alt

সারাদেশ

প্রমত্তা করতোয়া এখন মরা খাল

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া) : বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

শেরপুর (বগুড়া) : করতোয়া নদী এখন মৃতপ্রায় -সংবাদ

পৌরাণিক ও ইতিহাসের প্রমত্তা করতোয়া নদী আজ মৃতপ্রায়। করতোয়াকে আর চেনা যায় না। এই নদীর গল্প এখন বংশ পরম্পরায় প্রবীণদের কাছ থেকে শুনছে নতুন প্রজন্মরা। বাস্তবের গল্পকথার সেই নদীর তীরে গেলে নতুন প্রজন্মের তরুণ তরুণীরা বিশ্বাস করতে চায় না শোনা গল্প সত্য।

বর্তমানের করতোয়া নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, নদী হয়েছে সরু খাল। নদীর ভিতর বর্জ্য ফেলে পানি দূষিত করা হয়েছে। করতোয়া নদীর ওপর সেতু দেখে বোঝা যায় নিকট অতীতে নদীর প্রবাহ কতটা ছিল। সেই নদী আজ রুগ্ন শীর্ণকায়। প্রবীণরা তাদের পূর্বসূরিদের কাছ থেকে শুনেছেন, এই নদীর ওপর দিয়ে চলত মহাজনী বড় নৌকা। বড় বজরা নৌকা ভিড়ত তীরে। নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাডুজ্য গড়ে ওঠে এই অঞ্চলে।

পাল তোলা বড় বড় নৌকা দেখার জন্য লোকজন করতোয়ার তীরে ভিড় জমাত। মৌসুমে ঢেউয়ের তালে নৌকা বাইচ হতো। পৌরাণিক পটভূমি থেকে জানা যায় উপাখ্যানের লখিন্দরের নৌকা করতোয়া নদী দিয়ে যেত তাড়াশের বিনসাড়া গ্রামে। প্রাচীন ইতিহাস কথা বলে এভাবে : মহাস্থানগড়ের কয়েকটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই নদী। মুসলিম সাধক হযরত শাহ সুলতান বলখী (র) করতোয়া নদী দিয়ে মাছ আকৃতির বড় নৌকায় চড়ে ধর্ম প্রচারে মহাস্থানগড় এসেছিলেন। করতোয়ার নাম ও উৎপত্তির ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭৮৭ সালে তিস্তার মহাপ্লাবনে করতোয়া আদি উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী ও ড. শেখ মেহেদী মোহাম্মদ লিখেছেন করতোয়ার বর্তমান উৎস ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানার বৈকুণ্ঠপুর অভয়ারণ্য থেকে একই জেলার রায়গঞ্জ থানার সুকানি পর্যন্ত। ভারতীয় অংশের করতোয়া প্রবাহের দৈর্ঘ্য ৬২ কিলোমিটার। বাংলাদেশে করতোয়া পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেছে। এখান থেকে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের প্রবাহ নামে পরিচিত যার দৈর্ঘ্য ১১৭ কিলোমিটার। করতোয়ার মোট দৈর্ঘ্য ৫৪৩ কিলোমিটার। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর পূর্ব ভোটারপাড়া ত্রিমোহনা থেকে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খানপুর পর্যন্ত করতোয়ার মধ্যপ্রবাহের মোট দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ত্রিমোহনা থেকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন বালুভরা গ্রাম এবং বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ মহাবালা থেকে শেরপুর উপজেলার খানপুর পর্যন্ত করতোয়া নামে অভিহিত করা হয়।

করতোয়া নামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন কোচ জনগোষ্ঠী তিস্তা ও করতোয়া উজানের অংশের অধিবাসী। এরা বসবাস শুরু করে নদী তীরের প্রাগজ্যোতিষ রাজ্যে। কোচদের দেয়া নদীর নাম ‘করত’। পুরানের রচয়িতারা ‘করত’ শব্দকে সংস্কৃত ভাষায় রূপদান করে নামকরণ করেন করতোয়া যার অর্থ হলো নিঃসৃত পানি। করতোয়া নদীর নামের অর্থের এই নিঃসৃত পানি দূর অতীতে ছিল সাধারণ মানুষের নিকট পবিত্র পানি। এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক নগরী শহর বন্দর।

