নীলফামারীর ডিমলার লোকালয়ে দেখা মিলেছে একটি বিপন্ন প্রজাতির কালোমুখো হনুমান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ি হাট সংলগ্ন এলাকায় একটি গাছে হনুমানটিকে দেখা মিলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ হনুমানটি সকাল থেকেই শুটিবাড়ি বাজারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। এরপর সেটি সাবেক ইউপি সদস্য ছলেমান আলীর বাড়ির পাশের আমগাছে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করা কালে উৎসুক গ্রামবাসী ও বাজার এলাকার লোকজন হনুমানটিকে দেখার জন্য ভিড় করে।
জড়ো হওয়া উৎসুক জনতা হনুমানটিকে আলু, ভাত, পাউরুটি ও কলা খেতে দেন। তবে শিশু ও কৌতূহলী মানুষের শোরগোলে কারণে বিরক্ত হয়ে হনুমানটি নিরাপদ স্থান খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শুটিবাড়ি বাজারের অন্য প্রান্তে গোলামের বাড়ির দিকে চলে যায়।
রফিকুল নামের এক ভ্যান চালক জানান, এলাকায় হঠাৎ করে দক্ষিণ দিকে থেকে হনুমানটির আগমন ঘটে। হনুমানটি খুবই বড় ও দেখে খুব ক্ষুধার্ত মনে হচ্ছিল। এটি খাবারের আশায় বারবার মাটিতে নেমে আসার চেষ্টা করছিল। কিন্তু লোকজনের ভিড় দেখে আবার ভীত হয়ে ঘরের চালে ও গাছের ডালে উঠে। ধারণা করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে তিস্তা নদী পার হয়ে খাবারের খুঁজে হনুমানটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক কনক কুমার অধিকারী সংবাদকে বলেন, কালোমুখো হনুমান বর্তমানে বিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে বসবাস করা বৃক্ষচারী ও শান্ত স্বভাবের প্রাণী। তবে প্রায়শই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকালয়ে এদের খাবারের সন্ধানে দেখা যায়। ডোমার উপজেলা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা এম মোরশেদ আলম জানান, দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানটির কোনো ক্ষতি না করতে এবং বিরক্ত না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, খাবারের খোঁজে ভারত থেকে আসা হনুমানটি বিরক্ত না হলে সম্ভবত আবারও ওদিকেই ফিরে যাবে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘোরাঘুরি করা কালোমুখো হনুমানটির দ্রুত এবং ঘন ঘন স্থান পরিবর্তনের কারণে উদ্ধার করা কঠিন। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় এটিকে উদ্ধারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলার লোকালয়ে দেখা মিলেছে একটি বিপন্ন প্রজাতির কালোমুখো হনুমান। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের শুটিবাড়ি হাট সংলগ্ন এলাকায় একটি গাছে হনুমানটিকে দেখা মিলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ হনুমানটি সকাল থেকেই শুটিবাড়ি বাজারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। এরপর সেটি সাবেক ইউপি সদস্য ছলেমান আলীর বাড়ির পাশের আমগাছে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করা কালে উৎসুক গ্রামবাসী ও বাজার এলাকার লোকজন হনুমানটিকে দেখার জন্য ভিড় করে।
জড়ো হওয়া উৎসুক জনতা হনুমানটিকে আলু, ভাত, পাউরুটি ও কলা খেতে দেন। তবে শিশু ও কৌতূহলী মানুষের শোরগোলে কারণে বিরক্ত হয়ে হনুমানটি নিরাপদ স্থান খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শুটিবাড়ি বাজারের অন্য প্রান্তে গোলামের বাড়ির দিকে চলে যায়।
রফিকুল নামের এক ভ্যান চালক জানান, এলাকায় হঠাৎ করে দক্ষিণ দিকে থেকে হনুমানটির আগমন ঘটে। হনুমানটি খুবই বড় ও দেখে খুব ক্ষুধার্ত মনে হচ্ছিল। এটি খাবারের আশায় বারবার মাটিতে নেমে আসার চেষ্টা করছিল। কিন্তু লোকজনের ভিড় দেখে আবার ভীত হয়ে ঘরের চালে ও গাছের ডালে উঠে। ধারণা করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে তিস্তা নদী পার হয়ে খাবারের খুঁজে হনুমানটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক কনক কুমার অধিকারী সংবাদকে বলেন, কালোমুখো হনুমান বর্তমানে বিপন্ন প্রাণীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এরা সাধারণত দলবদ্ধভাবে বসবাস করা বৃক্ষচারী ও শান্ত স্বভাবের প্রাণী। তবে প্রায়শই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকালয়ে এদের খাবারের সন্ধানে দেখা যায়। ডোমার উপজেলা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা এম মোরশেদ আলম জানান, দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানটির কোনো ক্ষতি না করতে এবং বিরক্ত না করার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি ধারণা করছেন, খাবারের খোঁজে ভারত থেকে আসা হনুমানটি বিরক্ত না হলে সম্ভবত আবারও ওদিকেই ফিরে যাবে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঘোরাঘুরি করা কালোমুখো হনুমানটির দ্রুত এবং ঘন ঘন স্থান পরিবর্তনের কারণে উদ্ধার করা কঠিন। তবে স্থানীয়দের সহায়তায় এটিকে উদ্ধারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।