৮/১০ জন মানুষের মতো স্বচ্ছল জীবধারণ করতে না পারা পর্যন্ত তাদের উচ্ছেদ নোটিশ প্রত্যাহার করার দাবী জানান। অন্যথায় কোনো উপায়ন্তুর না দেখে আত্মাহুতির পথ বেছে নেয়ার হুমকি দেয়।
শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, বনের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বসতবাড়ি নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে। যেসব পরিবার বা যারা বনভূমি জবরদখল করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে তাদেরকে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেয়াসহ মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হয়েছে।