চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বড় মরাপাগলা গ্রামে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মাজেদ বিশ্বাস (৫০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনের আগে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। মাজেদ বিশ্বাসের দুই পুলিশ সদস্য ছেলের বিরুদ্ধে সৎমা ও বোনদের বঞ্চিত করে বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিসে সম্পত্তি ফেরতের সিদ্ধান্ত হলে বাড়িতে লাশ আনার ২৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।
ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রীর ১০টি সন্তান ছিল। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। জীবিত সাত সন্তানের মধ্যে চার মেয়ে ও তিন ছেলে। বছর বিশেক আগে প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মাজেদ হামফুল বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। এ সংসারে কোনো সন্তান হয়নি। হামফুল তাঁর ছোট সন্তানদের লালন-পালন করেন।
মাস ছয়েক আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাজেদের দুই ছেলে—পুলিশ সদস্য লতিফুর রহমান ও আবদুল জাব্বার—তাঁকে চিকিৎসার কথা বলে অন্যত্র নিয়ে যান এবং বাবার সম্পত্তি নিজেদের ও এক ভাতিজার নামে লিখিয়ে নেন। ১৬ এপ্রিল হামফুল বেগমের কাছে তালাকনামা পাঠানো হয়, যা তিনি গ্রহণ করেননি। এরপর তিনি ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিলে আগামী ৫ মে সালিসের দিন নির্ধারণ করা হয়।
এর মধ্যেই রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাজেদের মৃত্যু হয়। লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী হামফুল বেগম স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে দাফনে বাধা দেন। সোমবার সকাল ও বিকেলে দুই দফা গ্রাম্য সালিসে তিনজন ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসা হয়। শেষে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সম্পত্তি বণ্টনের সিদ্ধান্ত হলে দাফন সম্পন্ন হয়।
এই পুরো সময় লাশ ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়।
এ বিষয়ে জানতে মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে লতিফুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, “ঘটনা শুনে পুলিশ টিম পাঠিয়েছিলাম। সালিসে মীমাংসা হয়ে লাশ দাফনের কথা জেনেছি।” অভিযুক্ত দুই ছেলের পুলিশে চাকরির বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেন।
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের বড় মরাপাগলা গ্রামে উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মাজেদ বিশ্বাস (৫০) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনের আগে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।
গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে। মাজেদ বিশ্বাসের দুই পুলিশ সদস্য ছেলের বিরুদ্ধে সৎমা ও বোনদের বঞ্চিত করে বাবার সম্পত্তি নিজেদের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় গ্রাম্য সালিসে সম্পত্তি ফেরতের সিদ্ধান্ত হলে বাড়িতে লাশ আনার ২৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে দাফন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।
ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাজেদ বিশ্বাসের প্রথম স্ত্রীর ১০টি সন্তান ছিল। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। জীবিত সাত সন্তানের মধ্যে চার মেয়ে ও তিন ছেলে। বছর বিশেক আগে প্রথম স্ত্রী মারা গেলে মাজেদ হামফুল বেগম নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। এ সংসারে কোনো সন্তান হয়নি। হামফুল তাঁর ছোট সন্তানদের লালন-পালন করেন।
মাস ছয়েক আগে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাজেদের দুই ছেলে—পুলিশ সদস্য লতিফুর রহমান ও আবদুল জাব্বার—তাঁকে চিকিৎসার কথা বলে অন্যত্র নিয়ে যান এবং বাবার সম্পত্তি নিজেদের ও এক ভাতিজার নামে লিখিয়ে নেন। ১৬ এপ্রিল হামফুল বেগমের কাছে তালাকনামা পাঠানো হয়, যা তিনি গ্রহণ করেননি। এরপর তিনি ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিলে আগামী ৫ মে সালিসের দিন নির্ধারণ করা হয়।
এর মধ্যেই রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাজেদের মৃত্যু হয়। লাশ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী হামফুল বেগম স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে দাফনে বাধা দেন। সোমবার সকাল ও বিকেলে দুই দফা গ্রাম্য সালিসে তিনজন ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসা হয়। শেষে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে সম্পত্তি বণ্টনের সিদ্ধান্ত হলে দাফন সম্পন্ন হয়।
এই পুরো সময় লাশ ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়।
এ বিষয়ে জানতে মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে লতিফুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান জানান, “ঘটনা শুনে পুলিশ টিম পাঠিয়েছিলাম। সালিসে মীমাংসা হয়ে লাশ দাফনের কথা জেনেছি।” অভিযুক্ত দুই ছেলের পুলিশে চাকরির বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেন।