কুমিল্লার বরুড়ায় জনবল সঙ্কসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। দীর্ঘদিন যাবত এসব সঙ্কট নিরসন না হওয়ায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫ দশক যাবত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জনবল কাঠামো একই রকম রয়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৬শ জন এবং আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী। এ ছাড়া ও রয়েছে প্রায় দীর্ঘদিন যাবত জনবলের সংকটসহ নানা সমস্যা। এমতাবস্থায় কালের পরিক্রমায় এতদাঞ্চলের জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার নিমিত্তে গত ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ ৩১ শয্যা থেকে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫০ শয্যার উন্নতিকরণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ৫০ শয্যার অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে এর হস্তান্তর করা হলেও গত প্রায় দুই বছরে ও এর অনুমোদন মিলেনি। অপরদিকে, ওষুধের স্বল্পতা থাকায় সব রোগীদের ওষুধ দেয়া যাচ্ছে না। আউটডোরে রোগীদের ওষুধ দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় ৫শ থেকে ৬শ রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদেরকে। এ ছাড়া বাজারের দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্য থাকায় আন্তবিভাগীয় রোগীদের মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ হচ্ছে না। এমন অভিযোগ রোগীদের। ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মঞ্জুরিকৃত প্রথম শ্রেণির ১০টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) পদটি শূন্য রয়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেষণে রয়েছেন। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৯টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্যপদগুলো হচ্ছে মিডওয়াইফ ৪টি পদের মধ্যে ৩টি পদ, এসএসএন ২৫টি পদের মধ্যে ২টি পদ। তৃতীয় শ্রেণির মঞ্জুরিকৃত ৯৯টি পদের মধ্যে ১৬টি পদ শূন্য। এগুলোর মধ্যে ক্যাশিয়ারের ১টি পদ, ভা-াররক্ষক ১টি পদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪টি পদের মধ্যে ২টি পদ, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১২টি পদের মধ্যে ৪টি পদ, স্বাস্থ্য সহকারী ৬০টি পদের মধ্যে ৫টি পদ, ফার্মসিস্ট ২টি পদ, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল ১টি পদ), জুনিয়র মেকানিক ১টি পদ, ভেষজ ও হারবাল এসিটেন্ট গার্ডেনার ১টি পদ। চতুর্থ শ্রেণির মঞ্জুরিকৃত ২৯টি পদের মধ্যে ১৫টি পদ শূণ্য রয়েছে। এ শূন্য পদ গুলো হচ্ছে অফিস সহায়ক ৪টি পদের মধ্যে ৩টি পদ, ওয়াড বয় ৩টি পদের মধ্যে ২টি পদ, বাবুর্চি ২টি পদ, আয়া ২টি পদ, দাড়োয়ান ২টি পদ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৪টি পদের মধ্যে ৪টি পদই শূন্য রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা কমপ্লেক্সের আওয়াতাধীন সোনাইমুড়ি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মঞ্জুরিকৃত ১৬টি পদের মধ্যে ডাক্তারসহ ৭টি পদ শূন্য এবং ২ জন রয়েছেন প্রেষণে। এগুলো হচ্ছে জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) পদ, জুনিয়ন কনসালটেন্ট পদ (সার্জারি), আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১টি পদ, প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক ১টি পদ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ১টি পদ, ফার্মাসিস্ট পদ ১টি, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ১টি পদ। এ ছাড়া প্রেষণে রয়েছেন ঢাকা ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) পদের ডাক্তার এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) পদের ডাক্তার প্রেষণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। ৫টি সাব সেন্টারের মধ্যে আগানগর ইউনিয়ন সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে ফার্মাসিস্ট এবং অফিস সহায়ক পদটি শূন্য রয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গোলাম ওয়াদুদ প্রেষণে কুমিল্লার দাউদকান্দি মালিগাঁও ২০ শয্যা হাসপাতালে রয়েছেন। চালু হয়নি নতুনভাবে মেরামতকৃত এ ২০ শষ্যার হাসপাতালটি। ঝলম ইউনিয়ন সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট এবং অফিস সহায়ক পদটি শূন্য রয়েছে। শিলমুড়ি উত্তর সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে মেডিকেল অফিসার পদ, মিডওয়াইফ, ফার্মাসিষ্ট এবং অফিস সহায়ক পদটি শূন্য রয়েছে। গালিমপুর ইউনিয়ন সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে অফিস সহায়ক ও ফার্মাসিস্ট পদটি শূন্য রয়েছে। ওই সাব সেন্টারের মিডওয়াইফ প্রেষণে কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটে রয়েছেন। পয়ালগাছা সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে মিডওয়াইফ পদ, এসএসসিএমও পদ এবং অফিস সহায়কের পদটি শূন্য রয়েছে। ৯টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের মধ্যে খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টার সহকারী সার্জন প্রেষণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। শূন্য রয়েছে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি। ঝলম উত্তর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের সহকারী সার্জন ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এর পদটি শূন্য রয়েছে। শিলমুড়ী দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের সহকারী সার্জন পদটি শূন্য রয়েছে। দেওড়া উত্তর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি শূন্য রয়েছে। দেওড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার প্রেষণে কুমিল্লা আদর্শ সদর হাসপাতালে প্রেষণে রয়েছেন।
আড্ডা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের সহকারী সার্জন ও উপসহকারী কমিউনিটি পদটি শূন্য রয়েছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ৪৫টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন যাবত জনবল সংকটের কারণে রোগী সাধারণের চিকিৎসা সেবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ব্যহত হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং দাড়োয়ানের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নিরাপত্তা ব্যহত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী সাধারণের এবং সঙ্গে আসা স্বজনদের মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে প্রায়শ।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আনাচে কানাচে মাদকসেবীদের আড্ডা বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা কবে নাগাদ সুরাহা হবে এমন আশার বাণী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন কর্মকর্তাই হলফ করে বলতে পারছেন না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ববরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের আমরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে আসছি। তবে জনবলের সংকটের চাহিদা ও অন্যান্য সমস্যার প্রতিবেদন তার দপ্তর থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দপ্তরে প্রত্যেক মাসে প্রেরণ করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন।
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
কুমিল্লার বরুড়ায় জনবল সঙ্কসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। দীর্ঘদিন যাবত এসব সঙ্কট নিরসন না হওয়ায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ব্যহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫ দশক যাবত এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জনবল কাঠামো একই রকম রয়েছে। এমতাবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বর্তমানে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রতিদিন ৫শ থেকে ৬শ জন এবং আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ জন রোগী। এ ছাড়া ও রয়েছে প্রায় দীর্ঘদিন যাবত জনবলের সংকটসহ নানা সমস্যা। এমতাবস্থায় কালের পরিক্রমায় এতদাঞ্চলের জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার নিমিত্তে গত ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ ৩১ শয্যা থেকে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৫০ শয্যার উন্নতিকরণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। ৫০ শয্যার অবকাঠামো নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করে এর হস্তান্তর করা হলেও গত প্রায় দুই বছরে ও এর অনুমোদন মিলেনি। অপরদিকে, ওষুধের স্বল্পতা থাকায় সব রোগীদের ওষুধ দেয়া যাচ্ছে না। আউটডোরে রোগীদের ওষুধ দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। প্রতিদিন আউটডোরে প্রায় ৫শ থেকে ৬শ রোগী দেখতে হিমশিম খেতে হয় চিকিৎসকদেরকে। এ ছাড়া বাজারের দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্য থাকায় আন্তবিভাগীয় রোগীদের মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ হচ্ছে না। এমন অভিযোগ রোগীদের। ৩১ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মঞ্জুরিকৃত প্রথম শ্রেণির ১০টি পদের মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) পদটি শূন্য রয়েছে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেষণে রয়েছেন। দ্বিতীয় শ্রেণির ২৯টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্যপদগুলো হচ্ছে মিডওয়াইফ ৪টি পদের মধ্যে ৩টি পদ, এসএসএন ২৫টি পদের মধ্যে ২টি পদ। তৃতীয় শ্রেণির মঞ্জুরিকৃত ৯৯টি পদের মধ্যে ১৬টি পদ শূন্য। এগুলোর মধ্যে ক্যাশিয়ারের ১টি পদ, ভা-াররক্ষক ১টি পদ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪টি পদের মধ্যে ২টি পদ, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১২টি পদের মধ্যে ৪টি পদ, স্বাস্থ্য সহকারী ৬০টি পদের মধ্যে ৫টি পদ, ফার্মসিস্ট ২টি