রাজশাহীতে রেললাইনের পাশ থেকে এক ধান কাটা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ এক কলেজছাত্র এবং নোয়াখালীতে মাদরাসা থেকে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
রাজশাহী : রাজশাহীতে রেললাইনের পাশ থেকে হাবিবুর রহমান নামের এক ধান কাটা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সকালে নগরীর দড়িখড়বোনা রেলক্রসিং এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চর বারোরশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এবং তার এলাকার আরও কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি খুলনায় ধান কাটতে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে মহানন্দা ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের পাশের চরকিশোরগঞ্জের ফেরিঘাটে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্র ইমাম হোসেন নয়নের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘটনাস্থলের কাছ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। নারায়ণগঞ্জ কলেজের স্নাতক (সম্মান) ৩য় বর্ষের ছাত্র নয়ন নারায়ণগঞ্জের কুড়েররপাড় গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। পড়াাশোনার পাশাপাশি এশিয়াটেক কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। ওই কোম্পানীর মুন্সীগঞ্জের সহকর্মীদের সঙ্গে ছুটির দিনে নয়ন বেড়াতে যান মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জের পাশের গজারিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন চরকিশোরগঞ্জে। বিকেল ৩টায় একটু পাশে গজারিয়া উপজেলার সীমানায় চররমজানবেগের নদীতে ৬ বন্ধু গোসল করতে নামেন। হঠাৎ মেঘনায় হারিয়ে যান নয়ন। বন্ধুরা তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল করে সাহায্য চান। পরে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেন ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ সদস্যরা। মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা একটি থেকে ডুবুরি দল এই উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়ে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে।
নোয়াখালী : নোয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জোবায়ের ইবনে জিদান নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমার দাবি, মাদ্রাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। তবে তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, জিদান বিকেলে মাদ্রাসার শৌচাগারে ঢুকে। এ সময় আরও দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল।
সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজ্জা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মো.শাহরিয়ার বলেন, ফাঁস হলে পিছনের দিকে দাগ থাকার কথা না। ফাঁসের বিষয় হলে পিছনে দাগ থাকত না। আমি জিদানের গলার পিছনের দিকে তার দাগ দেখতে পেয়েছি। তাই এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এই ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
রাজশাহীতে রেললাইনের পাশ থেকে এক ধান কাটা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জে নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ এক কলেজছাত্র এবং নোয়াখালীতে মাদরাসা থেকে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
রাজশাহী : রাজশাহীতে রেললাইনের পাশ থেকে হাবিবুর রহমান নামের এক ধান কাটা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সকালে নগরীর দড়িখড়বোনা রেলক্রসিং এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চর বারোরশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এবং তার এলাকার আরও কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি খুলনায় ধান কাটতে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে মহানন্দা ট্রেনে করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। রাজশাহী রেলওয়ে থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের পাশের চরকিশোরগঞ্জের ফেরিঘাটে মেঘনা নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ কলেজছাত্র ইমাম হোসেন নয়নের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘটনাস্থলের কাছ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা মরদেহটি উদ্ধার করেন। নারায়ণগঞ্জ কলেজের স্নাতক (সম্মান) ৩য় বর্ষের ছাত্র নয়ন নারায়ণগঞ্জের কুড়েররপাড় গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। পড়াাশোনার পাশাপাশি এশিয়াটেক কোম্পানিতে চাকরি করতেন তিনি। ওই কোম্পানীর মুন্সীগঞ্জের সহকর্মীদের সঙ্গে ছুটির দিনে নয়ন বেড়াতে যান মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জের পাশের গজারিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন চরকিশোরগঞ্জে। বিকেল ৩টায় একটু পাশে গজারিয়া উপজেলার সীমানায় চররমজানবেগের নদীতে ৬ বন্ধু গোসল করতে নামেন। হঠাৎ মেঘনায় হারিয়ে যান নয়ন। বন্ধুরা তাৎক্ষণিক ৯৯৯ কল করে সাহায্য চান। পরে উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করেন ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ সদস্যরা। মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা একটি থেকে ডুবুরি দল এই উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়ে নয়নের মরদেহ উদ্ধার করে।
নোয়াখালী : নোয়াখালীতে মাদ্রাসা থেকে জোবায়ের ইবনে জিদান (১২) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মহব্বতপুর কাঞ্চন মেম্বারের পোল সংলগ্ন তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জোবায়ের ইবনে জিদান নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ফজল মিস্ত্রি বাড়ির ওমান প্রবাসী আমিরুল ইসলাম সোহেলের ছেলে। সে ওই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র ছিল। নিহতের মা সাবরিনা খাতুন জুমার দাবি, মাদ্রাসায় নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করেছে। তবে তানজিরুল কোরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসার মুতামিম আফজাল হোসাইন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, জিদান বিকেলে মাদ্রাসার শৌচাগারে ঢুকে। এ সময় আরও দুজন ছাত্র শৌচাগারে ঢুকতে অপেক্ষায় ছিল।
সেখানে জিদান পায়জামার সঙ্গে থাকা নেয়ার (রশি) দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। তখন ওই ছাত্ররা শৌচাগারে ঢুকতে দরজ্জা ধাক্কাধাক্কি করলে দরজা খুলে যায়। পরে তারা জিদানের মরদেহ দেখে আমাদের জানায়। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার মো.শাহরিয়ার বলেন, ফাঁস হলে পিছনের দিকে দাগ থাকার কথা না। ফাঁসের বিষয় হলে পিছনে দাগ থাকত না। আমি জিদানের গলার পিছনের দিকে তার দাগ দেখতে পেয়েছি। তাই এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। সুধারাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে এই ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।