জানা গেছে, শেরপুরের বারোদুয়ারি হাটের সঙ্গে বিরাট নৌবন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে আজকের এই শেরপুর শহর। তখন নদীটি ছিল প্রশস্ত এবং প্রমত্তা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দখল-দূষণে করতোয়া আর সেই অবস্থানে নেই, এখন পরিণত হয়েছে মরা খালে। কৃষকরা শুকিয়ে যাওয়া নদীর তলদেশে ধান, ভুট্টা, গম, তিলসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করেছেন।

১৯৮২ সালে খননের মাধ্যমে করতোয়া নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ১৯৯০ পুনরায় নদীটি খনন করা হলেও পরে এই কার্যক্রম অব্যাহত না থাকায় বর্তমানে নদীটি মরে ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। করতোয়া নদী শেরপুর উপজেলার কল্যাণী এলাকায় বাঙ্গালী নদীর সঙ্গে মেশার আগ পর্যন্ত এখন পুরো এখন প্রায় নিষ্প্রাণ। দখলবাজরা একের পর এক এলাকা দখল করে মাটি কেটে ভরাট করায় নদীর অধিকাংশ এলাকা মনে হয় এটি একটি খাল।

শেরপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায়ও এ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও নদী ভরাট করে ফেলায় তা খালের এত সরু হয়ে গেছে। এভাবে দখল অব্যাহত থাকলে একসময় করতোয়া নদী চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। তাই দ্রুত দখলবাজদের হাত থেকে নদীটি উদ্ধার করে স্বাভাবিক গতিপথ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। কুর্নিঘাট এলাকার আজিজার রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, করতোয়া নদী যেভাবে দখল হচ্ছে তাতে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যা দেখা দেবে। কেননা নদীটি ভরাট করে ফেলার কারণে অল্প পানিতেই পাড় উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে। শেরুয়া গ্রামের কৃষক হবিবর রহমান জানান, করতোয়া নদীর বিভিন্ন এলাকা অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে যাওয়ায় নদীটি আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে। তাছাড়া নদীর বিভিন্ন এলাকায় হোটেলের বর্জ্য ও ক্ষতিকর পদার্থ ফেলা হচ্ছে। করতোয়ার বুকে কৃষক ফলাচ্ছেন ফসল। শেরপুরবাসী নদীটি খননের দাবি জানালেও আজও পুনঃখনন করা হয়নি।

ছবি

বোমা বিস্ফোরণে যশোরের শিশু খাদিজার মৃত্যু, ভাই সজীব আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে

ছবি

হাসনাতের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কুমিল্লা বিএনপি, এক সপ্তাহের আলটিমেটাম

১১ মাসে সরকারের ব্যাংক ঋণ ১ লাখ ৮ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা

মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান শেষ, রয়ে গেছে অবৈধ স্থাপনা

ম্যানহোলের গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ আহত ৪

ব্যবসায়ীর জমিতে হামলা-ভাঙচুর, আহত ২

আড়িয়াল খাঁ নদে পিকনিকের ট্রলারডুবি, যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ফরিদপুরে বজ্রপাতে তুলার গোডাউন পুড়ে ছাই

দুই জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

দুই জামায়াত নেতাকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ

জমি বিরোধে যুবক নিহত

মাগুরায় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা

সুপেয় পানির সংকটে ধনিরাম কার্বারী পাড়া, বিকল্প উৎস জরুরি

রেলওয়ে জংশন থেকে ইয়াবাসহ নারী আটক

মৎস্য অভয়াশ্রম থেকে নিষিদ্ধ জাল জব্দ

হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মের সত্যতা মিলেছে

ছবি

যমুনেশ্বরীর অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মুখে জলুবরের অস্তিত্ব

দশমিনায় বাতাবি লেবু চাষে সফল কৃষক সুলতান

ছবি

নবীনগরে তালের শাঁস বিক্রি করে স্বাবলম্বী সুদন মিয়া

মাগুরায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আহত ৩

ছবি

সরাইল হাসপাতাল নানা সংকটে জর্জরিত, সেবা বিঘ্নিত

সিরাজদিখানে গৃহবধূর আত্মহত্যা

নরসিংদীতে লটকনের ফলন কম হওয়া দুশ্চিন্তায় চাষিরা

বেগমগঞ্জে ৬ মাদক কারবারি দণ্ডিত

ছবি

অবশেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’

সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত

ছবি

রাজশাহীতে নূর মোহাম্মদের অবিষ্কার এক চালেই ভাত-পোলাও-খিচুড়ি

ছবি

বড়পুকুরিয়া খনির ১৭৪ জন শ্রমিকের নিয়োগ দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

যশোর আদালত চত্বর থেকে হত্যা মামলার আসামির পলায়ন

ছবি

রামুর প্রাচীন স্থাপত্য লাউয়ে জাদী ভূমি ধস ঝুঁকিতে

কুষ্টিয়ায় ২ লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত, লাভের আশা খামারিদের

চুয়াডাঙ্গায় নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ছবি

রাউজানে ট্রাকসহ ৮ গরু উদ্ধার

সিংড়ায় অনলাইন জুয়ায় লাখ টাকা হেরে কৃষকের আত্মহত্যা

ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪

সোনারগাঁয়ে মসজিদে দুই দফায় চুরি

tab

সারাদেশ

প্রমত্তা করতোয়া এখন মরা খাল

প্রতিনিধি, শেরপুর (বগুড়া)

শেরপুর (বগুড়া) : করতোয়া নদী এখন মৃতপ্রায় -সংবাদ

বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

পৌরাণিক ও ইতিহাসের প্রমত্তা করতোয়া নদী আজ মৃতপ্রায়। করতোয়াকে আর চেনা যায় না। এই নদীর গল্প এখন বংশ পরম্পরায় প্রবীণদের কাছ থেকে শুনছে নতুন প্রজন্মরা। বাস্তবের গল্পকথার সেই নদীর তীরে গেলে নতুন প্রজন্মের তরুণ তরুণীরা বিশ্বাস করতে চায় না শোনা গল্প সত্য।

বর্তমানের করতোয়া নদীর তীরে গিয়ে দেখা যায়, নদী হয়েছে সরু খাল। নদীর ভিতর বর্জ্য ফেলে পানি দূষিত করা হয়েছে। করতোয়া নদীর ওপর সেতু দেখে বোঝা যায় নিকট অতীতে নদীর প্রবাহ কতটা ছিল। সেই নদী আজ রুগ্ন শীর্ণকায়। প্রবীণরা তাদের পূর্বসূরিদের কাছ থেকে শুনেছেন, এই নদীর ওপর দিয়ে চলত মহাজনী বড় নৌকা। বড় বজরা নৌকা ভিড়ত তীরে। নদীকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাডুজ্য গড়ে ওঠে এই অঞ্চলে।

পাল তোলা বড় বড় নৌকা দেখার জন্য লোকজন করতোয়ার তীরে ভিড় জমাত। মৌসুমে ঢেউয়ের তালে নৌকা বাইচ হতো। পৌরাণিক পটভূমি থেকে জানা যায় উপাখ্যানের লখিন্দরের নৌকা করতোয়া নদী দিয়ে যেত তাড়াশের বিনসাড়া গ্রামে। প্রাচীন ইতিহাস কথা বলে এভাবে : মহাস্থানগড়ের কয়েকটি কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই নদী। মুসলিম সাধক হযরত শাহ সুলতান বলখী (র) করতোয়া নদী দিয়ে মাছ আকৃতির বড় নৌকায় চড়ে ধর্ম প্রচারে মহাস্থানগড় এসেছিলেন। করতোয়ার নাম ও উৎপত্তির ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭৮৭ সালে তিস্তার মহাপ্লাবনে করতোয়া আদি উৎস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী ও ড. শেখ মেহেদী মোহাম্মদ লিখেছেন করতোয়ার বর্তমান উৎস ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার ভক্তিনগর থানার বৈকুণ্ঠপুর অভয়ারণ্য থেকে একই জেলার রায়গঞ্জ থানার সুকানি পর্যন্ত। ভারতীয় অংশের করতোয়া প্রবাহের দৈর্ঘ্য ৬২ কিলোমিটার। বাংলাদেশে করতোয়া পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন দেবনগর ইউনিয়নের শিবচন্ডি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করেছে। এখান থেকে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ি পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশের প্রবাহ নামে পরিচিত যার দৈর্ঘ্য ১১৭ কিলোমিটার। করতোয়ার মোট দৈর্ঘ্য ৫৪৩ কিলোমিটার। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর পূর্ব ভোটারপাড়া ত্রিমোহনা থেকে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খানপুর পর্যন্ত করতোয়ার মধ্যপ্রবাহের মোট দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ত্রিমোহনা থেকে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাধীন বালুভরা গ্রাম এবং বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলাধীন ময়দানহাটা ইউনিয়নের দাড়িদহ মহাবালা থেকে শেরপুর উপজেলার খানপুর পর্যন্ত করতোয়া নামে অভিহিত করা হয়।

করতোয়া নামের ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রাচীন কোচ জনগোষ্ঠী তিস্তা ও করতোয়া উজানের অংশের অধিবাসী। এরা বসবাস শুরু করে নদী তীরের প্রাগজ্যোতিষ রাজ্যে। কোচদের দেয়া নদীর নাম ‘করত’। পুরানের রচয়িতারা ‘করত’ শব্দকে সংস্কৃত ভাষায় রূপদান করে নামকরণ করেন করতোয়া যার অর্থ হলো নিঃসৃত পানি। করতোয়া নদীর নামের অর্থের এই নিঃসৃত পানি দূর অতীতে ছিল সাধারণ মানুষের নিকট পবিত্র পানি। এই নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অনেক নগরী শহর বন্দর।

জানা গেছে, শেরপুরের বারোদুয়ারি হাটের সঙ্গে বিরাট নৌবন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে আজকের এই শেরপুর শহর। তখন নদীটি ছিল প্রশস্ত এবং প্রমত্তা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দখল-দূষণে করতোয়া আর সেই অবস্থানে নেই, এখন পরিণত হয়েছে মরা খালে। কৃষকরা শুকিয়ে যাওয়া নদীর তলদেশে ধান, ভুট্টা, গম, তিলসহ নানা ধরনের ফসল চাষ করেছেন।

১৯৮২ সালে খননের মাধ্যমে করতোয়া নদীর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ১৯৯০ পুনরায় নদীটি খনন করা হলেও পরে এই কার্যক্রম অব্যাহত না থাকায় বর্তমানে নদীটি মরে ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে। করতোয়া নদী শেরপুর উপজেলার কল্যাণী এলাকায় বাঙ্গালী নদীর সঙ্গে মেশার আগ পর্যন্ত এখন পুরো এখন প্রায় নিষ্প্রাণ। দখলবাজরা একের পর এক এলাকা দখল করে মাটি কেটে ভরাট করায় নদীর অধিকাংশ এলাকা মনে হয় এটি একটি খাল।

শেরপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায়ও এ দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কোথাও কোথাও নদী ভরাট করে ফেলায় তা খালের এত সরু হয়ে গেছে। এভাবে দখল অব্যাহত থাকলে একসময় করতোয়া নদী চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। তাই দ্রুত দখলবাজদের হাত থেকে নদীটি উদ্ধার করে স্বাভাবিক গতিপথ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। কুর্নিঘাট এলাকার আজিজার রহমানসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, করতোয়া নদী যেভাবে দখল হচ্ছে তাতে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যা দেখা দেবে। কেননা নদীটি ভরাট করে ফেলার কারণে অল্প পানিতেই পাড় উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে। শেরুয়া গ্রামের কৃষক হবিবর রহমান জানান, করতোয়া নদীর বিভিন্ন এলাকা অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে যাওয়ায় নদীটি আরও ক্ষীণ হয়ে গেছে। তাছাড়া নদীর বিভিন্ন এলাকায় হোটেলের বর্জ্য ও ক্ষতিকর পদার্থ ফেলা হচ্ছে। করতোয়ার বুকে কৃষক ফলাচ্ছেন ফসল। শেরপুরবাসী নদীটি খননের দাবি জানালেও আজও পুনঃখনন করা হয়নি।

back to top