আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। গায়ের কাপড় ছাড়া কিছুই নেই, একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এখন আমরা কি করব? কোথায় যাব? ঘর পোড়া ছাই ঘেটে পড়ার বই ও পরীক্ষার প্রবেশপত্র খুজতে খুজতে কাঁপা কাঁপা গলায় কথাগুলো বলছেন জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের রিকশা চালক মো আবুল কাসেমের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. নিশান।
গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের আবদুস সালাম মেম্বারের বাড়িতে আগুন লেগে রিকশা চালক মো. আবুল কাসেম ও প্রবাসী কামাল উদ্দিনের দুইটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে ঘরে থাকা বইপত্র, নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, ধান-চাল, হাঁসমুরগিসহ সবকিছু। তবে পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আবুল কাসেমের ছেলে মো. নিশান।
নিশান এবার জ্যৈষ্ঠপুরা রমনি মোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত ঘরে পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনাও করছিল। জীবন বাঁচাতে শুধু পরনের কাপড়সহ ঘর থেকে বের হয়েছি। কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। আগামী পরীক্ষাগুলো কীভাবে দেবো বুঝতেছি না। আপনারা আমাকে সহায়তা করবেন।
নিশানের বাবা আবুল কাসেম বলেন, আমরা গরীব অসহায় মানুষ। সারা জীবনের যা ইনকাম ছিল, সবকিছুই এখানে ছিল। পড়নের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই। এখন এসব পোড়া অঙ্গারের নিচে খুঁজে বেড়াচ্ছি কোনো কিছু অবশিষ্ট আছে কি না।
আগুনে সবকিছু হারিয়েছেন প্রবাসী কামাল উদ্দিনের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, আমার কোরবানির ঈদের জন্য রাখা নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, সোনার গয়না, আসবাবপত্রসহ ৩০/৪০ লাখ টাকার মতো জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাৎক্ষণিক ২ বান করে টিন এবং আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, লিখিত আবেদন করলে তাদেরকে সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন ইউএনও।
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। গায়ের কাপড় ছাড়া কিছুই নেই, একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেলাম। এখন আমরা কি করব? কোথায় যাব? ঘর পোড়া ছাই ঘেটে পড়ার বই ও পরীক্ষার প্রবেশপত্র খুজতে খুজতে কাঁপা কাঁপা গলায় কথাগুলো বলছেন জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের রিকশা চালক মো আবুল কাসেমের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. নিশান।
গত বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামের আবদুস সালাম মেম্বারের বাড়িতে আগুন লেগে রিকশা চালক মো. আবুল কাসেম ও প্রবাসী কামাল উদ্দিনের দুইটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে গেছে ঘরে থাকা বইপত্র, নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, ধান-চাল, হাঁসমুরগিসহ সবকিছু। তবে পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আবুল কাসেমের ছেলে মো. নিশান।
নিশান এবার জ্যৈষ্ঠপুরা রমনি মোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত ঘরে পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনাও করছিল। জীবন বাঁচাতে শুধু পরনের কাপড়সহ ঘর থেকে বের হয়েছি। কিছুই রক্ষা করতে পারিনি। আগামী পরীক্ষাগুলো কীভাবে দেবো বুঝতেছি না। আপনারা আমাকে সহায়তা করবেন।
নিশানের বাবা আবুল কাসেম বলেন, আমরা গরীব অসহায় মানুষ। সারা জীবনের যা ইনকাম ছিল, সবকিছুই এখানে ছিল। পড়নের কাপড় ছাড়া কিছুই নাই। এখন এসব পোড়া অঙ্গারের নিচে খুঁজে বেড়াচ্ছি কোনো কিছু অবশিষ্ট আছে কি না।
আগুনে সবকিছু হারিয়েছেন প্রবাসী কামাল উদ্দিনের স্ত্রী রেহেনা বেগম বলেন, আমার কোরবানির ঈদের জন্য রাখা নগদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, সোনার গয়না, আসবাবপত্রসহ ৩০/৪০ লাখ টাকার মতো জিনিসপত্র পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে তাৎক্ষণিক ২ বান করে টিন এবং আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, লিখিত আবেদন করলে তাদেরকে সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন ইউএনও।