ভালুকা (ময়মনসিংহ) : অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায়ের প্রতিবাদে বাটাজোর গ্রামে বোরো চাষিদের মানববন্ধন -সংবাদ
চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি গভীর ও অগভীর নলকূপ সমিতির ম্যানেজার নির্ধারিত সেচ চার্জের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে ভালুকার বাটাজোর গ্রামে ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় ফসলের মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বোরো চাষিরা।
চাষিদের অভিযোগ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করা তাদের মুখের খাবার বোরো ধান মহাজনী কায়দায় জোর করে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সেচ ব্যবসায়ীরা।
চাষিরা জানান, বোরোর চারা রোপনের পর প্রতি কাঠা জমিতে কমপক্ষে ৩-৪ বার পানি সেচ দিতে হয়। এ জন্য বিএডিসি ও বি আর ডিবি সেচ সমিতির অন্তর্ভূক্ত গভীর ও অগভীর নলকূপ মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক পানি কিনে বোরো ক্ষেতে সেচ দিয়ে থাকেন এলাকার কৃষকরা। বোরো চাষে বিএডিসি কর্তৃক সরকার নির্ধারিত পানি সেচ মূল্যের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় নলকুপ মালিকরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। তাদের চাহিদা মত টাকা না দিলে ধান কাটতে বাধা দেয়া হয় বলে অনেক কৃষক জানিয়েছেন।
কৃষকরা জানান, উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে উপজেলার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনায় গভীর ও অগভীর নলকূপের (বিদ্যুৎ চালিত) বিএডিসি সেচ চার্জ একরপ্রতি ৫ হাজার, প্রতি শতাংশ ৫০ টাকা ও কাঠা প্রতি ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বাটাজোর মনিচালা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, মনিচালা কে, এস এস, লি. রেজি. নং ২ সমিতির নলকূপ হতে পানি সেচের মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি শতাংশ ৭৯ টাকা, প্রতি কাঠা ৫৫০ টাকা হিসাবে তিনি টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিয়েছেন। একই নলকূপ হতে একই চার্জে বশিদ নিয়েছেন অপর কৃষক আব্দুস সাত্তার। তাদের অভিযোগ অতিরিক্ত চার্জে অগ্রিম টাকা না দিলে কৃষকদের ক্ষেতে পানি সেচ দেয়া হয়না।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা গত ১৭ মার্চ উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করলেও অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায় বন্ধ হয়নি।
কৃষকদের দাবি সরকার নির্ধারিত সেচ চার্জ বহাল রাখতে কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যাতে তারা নির্বিঘেœ বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেন।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায়ের প্রতিবাদে বাটাজোর গ্রামে বোরো চাষিদের মানববন্ধন -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
চলতি বোরো মৌসুমে সরকারি গভীর ও অগভীর নলকূপ সমিতির ম্যানেজার নির্ধারিত সেচ চার্জের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে ভালুকার বাটাজোর গ্রামে ২৮ এপ্রিল সোমবার সকাল ১১টায় ফসলের মাঠে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বোরো চাষিরা।
চাষিদের অভিযোগ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করা তাদের মুখের খাবার বোরো ধান মহাজনী কায়দায় জোর করে বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সেচ ব্যবসায়ীরা।
চাষিরা জানান, বোরোর চারা রোপনের পর প্রতি কাঠা জমিতে কমপক্ষে ৩-৪ বার পানি সেচ দিতে হয়। এ জন্য বিএডিসি ও বি আর ডিবি সেচ সমিতির অন্তর্ভূক্ত গভীর ও অগভীর নলকূপ মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক পানি কিনে বোরো ক্ষেতে সেচ দিয়ে থাকেন এলাকার কৃষকরা। বোরো চাষে বিএডিসি কর্তৃক সরকার নির্ধারিত পানি সেচ মূল্যের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় নলকুপ মালিকরা অতিরিক্ত টাকা আদায় করে নিচ্ছেন। তাদের চাহিদা মত টাকা না দিলে ধান কাটতে বাধা দেয়া হয় বলে অনেক কৃষক জানিয়েছেন।
কৃষকরা জানান, উপজেলা সেচ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বোরো মৌসুমে উপজেলার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনায় গভীর ও অগভীর নলকূপের (বিদ্যুৎ চালিত) বিএডিসি সেচ চার্জ একরপ্রতি ৫ হাজার, প্রতি শতাংশ ৫০ টাকা ও কাঠা প্রতি ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
বাটাজোর মনিচালা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, মনিচালা কে, এস এস, লি. রেজি. নং ২ সমিতির নলকূপ হতে পানি সেচের মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি শতাংশ ৭৯ টাকা, প্রতি কাঠা ৫৫০ টাকা হিসাবে তিনি টাকা জমা দিয়ে রশিদ নিয়েছেন। একই নলকূপ হতে একই চার্জে বশিদ নিয়েছেন অপর কৃষক আব্দুস সাত্তার। তাদের অভিযোগ অতিরিক্ত চার্জে অগ্রিম টাকা না দিলে কৃষকদের ক্ষেতে পানি সেচ দেয়া হয়না।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা গত ১৭ মার্চ উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করলেও অতিরিক্ত সেচ চার্জ আদায় বন্ধ হয়নি।
কৃষকদের দাবি সরকার নির্ধারিত সেচ চার্জ বহাল রাখতে কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন যাতে তারা নির্বিঘেœ বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পারেন।