মাছের ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং কম খরচে অধিক মাছ চাষের জন্য পুকুরে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে প্যাডেল হুইল অ্যারেটর। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পুকুরে সহজে অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে, যা মাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। এটি কার্যকরভাবে মাছের প্রজনন এবং বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছে। এটার সহায়তায় মাছ চাষিরা লাভবান হচ্ছে এবং তাদের ব্যবসা আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পুকুরে অ্যারেটর স্থাপন করে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মাস্টারের ভাগ্য বদলে গেছে। দুই বছর আগে, তার পুকুরে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে যুক্ত করা হয় প্যাডেল হুইল অ্যারেটর। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে তার জীবনযাত্রা এবং পেশা।
এখন তার পুকুরে চাষ হচ্ছে রুই, মৃগেল, শিং, তেলাপিয়াসহ দেশীয় ও সাদা জাতের এগারো প্রজাতির মাছ। পুকুরের পানিতে অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হচ্ছে এবং এখন তার পুকুর এক সমৃদ্ধ ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। রফিকুল মাস্টারের পুকুরে বর্তমানে প্রায় এগারো জন মানুষ কাজ করছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই স্থানীয় যুবক, যারা নতুন জীবিকা খুঁজে পেয়েছে। এই পরিবর্তনের পেছনে বেসরকারি সংস্থা সেল্প হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশনের (শার্প) তত্ত্বাবধায়ন রয়েছে। আর এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। তাদের সহায়তায় মাছ চাষের এই আধুনিক পদ্ধতি রাকিবুল মাস্টারের পুকুরে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাকিবুল ইসলাম মাস্টার বলেছেন, শার্পের সাহায্যে প্যাডেল হুইল অ্যারেটর ব্যবহার করার পর থেকে আমার পুকুরের মাছের বৃদ্ধি অনেক বেশি হয়েছে। পাশাপাশি, অনেক যুবকও এখন এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাজ পাচ্ছে। এটা আমাদের গ্রামের জন্য এক ধরনের সোনালী সুযোগ।
সেল্প হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশনের (শার্প) ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ব্রাঞ্চের কৃষি ও মৎস্য বিশেষজ্ঞ রবিউল ইসলাম বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় আর সেল্প হেল্প রিহেবিলিটেশনের তত্ত্বাবধায়নে গ্রামীণ জনপদের মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে কাজ করা হয়। আর বিভিন্ন মানুষকে কৃষিতে সহায়তা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে মাছ চাষের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। রাকিবুল ইসলাম মাস্টারের পুকুরে অ্যারেটর দিয়েছি। এ ছাড়া ডোমার উপজেলায় বিভিন্ন কৃষককে নানা ধরনের উন্নত প্রযুক্তির কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে। এতে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। রাকিবুল ইসলাম মাস্টার শার্পের অ্যারেটর ব্যবহার করে এ মৌসুমে ২০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছে। তার পুকুরে কর্মসস্থানও সৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েক জনের।
তিনি আরও বলেন, রাকিবুল ইসলাম মাস্টারের এত আরও অনেক মাছ চাষি এই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। শার্পের সহায়তায় পুকুরের প্রতিটি মাছের বৃদ্ধি, সঠিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে, যা চাষিদের কাছে এক নতুন আশা নিয়ে এসেছে। এভাবেই প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সহায়তার মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম মাস্টারের এত মাছ চাষিরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে, তৈরি করছে নতুন কর্মসংস্থান এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু এক ব্যক্তির সফলতার গল্প নয়, এটি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির, যা আজকে আমাদের দেশের কৃষি ও মাছ চাষের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, সাধারণ একটি পুকুরে মাছ চাষ করতে গেলে বাড়তি অক্সিজেন খরচ গুনতে হয়। আর অ্যারেটর ব্যবহার করলে মাছের ঘনত্ব বাড়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও অক্সিজেন খরচ কমাতে আমরা মৎস্য অফিস থেকে বেশ কয়েকটি পুকুরে অ্যারেটর স্থাপন করেছি। এ ছাড়া সেল্প হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন (শার্প) নামের একটি এনজিও বেশ কয়েকজন মৎস্যচাষিকে অ্যারেটর প্রদান করেছে। অ্যারেটর স্থাপন করা পুকুরগুলোতে বেড়েছে মাছের উৎপাদন।
বিশেষভাবে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করছে শার্প নামক একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে নতুন দিগন্তের পথ খুলছে মাছ চাষিদের জন্য। এই উদ্যোগে মাছ চাষিদের সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং অনেক বেকার যুবক নতুন কাজের সুযোগ পাচ্ছেন।
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
