নারীর প্রতি সহিংসতা কেবল ব্যক্তি নয়, সমাজের অগ্রগতির পথেও বড় প্রতিবন্ধক। এ সহিংসতা রোধে পরিবারকে হতে হবে সচেতন এবং গণমাধ্যমকে নিতে হবে সংবেদনশীল ও মানবিক ভূমিকা চট্টগ্রামে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এমনটাই মত দিয়েছেন আলোচকরা। গত রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনের সুপ্রভাত বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘নির্যাতনের শিকার নারীদের মনোস্বাস্থ্য ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে ডাটাফুল, দৈনিক সংবাদ, সুপ্রভাত বাংলাদেশ ও ইউনাইট থিয়েটার ফর সোশ্যাল অ্যাকশন (উৎস)।
সভায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “নির্যাতনের শিকার নারীদের সহায়তায় সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পরিবারকেও এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে। কন্যা সন্তানের সমস্যাগুলো ধমকের সুরে নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে শুনে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহযোগী সম্পাদক কামরুল হাসান বাদল। স্বাগত বক্তব্যে উৎসের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা বলেন, “নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে মনোসামাজিক সেবাকে নারীবান্ধব ও সহজলভ্য করতে হবে।” আলোচনায় অংশ নেন অ্যাডভোকেট আশরাফি বিন্তে মোতালেব, ড. আনোয়ারা আলম, জেসমিন সুলতানা পারু, ডেইজি মউদুদ, কবি ওমর কায়সার, সিআইইউ-এর রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা, অধ্যাপক ইরা আহমেদ, অধ্যাপক মিসকাতুল মমতাজ মুমু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সংবেদনশীল ও মানবিক রিপোর্টিং নির্যাতিত নারীর মনোবল জোগাতে পারে। গণমাধ্যমকে কেবল ঘটনা জানানো নয়, পরিবর্তনের শক্তি হিসেবেও কাজ করতে হবে। তারা দ্রুত আইনি ও মনোসামাজিক সহায়তা সংযোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে কামরুল হাসান বাদল বলেন, “নারী যদি নিজেকে পূর্ণ মানুষ হিসেবে না ভাবেন, তাহলে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা আসবে না। নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছাড়া সহিংসতা বন্ধ হবে না।”
সভা শেষ হয় নারী নির্যাতন রোধে সম্মানজনক ও সংবেদনশীল সহায়তা নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
নারীর প্রতি সহিংসতা কেবল ব্যক্তি নয়, সমাজের অগ্রগতির পথেও বড় প্রতিবন্ধক। এ সহিংসতা রোধে পরিবারকে হতে হবে সচেতন এবং গণমাধ্যমকে নিতে হবে সংবেদনশীল ও মানবিক ভূমিকা চট্টগ্রামে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় এমনটাই মত দিয়েছেন আলোচকরা। গত রোববার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবনের সুপ্রভাত বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘নির্যাতনের শিকার নারীদের মনোস্বাস্থ্য ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে ডাটাফুল, দৈনিক সংবাদ, সুপ্রভাত বাংলাদেশ ও ইউনাইট থিয়েটার ফর সোশ্যাল অ্যাকশন (উৎস)।
সভায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “নির্যাতনের শিকার নারীদের সহায়তায় সরকারিভাবে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পরিবারকেও এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে। কন্যা সন্তানের সমস্যাগুলো ধমকের সুরে নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণে শুনে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহযোগী সম্পাদক কামরুল হাসান বাদল। স্বাগত বক্তব্যে উৎসের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা কামাল যাত্রা বলেন, “নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে মনোসামাজিক সেবাকে নারীবান্ধব ও সহজলভ্য করতে হবে।” আলোচনায় অংশ নেন অ্যাডভোকেট আশরাফি বিন্তে মোতালেব, ড. আনোয়ারা আলম, জেসমিন সুলতানা পারু, ডেইজি মউদুদ, কবি ওমর কায়সার, সিআইইউ-এর রেজিস্ট্রার আনজুমান বানু লিমা, অধ্যাপক ইরা আহমেদ, অধ্যাপক মিসকাতুল মমতাজ মুমু প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সংবেদনশীল ও মানবিক রিপোর্টিং নির্যাতিত নারীর মনোবল জোগাতে পারে। গণমাধ্যমকে কেবল ঘটনা জানানো নয়, পরিবর্তনের শক্তি হিসেবেও কাজ করতে হবে। তারা দ্রুত আইনি ও মনোসামাজিক সহায়তা সংযোগ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে কামরুল হাসান বাদল বলেন, “নারী যদি নিজেকে পূর্ণ মানুষ হিসেবে না ভাবেন, তাহলে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা আসবে না। নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছাড়া সহিংসতা বন্ধ হবে না।”
সভা শেষ হয় নারী নির্যাতন রোধে সম্মানজনক ও সংবেদনশীল সহায়তা নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে।