সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সড়কের খুঁটিতে ঝুলছে অচল সিসি ক্যামেরার তারের জঞ্জাল -সংবাদ
নীলফামারীর বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রধান শহর সৈয়দপুরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। দীর্ঘ ৮ বছর আগে স্থাপিত এসব ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে বিনষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অপরাধ দমনে পুলিশের নজরদারি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে করে শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রতিদিন চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জানা যায়, জনবহুল সৈয়দপুর শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি, অপরাধীদের চিহ্নিত করা, যানজট নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয় ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। বিগত ২০১৭ সালে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় শহরের অপরাধ প্রবণ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়। তিন লাখ জনবসতির শিল্প ও ব্যবসা প্রধান সৈয়দপুর শহরের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে গোটা শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরায় আওতায় আনা হয়। ফলে শহর ও পাড়া-মহল্লার অপরাধীদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে যায়। কিন্তু বিগত ৮ বছর সিসিটিভি ক্যামেরা অচল হয়ে পড়ায় শহরে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে সবক্ষেত্রেই অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেযেছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলোর বেশির ভাগের কোনো অস্তিত্ব নেই। দুয়েকটি থাকলেও নষ্ট হয়ে গেছে এর কার্যক্ষমতা। এখন খুঁটিতে ঝুলছে কেবল তারের জঞ্জাল। ফলে অপরাধী শনাক্ত ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে শহরের ব্যস্ততম শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ জহুরুল হক সড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের খুঁটিগুলোতে কেবল লাগানো সিসি ক্যামেরায় তার ঝুলছে। ক্যামেরার কোনো অস্তিত্ব নেই। কয়েকটি খুঁটিতে দেখা যায় সিসি ক্যামেরার নষ্ট কাঠামো। কোথাও দেখা পাওয়া গেল না সিসিটিভির ক্যামেরা। এই ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেব বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ সৈয়দপুর শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন খুব প্রয়োজন। যে সময় সিসিটিভির কার্যক্ষমতা ছিল, তখন শহরে অপরাধ কম ছিল। অপরাধীরা মুখ লুকিয়ে বেড়াতেন। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করে ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানান। শহরের সব ব্যবসায়ী মহলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে ব্যবসায়ী মহল প্রস্তুত রয়েছেন।
সৈয়দপুর থানার ওসি মো. ফইম উদ্দিন সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা ও পৌরসভার সভায় একাধিকবার কথা বলা হয়েছে। কোনো ফলাফল আসেনি। তবে তিনি বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যাতে ক্যামেরা স্থাপন করা যায়, সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সব মহলের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করেছি। শিগগির সবার সহযোগিতায় আবারও শহরকে সিসিটিভির ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : সড়কের খুঁটিতে ঝুলছে অচল সিসি ক্যামেরার তারের জঞ্জাল -সংবাদ
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
নীলফামারীর বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রধান শহর সৈয়দপুরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। দীর্ঘ ৮ বছর আগে স্থাপিত এসব ক্যামেরা রক্ষণাবেক্ষনের অভাবে বিনষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অপরাধ দমনে পুলিশের নজরদারি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। এতে করে শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। প্রতিদিন চুরি, ছিনতাইসহ অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জানা যায়, জনবহুল সৈয়দপুর শহরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি, অপরাধীদের চিহ্নিত করা, যানজট নিয়ন্ত্রণসহ অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে স্থাপন করা হয় ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। বিগত ২০১৭ সালে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় শহরের অপরাধ প্রবণ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়। তিন লাখ জনবসতির শিল্প ও ব্যবসা প্রধান সৈয়দপুর শহরের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে গোটা শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরায় আওতায় আনা হয়। ফলে শহর ও পাড়া-মহল্লার অপরাধীদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশে কমে যায়। কিন্তু বিগত ৮ বছর সিসিটিভি ক্যামেরা অচল হয়ে পড়ায় শহরে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে সবক্ষেত্রেই অপরাধী চক্রের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেযেছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলোর বেশির ভাগের কোনো অস্তিত্ব নেই। দুয়েকটি থাকলেও নষ্ট হয়ে গেছে এর কার্যক্ষমতা। এখন খুঁটিতে ঝুলছে কেবল তারের জঞ্জাল। ফলে অপরাধী শনাক্ত ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে শহরের ব্যস্ততম শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ জহুরুল হক সড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের খুঁটিগুলোতে কেবল লাগানো সিসি ক্যামেরায় তার ঝুলছে। ক্যামেরার কোনো অস্তিত্ব নেই। কয়েকটি খুঁটিতে দেখা যায় সিসি ক্যামেরার নষ্ট কাঠামো। কোথাও দেখা পাওয়া গেল না সিসিটিভির ক্যামেরা। এই ব্যাপারে ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেব বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ সৈয়দপুর শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন খুব প্রয়োজন। যে সময় সিসিটিভির কার্যক্ষমতা ছিল, তখন শহরে অপরাধ কম ছিল। অপরাধীরা মুখ লুকিয়ে বেড়াতেন। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপন করে ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানান। শহরের সব ব্যবসায়ী মহলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে ব্যবসায়ী মহল প্রস্তুত রয়েছেন।
সৈয়দপুর থানার ওসি মো. ফইম উদ্দিন সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা ও পৌরসভার সভায় একাধিকবার কথা বলা হয়েছে। কোনো ফলাফল আসেনি। তবে তিনি বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যাতে ক্যামেরা স্থাপন করা যায়, সেজন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সব মহলের সঙ্গে এই ব্যাপারে আলোচনা করেছি। শিগগির সবার সহযোগিতায় আবারও শহরকে সিসিটিভির ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।