শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় শ্রমিকরা মে দিবসে দিনটিকে তাদের মুক্তির হিসেবে মনে করলেও তারা তাদের অসহায়ত্ব ও বৈষম্য থেকে কখনোই বেরিয়ে আসতে পারেনি। তেমনই গতকাল বৃহস্পতিবার এই দিনেও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কুষ্টিয়া চৌড়হাস লীফ ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা বলেন, মহান মে দিবস আমাদের মতো নির্যাতিত নিপীড়িত এবং অবহেলিত শ্রমিকদের জন্য আজকের এই দিনটি ধার্য করা হয়েছে, যাতে করে আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পাই এবং বৈষম্য থেকে বেরিয়ে এসে মহান মে দিবসের সুফল আমরা ভোগ করতে পারি, কিন্তু আমরা যেখানে কর্ম করি সেই প্রতিষ্ঠান বিএটিবি আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করেছে সেই ২০১২ সাল থেকে, এমনকি ২০২৩ সালে আমাদের ৫ ভাইকে বিনা কারণে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে, ২০২৪ সালে আরও ১১ জনকে এভাবেই বাদ দিয়েছে, কথায় কথায় যেকোনো কারণে আমাদের যে কাউকে যেকোনো সময় চাকরি থেকে বাদ দিতে দ্বিধা করে না তারা। মহান দিনটিতে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি ২২ দফা আদায়ের লক্ষ্যে ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি, তারা বলেন আমরা এখানে ১৪৬ জন শ্রমিক রয়েছি আমাদের বেতন নাই চাকরি নাই, আমরা এক একজন ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ঋণী রয়েছে কোম্পানি আমাদের খোঁজ রাখেনা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে কোম্পানির পাওনা মুনাফা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, এক নিয়োগপত্র, আইন বহির্ভূত বাইরে রাখা শ্রমিকদের চাকুরীতে পুনর্বহানসহ ২২দফা দাবি পুরোনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চলেছি। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের এই দাবী সম্পন্ন যুক্তিগত এবং সরকার আমাদের এই দাবি পূরণের জন্য ২২ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পর গত ১৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের দাবি দাওয়াসমূহ ৩ কর্মদিবসের (২২ এপ্রিল) মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিলুফা ইয়াসমিন উপসচিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে প্লান্ট ম্যানেজার, জি,এল,টি প্লান্ট বরাবর নির্দেশ প্রদান করা হয়।
কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনাও এই কোম্পানির কর্মকর্তারা কর্ণপাত করেনি। তবে অবস্থানরত শ্রমিকরা বলেন আমাদের ২২ দফা দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক, সে কারণেই সরকার আমাদের দাবি মেনে নিতে কোম্পানির কর্মকর্তাদের নোটিশ জারি করেছেন, তাই আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
জানা গেছে, ২২ দফা দাবি আদায়ে এপ্রিল ২০২৫ এর ২৩ তারিখ বুধবার সকাল ৬টা থেকে শ্রমিকরা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের কুষ্টিয়া চৌড়হাস লীফ ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে করে আসছে বিএটিবির মৌসুমী শ্রমিকরা।
শ্রম আইন লঙ্ঘন করে মৌসুমী শ্রমিকদের বাদ রেখে ঠিকাদারি শ্রমিক নিয়ে ২৪ এপ্রিল এবারের ২০২৫ সালের মৌসুম শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিল ফ্যাক্টারিটি, কিন্তু শ্রমিকদের কঠোর অবস্থান কর্মসূচি পালনের কারণে মৌসুমের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিএটিবি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বহুজাতিক তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লীফ ফ্যাক্টরি ২০০৬ সালের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তার নামে মামলা দায়ের করেছে কুষ্টিয়ার কলকারখানা অধিদপ্তর।
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় শ্রমিকরা মে দিবসে দিনটিকে তাদের মুক্তির হিসেবে মনে করলেও তারা তাদের অসহায়ত্ব ও বৈষম্য থেকে কখনোই বেরিয়ে আসতে পারেনি। তেমনই গতকাল বৃহস্পতিবার এই দিনেও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য কুষ্টিয়া চৌড়হাস লীফ ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা বলেন, মহান মে দিবস আমাদের মতো নির্যাতিত নিপীড়িত এবং অবহেলিত শ্রমিকদের জন্য আজকের এই দিনটি ধার্য করা হয়েছে, যাতে করে আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পাই এবং বৈষম্য থেকে বেরিয়ে এসে মহান মে দিবসের সুফল আমরা ভোগ করতে পারি, কিন্তু আমরা যেখানে কর্ম করি সেই প্রতিষ্ঠান বিএটিবি আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে বঞ্চিত করেছে সেই ২০১২ সাল থেকে, এমনকি ২০২৩ সালে আমাদের ৫ ভাইকে বিনা কারণে চাকরি থেকে বাদ দিয়েছে, ২০২৪ সালে আরও ১১ জনকে এভাবেই বাদ দিয়েছে, কথায় কথায় যেকোনো কারণে আমাদের যে কাউকে যেকোনো সময় চাকরি থেকে বাদ দিতে দ্বিধা করে না তারা। মহান দিনটিতে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি ২২ দফা আদায়ের লক্ষ্যে ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি, তারা বলেন আমরা এখানে ১৪৬ জন শ্রমিক রয়েছি আমাদের বেতন নাই চাকরি নাই, আমরা এক একজন ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা ঋণী রয়েছে কোম্পানি আমাদের খোঁজ রাখেনা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে কোম্পানির পাওনা মুনাফা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, এক নিয়োগপত্র, আইন বহির্ভূত বাইরে রাখা শ্রমিকদের চাকুরীতে পুনর্বহানসহ ২২দফা দাবি পুরোনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চলেছি। শ্রমিকরা বলেন, আমাদের এই দাবী সম্পন্ন যুক্তিগত এবং সরকার আমাদের এই দাবি পূরণের জন্য ২২ দফা দাবির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পর গত ১৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে শ্রমিকদের দাবি দাওয়াসমূহ ৩ কর্মদিবসের (২২ এপ্রিল) মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নিলুফা ইয়াসমিন উপসচিব স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে প্লান্ট ম্যানেজার, জি,এল,টি প্লান্ট বরাবর নির্দেশ প্রদান করা হয়।
কিন্তু সরকারের সেই নির্দেশনাও এই কোম্পানির কর্মকর্তারা কর্ণপাত করেনি। তবে অবস্থানরত শ্রমিকরা বলেন আমাদের ২২ দফা দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক, সে কারণেই সরকার আমাদের দাবি মেনে নিতে কোম্পানির কর্মকর্তাদের নোটিশ জারি করেছেন, তাই আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
জানা গেছে, ২২ দফা দাবি আদায়ে এপ্রিল ২০২৫ এর ২৩ তারিখ বুধবার সকাল ৬টা থেকে শ্রমিকরা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের কুষ্টিয়া চৌড়হাস লীফ ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে করে আসছে বিএটিবির মৌসুমী শ্রমিকরা।
শ্রম আইন লঙ্ঘন করে মৌসুমী শ্রমিকদের বাদ রেখে ঠিকাদারি শ্রমিক নিয়ে ২৪ এপ্রিল এবারের ২০২৫ সালের মৌসুম শুরুর উদ্যোগ নিয়েছিল ফ্যাক্টারিটি, কিন্তু শ্রমিকদের কঠোর অবস্থান কর্মসূচি পালনের কারণে মৌসুমের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিএটিবি কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বহুজাতিক তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো লীফ ফ্যাক্টরি ২০০৬ সালের শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তার নামে মামলা দায়ের করেছে কুষ্টিয়ার কলকারখানা অধিদপ্তর।