চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বুধবার বেলা তিনটায় পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ। এক দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আর্দ্রতা কমেছে ৩৩ শতাংশ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে এটি জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে, এরপর দুই দিন স্থিতিশীল থেকে ২৭ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ১৪ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ১৬ মার্চ ৩৬ দশমিক ৪, ২৭ মার্চ ৩৭ দশমিক ৫, ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৮, ২৯ মার্চ ৩৮ দশমিক ৫, ৩০ মার্চ ৩৬, ৩ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ২, ৫ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৪, ২২ এপ্রিল ৩৬ দশমিক ৩ এবং আজ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবে ১৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত ১১ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যার মধ্যে আট দিন ছিল মৃদু এবং তিন দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ।
তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বাইরে চলাচল কমেছে। শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। কাপড় বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘দিনির বেলা গিরামের খদ্দের বেশি আসে। তাপ বাইড়ে যাওয়ায় খদ্দের বাজারে আসা কুমে গিয়েচে। বেচাকিনা না থাকায় শুয়েবসে কাটাতি হচ্চে।’
এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই মেঘলা আকাশ কৃষকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় ভুট্টা ও বোরো ধান ঘরে তোলার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকেরা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি দাবি করছেন।
সদর উপজেলার বোয়ালমারী মাঠে কচুখেতে সেচ দিচ্ছিলেন কৃষক আবুল কাশেম। রোদ থেকে বাঁচতে শ্যালো মেশিনের পাশে মোটা চটের ছাউনি দিয়েছেন। মাঝে মাঝে ছাউনির নিচে বসে শ্যালো মেশিনের পানি চোখেমুখে ছিটাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘রোইদ আর গরমে টিকা যাচ্চে না। মন বলচে না মাঠে আসি। বাড়ি বইস থাকারও উপায় নেই। জনের দাম অ্যাকন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্যাকা। আগে যেকেনে ছিল ৪০০ ট্যাকা। একই সুমাইতি ধান কাটা, ভুট্টা তুলা, পাট নিড়ানি, কচু নিড়ানির কারণে বেশি ট্যাকা দিয়েই জোন পাওয়া যাচ্চে না। তাই নিজিই জমিতি আসিচি।’
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বুধবার বেলা তিনটায় পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ। এক দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আর্দ্রতা কমেছে ৩৩ শতাংশ।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে এটি জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে, এরপর দুই দিন স্থিতিশীল থেকে ২৭ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ১৪ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ১৬ মার্চ ৩৬ দশমিক ৪, ২৭ মার্চ ৩৭ দশমিক ৫, ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৮, ২৯ মার্চ ৩৮ দশমিক ৫, ৩০ মার্চ ৩৬, ৩ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ২, ৫ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৪, ২২ এপ্রিল ৩৬ দশমিক ৩ এবং আজ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবে ১৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত ১১ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যার মধ্যে আট দিন ছিল মৃদু এবং তিন দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ।
তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বাইরে চলাচল কমেছে। শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। কাপড় বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘দিনির বেলা গিরামের খদ্দের বেশি আসে। তাপ বাইড়ে যাওয়ায় খদ্দের বাজারে আসা কুমে গিয়েচে। বেচাকিনা না থাকায় শুয়েবসে কাটাতি হচ্চে।’
এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই মেঘলা আকাশ কৃষকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় ভুট্টা ও বোরো ধান ঘরে তোলার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকেরা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি দাবি করছেন।
সদর উপজেলার বোয়ালমারী মাঠে কচুখেতে সেচ দিচ্ছিলেন কৃষক আবুল কাশেম। রোদ থেকে বাঁচতে শ্যালো মেশিনের পাশে মোটা চটের ছাউনি দিয়েছেন। মাঝে মাঝে ছাউনির নিচে বসে শ্যালো মেশিনের পানি চোখেমুখে ছিটাচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘রোইদ আর গরমে টিকা যাচ্চে না। মন বলচে না মাঠে আসি। বাড়ি বইস থাকারও উপায় নেই। জনের দাম অ্যাকন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্যাকা। আগে যেকেনে ছিল ৪০০ ট্যাকা। একই সুমাইতি ধান কাটা, ভুট্টা তুলা, পাট নিড়ানি, কচু নিড়ানির কারণে বেশি ট্যাকা দিয়েই জোন পাওয়া যাচ্চে না। তাই নিজিই জমিতি আসিচি।’