পদ, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ডেন্টাল ১টি পদ), জুনিয়র মেকানিক ১টি পদ, ভেষজ ও হারবাল এসিটেন্ট গার্ডেনার ১টি পদ। চতুর্থ শ্রেণির মঞ্জুরিকৃত ২৯টি পদের মধ্যে ১৫টি পদ শূণ্য রয়েছে। এ শূন্য পদ গুলো হচ্ছে অফিস সহায়ক ৪টি পদের মধ্যে ৩টি পদ, ওয়াড বয় ৩টি পদের মধ্যে ২টি পদ, বাবুর্চি ২টি পদ, আয়া ২টি পদ, দাড়োয়ান ২টি পদ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী ৪টি পদের মধ্যে ৪টি পদই শূন্য রয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা কমপ্লেক্সের আওয়াতাধীন সোনাইমুড়ি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মঞ্জুরিকৃত ১৬টি পদের মধ্যে ডাক্তারসহ ৭টি পদ শূন্য এবং ২ জন রয়েছেন প্রেষণে। এগুলো হচ্ছে জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেসথেসিয়া) পদ, জুনিয়ন কনসালটেন্ট পদ (সার্জারি), আবাসিক মেডিকেল অফিসার ১টি পদ, প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক ১টি পদ, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ১টি পদ, ফার্মাসিস্ট পদ ১টি, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ১টি পদ। এ ছাড়া প্রেষণে রয়েছেন ঢাকা ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) পদের ডাক্তার এবং জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) পদের ডাক্তার প্রেষণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। ৫টি সাব সেন্টারের মধ্যে আগানগর ইউনিয়ন সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে ফার্মাসিস্ট এবং অফিস সহায়ক পদটি শূন্য রয়েছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার গোলাম ওয়াদুদ প্রেষণে কুমিল্লার দাউদকান্দি মালিগাঁও ২০ শয্যা হাসপাতালে রয়েছেন। চালু হয়নি নতুনভাবে মেরামতকৃত এ ২০ শষ্যার হাসপাতালটি। ঝলম ইউনিয়ন সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট এবং অফিস সহায়ক পদটি শূন্য রয়েছে। শিলমুড়ি উত্তর সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে মেডিকেল অফিসার পদ, মিডওয়াইফ, ফার্মাসিষ্ট এবং অফিস সহায়ক পদটি শূন্য রয়েছে। গালিমপুর ইউনিয়ন সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে অফিস সহায়ক ও ফার্মাসিস্ট পদটি শূন্য রয়েছে। ওই সাব সেন্টারের মিডওয়াইফ প্রেষণে কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটে রয়েছেন। পয়ালগাছা সাব সেন্টারের ৫টি পদের মধ্যে মিডওয়াইফ পদ, এসএসসিএমও পদ এবং অফিস সহায়কের পদটি শূন্য রয়েছে। ৯টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের মধ্যে খোশবাস দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টার সহকারী সার্জন প্রেষণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। শূন্য রয়েছে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি। ঝলম উত্তর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের সহকারী সার্জন ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এর পদটি শূন্য রয়েছে। শিলমুড়ী দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের সহকারী সার্জন পদটি শূন্য রয়েছে। দেওড়া উত্তর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদটি শূন্য রয়েছে। দেওড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার প্রেষণে কুমিল্লা আদর্শ সদর হাসপাতালে প্রেষণে রয়েছেন।
আড্ডা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেন্টারের সহকারী সার্জন ও উপসহকারী কমিউনিটি পদটি শূন্য রয়েছে। কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ৪৫টি পদের মধ্যে ৫টি পদ শূণ্য রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন যাবত জনবল সংকটের কারণে রোগী সাধারণের চিকিৎসা সেবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ব্যহত হচ্ছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং দাড়োয়ানের অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নিরাপত্তা ব্যহত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগী সাধারণের এবং সঙ্গে আসা স্বজনদের মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে প্রায়শ।
এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আনাচে কানাচে মাদকসেবীদের আড্ডা বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির জনবল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা কবে নাগাদ সুরাহা হবে এমন আশার বাণী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন কর্মকর্তাই হলফ করে বলতে পারছেন না।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ববরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের আমরা নিরলসভাবে সেবা দিয়ে আসছি। তবে জনবলের সংকটের চাহিদা ও অন্যান্য সমস্যার প্রতিবেদন তার দপ্তর থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দপ্তরে প্রত্যেক মাসে প্রেরণ করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন।