চকরিয়া (কক্সবাজার) : মহেশখালী সড়কে হালকা বৃষ্টিতে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হচ্ছে -সংবাদ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের একমাত্র সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম চকরিয়া বদরখালী মহেশখালী সড়কের বেহাল দশা চরমে উঠেছে। হালকা বৃষ্টিতে নড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিটুমিন উঠে গিয়ে অসংখ্য খানা-খন্দেক সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন যোগে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ পড়েছে সীমাহীন দুর্ভেগে। স্থানীয় লোকজন, সওজ বিভাগ কর্তৃক নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে সড়ক উন্নয়ন কাজ করার কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গেছে, সওজের অধীনে বিপুল টাকা বরাদ্দের বিপরীতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলতিবছরের জানুয়ারি মাসে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করেছে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করার কারণে গত সপ্তাহের হালকা বৃষ্টিতে সড়কের
চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে লালব্রিজ (কবি জালাল উদ্দিন সড়ক) পর্যন্ত অংশে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, চকরিয়ায় কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন অংশে যে খারাপ অবস্থা হয়েছে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে বর্ষার মৌসুম সে জন্য সড়কের ভাঙা অংশগুলো দ্রুত সময়ে মেরামত করা ছাড়া উপায় নাই। পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার আসে আর যায় কিন্তু এ সড়কের প্রতি কোনো নজর দেই না।
শাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা মনজুর আলম বলেন, কেবি জালাল উদ্দিন সড়ক (বদরখালী মহেশখালী) দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে। অর্থাৎ এ সড়কটি চট্টগ্রামের সঙ্গে মহেশখালী, মাতারবাড়ি বন্দর, মগনামা ও কুতুবদিয়া উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত। সুতরাং এ সড়কটি জনবহুল সড়ক হিসেবে বিবেচিত। তাই তিনি সড়ক ও জনবিভাগকে দ্রুত সময়ে মেরামত বা সংস্কার করে সড়কের বেহাল দশা থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করে।
মোজাম্মেল হক সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমরা প্রতিদিন দোকানের জন্য মালামাল আনার ব্যবস্থা করি কিন্তু মালামালবাহী গাড়িগুলো গর্তে পড়ে গেলে উল্টে যায়। সেজন্য আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।
জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক বিভাগের অধীন চকরিয়া সড়ক উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের যেসব জায়গায় গর্ত হয়েছে সেসব জায়গায় আরসিসি ঢালাই দেয়া হবে। সেজন্য দরপত্র তৈরি করা হচ্ছে। দরপত্র তৈরি করে দ্রুত সময়ে টেন্ডার দেয়া হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে মাস দেড়কের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, সড়কের যে জায়গায় ছোট বড় গর্ত হয়েছে সেসব গর্ত গুলো কংকর দিয়ে ভরাট করে যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি সড়কের গর্তে ভরপুর জায়গাগুলো আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সড়কটির উন্নয়ন কাজ করে জনগণের দুর্ভোগ লাগব করতে। আশাকরি সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
চকরিয়া (কক্সবাজার) : মহেশখালী সড়কে হালকা বৃষ্টিতে অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হচ্ছে -সংবাদ
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের একমাত্র সড়ক যোগাযোগ মাধ্যম চকরিয়া বদরখালী মহেশখালী সড়কের বেহাল দশা চরমে উঠেছে। হালকা বৃষ্টিতে নড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিটুমিন উঠে গিয়ে অসংখ্য খানা-খন্দেক সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় সড়ক দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন যোগে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণ পড়েছে সীমাহীন দুর্ভেগে। স্থানীয় লোকজন, সওজ বিভাগ কর্তৃক নিম্নমানের বিটুমিন দিয়ে সড়ক উন্নয়ন কাজ করার কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।
জানা গেছে, সওজের অধীনে বিপুল টাকা বরাদ্দের বিপরীতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলতিবছরের জানুয়ারি মাসে সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করেছে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে উন্নয়ন কাজ করার কারণে গত সপ্তাহের হালকা বৃষ্টিতে সড়কের
চকরিয়া থানা রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে লালব্রিজ (কবি জালাল উদ্দিন সড়ক) পর্যন্ত অংশে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে যাত্রী সাধারণ ও পথচারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন করে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, চকরিয়ায় কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের বিভিন্ন অংশে যে খারাপ অবস্থা হয়েছে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সামনে বর্ষার মৌসুম সে জন্য সড়কের ভাঙা অংশগুলো দ্রুত সময়ে মেরামত করা ছাড়া উপায় নাই। পথচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার আসে আর যায় কিন্তু এ সড়কের প্রতি কোনো নজর দেই না।
শাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা মনজুর আলম বলেন, কেবি জালাল উদ্দিন সড়ক (বদরখালী মহেশখালী) দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে। অর্থাৎ এ সড়কটি চট্টগ্রামের সঙ্গে মহেশখালী, মাতারবাড়ি বন্দর, মগনামা ও কুতুবদিয়া উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত। সুতরাং এ সড়কটি জনবহুল সড়ক হিসেবে বিবেচিত। তাই তিনি সড়ক ও জনবিভাগকে দ্রুত সময়ে মেরামত বা সংস্কার করে সড়কের বেহাল দশা থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করে।
মোজাম্মেল হক সওদাগর নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, এ সড়ক দিয়ে আমরা প্রতিদিন দোকানের জন্য মালামাল আনার ব্যবস্থা করি কিন্তু মালামালবাহী গাড়িগুলো গর্তে পড়ে গেলে উল্টে যায়। সেজন্য আমাদের অনেক ক্ষতি হয়। বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করছি।
জানতে চাইলে কক্সবাজার সড়ক বিভাগের অধীন চকরিয়া সড়ক উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, কেবি জালাল উদ্দিন সড়কের যেসব জায়গায় গর্ত হয়েছে সেসব জায়গায় আরসিসি ঢালাই দেয়া হবে। সেজন্য দরপত্র তৈরি করা হচ্ছে। দরপত্র তৈরি করে দ্রুত সময়ে টেন্ডার দেয়া হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে মাস দেড়কের মধ্যে কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন, সড়কের যে জায়গায় ছোট বড় গর্ত হয়েছে সেসব গর্ত গুলো কংকর দিয়ে ভরাট করে যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি সড়কের গর্তে ভরপুর জায়গাগুলো আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সড়কটির উন্নয়ন কাজ করে জনগণের দুর্ভোগ লাগব করতে। আশাকরি সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।