জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মে দিবসের অনুষ্ঠানে শোভাযাত্রা আগে-পরে নিয়ে যাওয়া কে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখা ও সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার অ্যাসোসিয়েশনের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে শ্রমিক নেতা সহ ৫ জন আহত এবং ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রথম দফায় সরিষাবাড়ী উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সামনে এবং ২য় দফায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য ও কামরাবাদ ইউনিয়ন শ্রমিক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক দুলাল মিয়া এবং শ্রমিক দল কর্মী রুবেল শেখ আহত হয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছেন। জানা যায়, সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার এসোসিয়েশনের শ্রমিকরা একটি মিছিল শিমলা বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে রওনা দিয়ে পৌর সভার সামনে থেকে হয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানের যোগদানের উদ্দেশ্যে যেতে থাকে। এ সময় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম তালুকদার ৬-৭টি মোটরসাইকেল নিয়ে সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার অ্যাসোসিয়েশনের মিছিলটি দাড় করিয়ে তার মিছিলটি আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ চান। এ নিয়ে সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্সর প্লামবার এসোসিয়েশনের সভাপতি ছাইফুল্লাহ গালিবের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম তালুকদারের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে গালিব কে মোর্শেদ আলম তালুকদার ধাক্কা দিলে অপর শ্রমিক দল নেতা দুলাল মিয়া মোর্শেদ আলমের পক্ষ নেন। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে ৪টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার এসোসিয়েশনের শ্রমিকরা উপজেলা পরিষদে মিছিল নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। এ সময় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার শ্রমিকরা সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকক্স প্লামবার অ্যাসোসিয়েশনের শ্রমিক বরকউল্লার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখা দিলে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ও জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে অবশিষ্টদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসাধীন শ্রমিক দল নেতা দুলাল মিয়া অভিযোগ করেন, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ তালুকদার এর সঙ্গে কথাকাটাকাটি কে কেন্দ্র করে এ মারধরের ঘটনার সূত্রপাত হয়। সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকক্স প্লামবার এসোসিয়েশনের সভাপতি ছাইফুল্লাহ গালিব বলেন, আমরা সবাই একই দলের। এটি একটি অপ্রিতিকর ঘটনা যা আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণেই হয়েছে। সরিষাবাড়ী উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ তালুকদার জানান, যমুনা সার কারখানা এলাকা থেকে একটা বহর নিয়ে গেলে কিছু লোক রাস্তার সাইড দিচ্ছিল না, এ নিয়ে ১ম দফায় তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। ২য় পর্যায়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে তারা শ্রমিক দলের নেতাদের মারধর করে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং নতুন করে বিএনপিতে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মে দিবসের অনুষ্ঠানে শোভাযাত্রা আগে-পরে নিয়ে যাওয়া কে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখা ও সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার অ্যাসোসিয়েশনের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে শ্রমিক নেতা সহ ৫ জন আহত এবং ৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রথম দফায় সরিষাবাড়ী উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের সামনে এবং ২য় দফায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য ও কামরাবাদ ইউনিয়ন শ্রমিক দলের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক দুলাল মিয়া এবং শ্রমিক দল কর্মী রুবেল শেখ আহত হয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছেন। জানা যায়, সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার এসোসিয়েশনের শ্রমিকরা একটি মিছিল শিমলা বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে রওনা দিয়ে পৌর সভার সামনে থেকে হয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানের যোগদানের উদ্দেশ্যে যেতে থাকে। এ সময় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম তালুকদার ৬-৭টি মোটরসাইকেল নিয়ে সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার অ্যাসোসিয়েশনের মিছিলটি দাড় করিয়ে তার মিছিলটি আগে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ চান। এ নিয়ে সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্সর প্লামবার এসোসিয়েশনের সভাপতি ছাইফুল্লাহ গালিবের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম তালুকদারের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে গালিব কে মোর্শেদ আলম তালুকদার ধাক্কা দিলে অপর শ্রমিক দল নেতা দুলাল মিয়া মোর্শেদ আলমের পক্ষ নেন। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে ৪টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পর সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স প্লামবার এসোসিয়েশনের শ্রমিকরা উপজেলা পরিষদে মিছিল নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। এ সময় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার শ্রমিকরা সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকক্স প্লামবার অ্যাসোসিয়েশনের শ্রমিক বরকউল্লার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখা দিলে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ ও জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। মারধরের ঘটনায় গুরুতর আহতদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে অবশিষ্টদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসাধীন শ্রমিক দল নেতা দুলাল মিয়া অভিযোগ করেন, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ তালুকদার এর সঙ্গে কথাকাটাকাটি কে কেন্দ্র করে এ মারধরের ঘটনার সূত্রপাত হয়। সরিষাবাড়ী থানা ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকক্স প্লামবার এসোসিয়েশনের সভাপতি ছাইফুল্লাহ গালিব বলেন, আমরা সবাই একই দলের। এটি একটি অপ্রিতিকর ঘটনা যা আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণেই হয়েছে। সরিষাবাড়ী উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ তালুকদার জানান, যমুনা সার কারখানা এলাকা থেকে একটা বহর নিয়ে গেলে কিছু লোক রাস্তার সাইড দিচ্ছিল না, এ নিয়ে ১ম দফায় তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। ২য় পর্যায়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে তারা শ্রমিক দলের নেতাদের মারধর করে যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং নতুন করে বিএনপিতে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সরিষাবাড়ী থানার ওসি চাঁদ মিয়া বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষই এখন পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।