নিষিদ্ধের ৬ মাস পার হলেও বন্ধ হলো না রায়গঞ্জে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারো এ নিয়ে বাছবিচার নেই। ক্রেতারা বাজার করতে আসে খালি হাতে, আর ফিরে যায় পলিথিনের ব্যাগ ভর্তি বাজার নিয়ে। অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন বাজারজাত করছে অবলিলায়।
জানা যায়, ২০০২ সালে পরিবেশের সুরক্ষায় আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ফের সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। তার মাসখানেক পর ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে অভিযানের কথা জানানো হয়। এবং পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়। এ বিষয়ে সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সব ধরনের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগে। বিক্রেতারাও সস্তা ও সহজলভ্য বলে ব্যবহার করছে দিদারছে। গুনতে হচ্ছে না অতিরিক্ত পয়সাও। কাগজ, কাপড় বা পাটের ব্যাগে খরচ বেশি হওয়ায় এগুলো ব্যবহারে আগ্রহী নয় বলে জানা যায়।
কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পলিথিনের ব্যাগ সহজলভ্য, ব্যবহার সহজ, দামও কম। অপরদিকে পরিবেশ সম্মত ব্যাগ পাওয়াই দুষ্কর, পেলে ব্যবহার করতেন বলে জানান তারা।
সলঙ্গা বাজারে মাছ কিনতে আসা নুরুন্নাহার নামের এক ক্রেতা বলেন, পলিথিন বিষয়ে সচেতন আছি। তবে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে এখন বিকল্প কিছু ব্যাবহার করতে পারছি না। এদিকে চান্দাইকোনা বাজারে বিভিন্ন দোকানে প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগ বিক্রি করতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রচার না থাকায় তারা জানেই না যে, পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্বারা প্রস্তুতকৃত পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং এগুলো পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সবজি বিক্রেতা ইমদাদুল বলেন, পলিথিনের উৎপাদন বন্ধ হলে ভোক্তা পর্যায়ে আসত না, তারাও ব্যাবহার করতেন না। তিনি আরও জানান, পলিথিনের দোকান খোলা, আমাদের তো কাষ্টমারদের দিতে হয়। অন্যরা দিতেছে, আমি না দিলে কেমনে হইব? বিকল্প ব্যাগই তো নাই। এটার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ করতে হইব। পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারিক মূল্য তুলনামূলক কম হলেও এর পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
ক্রেতা পর্যায়ে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার চর্চা করলে সফল হওয়া দ্রুত সম্ভব। সুতরাং ‘পলিথিন-প্লাস্টিক মুক্ত প্রতিদিন’ এমন মন-মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। এগুলোর প্রথাগত বিকল্প আছে। অথচ অধিক মুনাফার আশায় কারখানার মালিকরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানা যায়।
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
নিষিদ্ধের ৬ মাস পার হলেও বন্ধ হলো না রায়গঞ্জে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার। ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারো এ নিয়ে বাছবিচার নেই। ক্রেতারা বাজার করতে আসে খালি হাতে, আর ফিরে যায় পলিথিনের ব্যাগ ভর্তি বাজার নিয়ে। অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন বাজারজাত করছে অবলিলায়।
জানা যায়, ২০০২ সালে পরিবেশের সুরক্ষায় আইন করে সাধারণ পলিথিনের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ফের সুপারশপে পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে। তার মাসখানেক পর ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে অভিযানের কথা জানানো হয়। এবং পলিথিন ও পলিপ্রোপাইলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়। এ বিষয়ে সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে সব ধরনের পণ্যই বিক্রি হচ্ছে পলিথিন ব্যাগে। বিক্রেতারাও সস্তা ও সহজলভ্য বলে ব্যবহার করছে দিদারছে। গুনতে হচ্ছে না অতিরিক্ত পয়সাও। কাগজ, কাপড় বা পাটের ব্যাগে খরচ বেশি হওয়ায় এগুলো ব্যবহারে আগ্রহী নয় বলে জানা যায়।
কাপড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পলিথিনের ব্যাগ সহজলভ্য, ব্যবহার সহজ, দামও কম। অপরদিকে পরিবেশ সম্মত ব্যাগ পাওয়াই দুষ্কর, পেলে ব্যবহার করতেন বলে জানান তারা।
সলঙ্গা বাজারে মাছ কিনতে আসা নুরুন্নাহার নামের এক ক্রেতা বলেন, পলিথিন বিষয়ে সচেতন আছি। তবে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে এখন বিকল্প কিছু ব্যাবহার করতে পারছি না। এদিকে চান্দাইকোনা বাজারে বিভিন্ন দোকানে প্লাস্টিকের তৈরি ব্যাগ বিক্রি করতে দেখা যায়। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রচার না থাকায় তারা জানেই না যে, পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্বারা প্রস্তুতকৃত পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ, ব্যবহার নিষিদ্ধ এবং এগুলো পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সবজি বিক্রেতা ইমদাদুল বলেন, পলিথিনের উৎপাদন বন্ধ হলে ভোক্তা পর্যায়ে আসত না, তারাও ব্যাবহার করতেন না। তিনি আরও জানান, পলিথিনের দোকান খোলা, আমাদের তো কাষ্টমারদের দিতে হয়। অন্যরা দিতেছে, আমি না দিলে কেমনে হইব? বিকল্প ব্যাগই তো নাই। এটার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ করতে হইব। পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহারিক মূল্য তুলনামূলক কম হলেও এর পরিবেশগত ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি।
ক্রেতা পর্যায়ে পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার চর্চা করলে সফল হওয়া দ্রুত সম্ভব। সুতরাং ‘পলিথিন-প্লাস্টিক মুক্ত প্রতিদিন’ এমন মন-মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। এগুলোর প্রথাগত বিকল্প আছে। অথচ অধিক মুনাফার আশায় কারখানার মালিকরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানা যায়।