alt

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস জনজীবন, কৃষিকাজেও প্রভাব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বুধবার বেলা তিনটায় পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ। এক দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আর্দ্রতা কমেছে ৩৩ শতাংশ।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে এটি জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে, এরপর দুই দিন স্থিতিশীল থেকে ২৭ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ১৪ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ১৬ মার্চ ৩৬ দশমিক ৪, ২৭ মার্চ ৩৭ দশমিক ৫, ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৮, ২৯ মার্চ ৩৮ দশমিক ৫, ৩০ মার্চ ৩৬, ৩ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ২, ৫ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৪, ২২ এপ্রিল ৩৬ দশমিক ৩ এবং আজ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবে ১৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত ১১ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যার মধ্যে আট দিন ছিল মৃদু এবং তিন দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বাইরে চলাচল কমেছে। শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। কাপড় বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘দিনির বেলা গিরামের খদ্দের বেশি আসে। তাপ বাইড়ে যাওয়ায় খদ্দের বাজারে আসা কুমে গিয়েচে। বেচাকিনা না থাকায় শুয়েবসে কাটাতি হচ্চে।’

এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই মেঘলা আকাশ কৃষকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় ভুট্টা ও বোরো ধান ঘরে তোলার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকেরা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি দাবি করছেন।

সদর উপজেলার বোয়ালমারী মাঠে কচুখেতে সেচ দিচ্ছিলেন কৃষক আবুল কাশেম। রোদ থেকে বাঁচতে শ্যালো মেশিনের পাশে মোটা চটের ছাউনি দিয়েছেন। মাঝে মাঝে ছাউনির নিচে বসে শ্যালো মেশিনের পানি চোখেমুখে ছিটাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘রোইদ আর গরমে টিকা যাচ্চে না। মন বলচে না মাঠে আসি। বাড়ি বইস থাকারও উপায় নেই। জনের দাম অ্যাকন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্যাকা। আগে যেকেনে ছিল ৪০০ ট্যাকা। একই সুমাইতি ধান কাটা, ভুট্টা তুলা, পাট নিড়ানি, কচু নিড়ানির কারণে বেশি ট্যাকা দিয়েই জোন পাওয়া যাচ্চে না। তাই নিজিই জমিতি আসিচি।’

ফরিদপুরে বৃদ্ধের আত্মহত্যা

ছবি

মধুপুরের শালবন উদ্ধারে তিন বছরের পরিকল্পনা, ইউক্যালিপটাস সরিয়ে শাল গাছ রোপণের উদ্যোগ

