রাজবাড়ী সদর উপজেলার মাটিপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ১৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মাছ চাষি বিএনপির নেতা কাজী আরাফাত হাসান জিসান। গত সোমবার রাতে মাটিপাড়ার কাজী আরাফাত হাসান জিসানের ইটভাটার পুকুরে এই বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার সকালে মাছ মরে ভেসে উঠলে বিষ প্রয়োগ করার বিষয়টি টের পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মাছ চাষী রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সদস্য কাজী আরাফাত হোসেন জিসান বাদি হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুকুর মালিক কাজী আরাফাত হাসান জিসান বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি মাছ চাষ করে থাকি। আমার সাথে জমিজমা নিয়ে কয়েকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত সোমবার তারা রাতের অন্ধকারে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। ১৬ লক্ষাধিক টাকার মাছ ছিল এই পুকুরে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমি এর বিচার চাই। ভবিষ্যতে যাতে আর কোন মৎস্য খামারির পুকুরে কেউ বিষ প্রয়োগ করে এমন ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার পাশাপাশি কাজী আরাফাত হাসান জিসান মাছ চাষ করে আসছেন। রাতে কারা যেনো বিষ দিয়েছে পুকুরে। পুকুরে রুই, কাতল, তেলাপিয়া, পাঙাস, পুটি এবং শিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। সকালে এসে দেখি পুকুরে মাছ মরে ভেসে রয়েছে।
মোতাহার নামের আরেকজন বলেন,আমি ভাটাতেই কাজ করি। সকালে গিয়ে দেখি বিভিন্ন প্রকারের মাছ মরে ভেসে আছে। গত ৮ মাস আগে ৩ লাখ টাকারও অধিক ছোট মাছের পোনা ছেড়েছিলেন চাষি। স্থানীয় জেলে উজ্জল সরদার বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছের পোনা গত ৮ মাস আগে এই পুকুরে ছেড়েছিলাম। বর্তমানে এই পুকুরে ২০০ থেকে ২৫০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিলো। আমরা এসে দেখি মাছ মরে ভেসে রয়েছে। মাছ পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে।পরে আমি দলবল নিয়ে জাল টান দিয়ে মরা মাছগুলো পুকুর থেকে সরিয়ে ফেলি। যে পুকুরে টাকি ও শিং মাছ মরে ভেসে উঠে সেই পুকুরে আর মাছ থাকে না, সবই মরে যায়। গ্যাসে মাছ এভাবে মারা যায় না। শত্রুতা করে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, খবর পেয়ে পুকুর থেকে পানি, ছবি এবং মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। পুকুর মালিককে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাছচাষি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মাটিপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে ১৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মাছ চাষি বিএনপির নেতা কাজী আরাফাত হাসান জিসান। গত সোমবার রাতে মাটিপাড়ার কাজী আরাফাত হাসান জিসানের ইটভাটার পুকুরে এই বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে। গত মঙ্গলবার সকালে মাছ মরে ভেসে উঠলে বিষ প্রয়োগ করার বিষয়টি টের পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মাছ চাষী রাজবাড়ী পৌর বিএনপির সদস্য কাজী আরাফাত হোসেন জিসান বাদি হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুকুর মালিক কাজী আরাফাত হাসান জিসান বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি মাছ চাষ করে থাকি। আমার সাথে জমিজমা নিয়ে কয়েকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। গত সোমবার তারা রাতের অন্ধকারে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। ১৬ লক্ষাধিক টাকার মাছ ছিল এই পুকুরে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমি এর বিচার চাই। ভবিষ্যতে যাতে আর কোন মৎস্য খামারির পুকুরে কেউ বিষ প্রয়োগ করে এমন ক্ষতিগ্রস্ত না করে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার পাশাপাশি কাজী আরাফাত হাসান জিসান মাছ চাষ করে আসছেন। রাতে কারা যেনো বিষ দিয়েছে পুকুরে। পুকুরে রুই, কাতল, তেলাপিয়া, পাঙাস, পুটি এবং শিংসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। সকালে এসে দেখি পুকুরে মাছ মরে ভেসে রয়েছে।
মোতাহার নামের আরেকজন বলেন,আমি ভাটাতেই কাজ করি। সকালে গিয়ে দেখি বিভিন্ন প্রকারের মাছ মরে ভেসে আছে। গত ৮ মাস আগে ৩ লাখ টাকারও অধিক ছোট মাছের পোনা ছেড়েছিলেন চাষি। স্থানীয় জেলে উজ্জল সরদার বলেন, বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছের পোনা গত ৮ মাস আগে এই পুকুরে ছেড়েছিলাম। বর্তমানে এই পুকুরে ২০০ থেকে ২৫০ মন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিলো। আমরা এসে দেখি মাছ মরে ভেসে রয়েছে। মাছ পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে।পরে আমি দলবল নিয়ে জাল টান দিয়ে মরা মাছগুলো পুকুর থেকে সরিয়ে ফেলি। যে পুকুরে টাকি ও শিং মাছ মরে ভেসে উঠে সেই পুকুরে আর মাছ থাকে না, সবই মরে যায়। গ্যাসে মাছ এভাবে মারা যায় না। শত্রুতা করে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন, খবর পেয়ে পুকুর থেকে পানি, ছবি এবং মাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। পুকুর মালিককে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাছচাষি একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।