আমতলী (বরগুনা) : খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় প্রতি শুক্রবার বসছে পানের বাজার -সংবাদ
বরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার খেকুয়ানী বাজার ইজারাদার শাহ আলম শিকদার পানের বাজার বসাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের রেখে যাওয়া ময়লা আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীদের শরীরে নানাবিদ রোগের সৃষ্টি হয় এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম আকারে বিঘিœত হচ্ছে।
দ্রুত পানের বাজার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী। জানা গেছে, খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে একটি ৩ তলা সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়। এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় খেকুয়ানী বাজার ইজারাদার শাহ আলম শিকদার সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার পানের বাজার বসাচ্ছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।
সম্প্রতি এক শুক্রবার সরেজমিনে খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় শতাধিক ব্যাবসায়ী পান বিক্রি করছেন।
এতে বিদ্যালয় ময়লা আবর্জনা ও ধুলাবালিতে একাকার হয়ে আছে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ এবং সুমাইয়া বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় ইজারাদার শাহ আলম সিকদার প্রতি শুক্রবার বাজার বসায়।
ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয়ে ফেলে রেখে যায়। ওই ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে শিক্ষার্থীদের চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হয়। ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগের জন্ম নেয়। এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইজারাদার এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা। এইচএম দেলোয়ার মুন্সি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ইজারাদারকে এমন কাজের প্রতিবাদ করেছি কিন্তু ইজারাদার তা মানছেন না।
ইজারাদার প্রভাবখাটিয়ে বিদ্যালয় নিচতলায় পানের বাজার বসিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর রাখতে ইজারাদারকে অবশ্যই পানের বাজার বসানো থেকে বিরত রাখতে হবে। সোবাহান মিয়া নামে এক পান ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ইচ্ছে করে বিদ্যালয়ের নিচতলায় পান বিক্রি করতে বসিনি। ইজারাদার আমাদের পান বিক্রি করতে বসিয়েছেন। বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে বাজার বসানো মোটেই ঠিক হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম সিকদার বলেন, বাজারে কোনো সরকারি জায়গা না থাকায় এখানে পানের বাজার বসানো হয়েছে। বিগত দিনেও এই বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসতো। তাই আমিও এখন বসাচ্ছি। খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন স্বপন বলেন, বাজারের ইজাদার শাহ আলম সিকদার প্রভাব খাটিয়ে এই বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসিয়েছেন। তাকে আমরা বাজার বসাতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তা শোনেননি।
পান ব্যবসায়ীদের রেখে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পঁচে বিদ্যালয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীদের শরীরে নানাবিধ রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারাই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় কোনো মতেই বাজার বসানো যাবে না যারা বাজার বসিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমতলী (বরগুনা) : খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় প্রতি শুক্রবার বসছে পানের বাজার -সংবাদ
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
বরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার খেকুয়ানী বাজার ইজারাদার শাহ আলম শিকদার পানের বাজার বসাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের রেখে যাওয়া ময়লা আবর্জনা পঁচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীদের শরীরে নানাবিদ রোগের সৃষ্টি হয় এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরম আকারে বিঘিœত হচ্ছে।
দ্রুত পানের বাজার অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী। জানা গেছে, খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে একটি ৩ তলা সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়। এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় খেকুয়ানী বাজার ইজারাদার শাহ আলম শিকদার সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার পানের বাজার বসাচ্ছেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিষেধ করলেও তিনি তা মানছেন না। এতে বিদ্যালয়ের পরিবেশ চরমভাবে নষ্ট হচ্ছে।
সম্প্রতি এক শুক্রবার সরেজমিনে খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় শতাধিক ব্যাবসায়ী পান বিক্রি করছেন।
এতে বিদ্যালয় ময়লা আবর্জনা ও ধুলাবালিতে একাকার হয়ে আছে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, জুবায়ের হোসেন, আব্দুল্লাহ এবং সুমাইয়া বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় ইজারাদার শাহ আলম সিকদার প্রতি শুক্রবার বাজার বসায়।
ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয়ে ফেলে রেখে যায়। ওই ময়লা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এতে শিক্ষার্থীদের চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হয়। ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগের জন্ম নেয়। এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইজারাদার এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা। এইচএম দেলোয়ার মুন্সি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ইজারাদারকে এমন কাজের প্রতিবাদ করেছি কিন্তু ইজারাদার তা মানছেন না।
ইজারাদার প্রভাবখাটিয়ে বিদ্যালয় নিচতলায় পানের বাজার বসিয়েছেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর রাখতে ইজারাদারকে অবশ্যই পানের বাজার বসানো থেকে বিরত রাখতে হবে। সোবাহান মিয়া নামে এক পান ব্যবসায়ী বলেন, আমরা ইচ্ছে করে বিদ্যালয়ের নিচতলায় পান বিক্রি করতে বসিনি। ইজারাদার আমাদের পান বিক্রি করতে বসিয়েছেন। বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে বাজার বসানো মোটেই ঠিক হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম সিকদার বলেন, বাজারে কোনো সরকারি জায়গা না থাকায় এখানে পানের বাজার বসানো হয়েছে। বিগত দিনেও এই বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসতো। তাই আমিও এখন বসাচ্ছি। খেকুয়ারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন স্বপন বলেন, বাজারের ইজাদার শাহ আলম সিকদার প্রভাব খাটিয়ে এই বিদ্যালয়ের নিচতলায় পানের বাজার বসিয়েছেন। তাকে আমরা বাজার বসাতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি তা শোনেননি।
পান ব্যবসায়ীদের রেখে যাওয়া ময়লা-আবর্জনা পঁচে বিদ্যালয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। ফলে শিক্ষার্থীদের শরীরে নানাবিধ রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারাই এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় কোনো মতেই বাজার বসানো যাবে না যারা বাজার বসিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।