মাছের ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং কম খরচে অধিক মাছ চাষের জন্য পুকুরে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে প্যাডেল হুইল অ্যারেটর। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে পুকুরে সহজে অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে, যা মাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে। এটি কার্যকরভাবে মাছের প্রজনন এবং বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করছে। এটার সহায়তায় মাছ চাষিরা লাভবান হচ্ছে এবং তাদের ব্যবসা আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পুকুরে অ্যারেটর স্থাপন করে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মাস্টারের ভাগ্য বদলে গেছে। দুই বছর আগে, তার পুকুরে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে যুক্ত করা হয় প্যাডেল হুইল অ্যারেটর। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে তার জীবনযাত্রা এবং পেশা।
এখন তার পুকুরে চাষ হচ্ছে রুই, মৃগেল, শিং, তেলাপিয়াসহ দেশীয় ও সাদা জাতের এগারো প্রজাতির মাছ। পুকুরের পানিতে অক্সিজেন সরবরাহের মাধ্যমে মাছের বৃদ্ধি দ্রুত হচ্ছে এবং এখন তার পুকুর এক সমৃদ্ধ ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়া, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। রফিকুল মাস্টারের পুকুরে বর্তমানে প্রায় এগারো জন মানুষ কাজ করছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই স্থানীয় যুবক, যারা নতুন জীবিকা খুঁজে পেয়েছে। এই পরিবর্তনের পেছনে বেসরকারি সংস্থা সেল্প হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশনের (শার্প) তত্ত্বাবধায়ন রয়েছে। আর এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়েছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। তাদের সহায়তায় মাছ চাষের এই আধুনিক পদ্ধতি রাকিবুল মাস্টারের পুকুরে সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাকিবুল ইসলাম মাস্টার বলেছেন, শার্পের সাহায্যে প্যাডেল হুইল অ্যারেটর ব্যবহার করার পর থেকে আমার পুকুরের মাছের বৃদ্ধি অনেক বেশি হয়েছে। পাশাপাশি, অনেক যুবকও এখন এই উদ্যোগের মাধ্যমে কাজ পাচ্ছে। এটা আমাদের গ্রামের জন্য এক ধরনের সোনালী সুযোগ।
সেল্প হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশনের (শার্প) ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ব্রাঞ্চের কৃষি ও মৎস্য বিশেষজ্ঞ রবিউল ইসলাম বলেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় আর সেল্প হেল্প রিহেবিলিটেশনের তত্ত্বাবধায়নে গ্রামীণ জনপদের মানুষকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে কাজ করা হয়। আর বিভিন্ন মানুষকে কৃষিতে সহায়তা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে মাছ চাষের দিকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। রাকিবুল ইসলাম মাস্টারের পুকুরে অ্যারেটর দিয়েছি। এ ছাড়া ডোমার উপজেলায় বিভিন্ন কৃষককে নানা ধরনের উন্নত প্রযুক্তির কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে। এতে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। রাকিবুল ইসলাম মাস্টার শার্পের অ্যারেটর ব্যবহার করে এ মৌসুমে ২০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছে। তার পুকুরে কর্মসস্থানও সৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েক জনের।
তিনি আরও বলেন, রাকিবুল ইসলাম মাস্টারের এত আরও অনেক মাছ চাষি এই নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। শার্পের সহায়তায় পুকুরের প্রতিটি মাছের বৃদ্ধি, সঠিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে, যা চাষিদের কাছে এক নতুন আশা নিয়ে এসেছে। এভাবেই প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সহায়তার মাধ্যমে রফিকুল ইসলাম মাস্টারের এত মাছ চাষিরা তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে, তৈরি করছে নতুন কর্মসংস্থান এবং ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি শুধু এক ব্যক্তির সফলতার গল্প নয়, এটি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির, যা আজকে আমাদের দেশের কৃষি ও মাছ চাষের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে সাহায্য করছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, সাধারণ একটি পুকুরে মাছ চাষ করতে গেলে বাড়তি অক্সিজেন খরচ গুনতে হয়। আর অ্যারেটর ব্যবহার করলে মাছের ঘনত্ব বাড়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও অক্সিজেন খরচ কমাতে আমরা মৎস্য অফিস থেকে বেশ কয়েকটি পুকুরে অ্যারেটর স্থাপন করেছি। এ ছাড়া সেল্প হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন (শার্প) নামের একটি এনজিও বেশ কয়েকজন মৎস্যচাষিকে অ্যারেটর প্রদান করেছে। অ্যারেটর স্থাপন করা পুকুরগুলোতে বেড়েছে মাছের উৎপাদন।
বিশেষভাবে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সহায়তা করছে শার্প নামক একটি সংস্থা, যার মাধ্যমে নতুন দিগন্তের পথ খুলছে মাছ চাষিদের জন্য। এই উদ্যোগে মাছ চাষিদের সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং অনেক বেকার যুবক নতুন কাজের সুযোগ পাচ্ছেন।