মোবাইলফোন দিয়ে নকল সরবরাহ, শিক্ষকের কারাদণ্ড

পাংশায় যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

জমি বিরোধে বসতবাড়িতে হামলা, নারীসহ আহত ৩

হবিগঞ্জে পানিতে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

মাটিরাঙ্গায় ২ তামাক চুল্লিতে আগুন

পুলিশের সামনে দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪

শিবপুরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে প্রাণ গেল মায়ের

ছবি

বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ আটক ২

ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান, জরিমানা

মুকসুদপুরে বজ্রপাতে বৃদ্ধ কৃষকের মৃত্যু

ছবি

নোয়াখালীতে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন চালুর দাবি

রাজশাহীতে মার্চ-এপ্রিলে ৪৬ নারী-শিশু নির্যাতিত

ছবি

গোপালপুরে অস্থির খড়ের বাজার, লোকসানের আশঙ্কায় খামারিরা

শেরপুরে কৃষকের তালিকা না থাকায় খাদ্যগুদামে ধান কেনা হচ্ছে না

ছবি

হালদায় ভেসে উঠল মরা মাছ, রয়েছে আঘাতের চিহ্ন

গোয়ালন্দে হেরোইনসহ নারী গ্রেপ্তার

শাহজাদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

চুরি যাওয়া ট্রাক আত্রাইয়ে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

ছবি

বড়ুয়াপাড়া-চরপাড়া অংশে সিসি ব্লক স্থাপনের দাবি

রাজশাহীতে এক দিনে দুই হাট পথে গরু নিয়ে টানাটানি ব্যাপারিদের ভোগান্তি

আলফাডাঙ্গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু

ছবি

ডিমলায় সন্ত্রাসী কায়দায় অপরিপক্ব ভুট্টা লুট করল দুর্বৃত্তরা

ফরিদপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫

আমতলীতে চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতি

ছবি

বিএমডিএ কার্যালয়ে অবহেলা-অযত্নে পড়ে আছে অত্যাধুনিক কৃষিযন্ত্র

পিপির বিরুদ্ধে ৪৯ এপিপির অনাস্থা প্রস্তাব, ওসি প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপির ব্যানারে মানববন্ধন

তাহিরপুর সীমান্তে বিজিবির ওপর হামলা করে ফুচকা ও চিনির বস্তা ছিনতাই

স্ত্রীসহ সাবেক কর কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

চুরির মামলা নিতে ওসির গড়িমসি থানায় ছুটে গেলেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা

ছবি

চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননের মতিন বিল্ডিংয়ে ৯ অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

চট্টগ্রামে জোড়া খুন : দ্রুত আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবে তদন্ত কর্মকর্তা

বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নতিতে এডিবি সন্তুষ্ট : সালেহউদ্দিন

হাসপাতালে বসে মামলার বাদীকে হুমকির অভিযোগ

tab

সারাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস জনজীবন, কৃষিকাজেও প্রভাব

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বুধবার বেলা তিনটায় পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ।

গতকাল মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ। এক দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর আর্দ্রতা কমেছে ৩৩ শতাংশ।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে এটি জেলার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে, এরপর দুই দিন স্থিতিশীল থেকে ২৭ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমে ১৪ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ১৬ মার্চ ৩৬ দশমিক ৪, ২৭ মার্চ ৩৭ দশমিক ৫, ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৮, ২৯ মার্চ ৩৮ দশমিক ৫, ৩০ মার্চ ৩৬, ৩ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ২, ৫ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৪, ২২ এপ্রিল ৩৬ দশমিক ৩ এবং আজ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু এবং ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। সেই হিসাবে ১৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত ১১ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে, যার মধ্যে আট দিন ছিল মৃদু এবং তিন দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বাইরে চলাচল কমেছে। শহরে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে, যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। কাপড় বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘দিনির বেলা গিরামের খদ্দের বেশি আসে। তাপ বাইড়ে যাওয়ায় খদ্দের বাজারে আসা কুমে গিয়েচে। বেচাকিনা না থাকায় শুয়েবসে কাটাতি হচ্চে।’

এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই মেঘলা আকাশ কৃষকদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কায় ভুট্টা ও বোরো ধান ঘরে তোলার মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিকেরা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি দাবি করছেন।

সদর উপজেলার বোয়ালমারী মাঠে কচুখেতে সেচ দিচ্ছিলেন কৃষক আবুল কাশেম। রোদ থেকে বাঁচতে শ্যালো মেশিনের পাশে মোটা চটের ছাউনি দিয়েছেন। মাঝে মাঝে ছাউনির নিচে বসে শ্যালো মেশিনের পানি চোখেমুখে ছিটাচ্ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘রোইদ আর গরমে টিকা যাচ্চে না। মন বলচে না মাঠে আসি। বাড়ি বইস থাকারও উপায় নেই। জনের দাম অ্যাকন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্যাকা। আগে যেকেনে ছিল ৪০০ ট্যাকা। একই সুমাইতি ধান কাটা, ভুট্টা তুলা, পাট নিড়ানি, কচু নিড়ানির কারণে বেশি ট্যাকা দিয়েই জোন পাওয়া যাচ্চে না। তাই নিজিই জমিতি আসিচি।’

back to top