ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরসহ একই গ্রামের পাঁচ জায়গায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের ঘটনায় এলাকার নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত সোমবার ২৯ এপ্রিল ভোররাত আড়াইটার দিকে গ্রামটির একটি মন্দির, করাতকলসহ পৃথক তিনটি বাড়ীতে একটি গোয়ালঘর ও দুটি রান্নাঘরে আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। এতে গ্রামটির সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কালি ও শিব প্রতিমার কাপড় পুড়ে গেছে। এ ছাড়াও সুজন সরকারের গোয়ালঘর, জাহিদ শেখ ও আকবার মোল্যার রান্নাঘর এবং দেবাশীষ রায়ের করাতকল দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ক্ষতিগ্রাস্ত হয়েছে। তবে এধরণের নাশকতাকে বা কারা জড়িত তা বলতে পারেনা এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় ধুলজুড়ি গ্রামের তরণী বিশ্বাসের ছেলে তরক বিশ্বাস (২৭) বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তদের দায়ী করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর অভিযান চালিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জালাল আহমেদের ছেলে মো. শাকিল আহমেদসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
মানববন্ধনে দাবি করা হয়, শাকিল আহমেদ একজন ভদ্রলোক, সজ্জন প্রকৃতির, সে এলাকার মানুষের বিপদ-আপদে ছুটে আসে তাদের পাশে দাঁড়ায়। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী এলাকাবাসীর সাথে তার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। সে এঘটনার সাথে কস্মিনকালেও জড়িত হতে পারে না। একটি দুষ্টচক্র রাতের আঁধারে পরিকল্পনা করেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এধরনের ঘটনার জন্ম দিয়ে শাকিল আহমেদের মতো নিরীহ মানুষের উপর দায় চাপাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে শাকিলের মুক্তি চাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মামলাটির বাদি তরক বিশ্বাস, দুলাল কুমার বিশ্বাস, ধুলজুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুদ্দিন, সুজন সরকার, আকবার শেখ প্রমুখ। এসময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ ও শাকিলের সহধর্মিণী ও সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। জালাল আহমেদ বলেন - আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, এলাকার মানুষ বলবে আমার ছেলে শাকিল আহমেদ দোষী কিনা, সে কেমন মানুষ। আগুনের ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই সেই সাথে প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি করছি। তনি প্রশাসনের নিকট অধিকতর তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনা ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশীদ বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। নিরীহ কাউকেই হয়রানি করা হবে না।
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরসহ একই গ্রামের পাঁচ জায়গায় দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনের ঘটনায় এলাকার নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের ধুলজুড়ি সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত সোমবার ২৯ এপ্রিল ভোররাত আড়াইটার দিকে গ্রামটির একটি মন্দির, করাতকলসহ পৃথক তিনটি বাড়ীতে একটি গোয়ালঘর ও দুটি রান্নাঘরে আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। এতে গ্রামটির সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের কালি ও শিব প্রতিমার কাপড় পুড়ে গেছে। এ ছাড়াও সুজন সরকারের গোয়ালঘর, জাহিদ শেখ ও আকবার মোল্যার রান্নাঘর এবং দেবাশীষ রায়ের করাতকল দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে ক্ষতিগ্রাস্ত হয়েছে। তবে এধরণের নাশকতাকে বা কারা জড়িত তা বলতে পারেনা এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় ধুলজুড়ি গ্রামের তরণী বিশ্বাসের ছেলে তরক বিশ্বাস (২৭) বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা দূর্বৃত্তদের দায়ী করে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর অভিযান চালিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জালাল আহমেদের ছেলে মো. শাকিল আহমেদসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
মানববন্ধনে দাবি করা হয়, শাকিল আহমেদ একজন ভদ্রলোক, সজ্জন প্রকৃতির, সে এলাকার মানুষের বিপদ-আপদে ছুটে আসে তাদের পাশে দাঁড়ায়। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী এলাকাবাসীর সাথে তার মধুর সম্পর্ক রয়েছে। সে এঘটনার সাথে কস্মিনকালেও জড়িত হতে পারে না। একটি দুষ্টচক্র রাতের আঁধারে পরিকল্পনা করেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এধরনের ঘটনার জন্ম দিয়ে শাকিল আহমেদের মতো নিরীহ মানুষের উপর দায় চাপাচ্ছে। আমরা অবিলম্বে শাকিলের মুক্তি চাই।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মামলাটির বাদি তরক বিশ্বাস, দুলাল কুমার বিশ্বাস, ধুলজুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজামুদ্দিন, সুজন সরকার, আকবার শেখ প্রমুখ। এসময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ ও শাকিলের সহধর্মিণী ও সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন। জালাল আহমেদ বলেন - আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, এলাকার মানুষ বলবে আমার ছেলে শাকিল আহমেদ দোষী কিনা, সে কেমন মানুষ। আগুনের ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই সেই সাথে প্রকৃত দোষীদের বিচারের দাবি করছি। তনি প্রশাসনের নিকট অধিকতর তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামীদের আইনের আওতায় আনা ও নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর রশীদ বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে পুলিশ। নিরীহ কাউকেই হয়রানি করা হবে না।