জমছে বাজার, বেড়েছে বিকিকিনি
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় আনারসের রাজধানী হলেও কলার দ্বিতীয় রাজধানী বলা হয় এ গড়কে। লাল মাটিতে আনারসের পাশাপাশি ব্যাপক পরিমানে কলার চাষ হয়ে থাকে। লাল মাটির উর্বর মৃত্তিকা কৃষি ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী।
তাই উঁচু বন্যামুক্ত হওয়ায় মধুপুরে প্রচুর পরিমানে আনারস, পেঁপে, আদা, কচুসহ রের্কড পরিমানে কলা চাষ হয়ে থাকে। তাই স্থানীয়রা মধুপুর গড়কে কলার রাজধানী বলে থাকে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও কলার ভালো ফলন হয়েছে। সারা বছর বাজার বসে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে জলছত্র বাজারে।
কলার গুণগত মান ভালো থাকায় চাহিদাও বেশি, এ জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা আসে এ বাজারে কলা কিনতে আসে। সপ্তাহে শুক্রবার, মঙ্গলবার দুদিন হাট থাকলেও সপ্তাহে ৫ দিনই এ বাজারে কলা বেচাকেনা হয়ে থাকে এমনটাই জানালেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আনারসের মতো গড় অঞ্চলের কলার ও সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও ভালে দাম পাচ্ছে চাষীরা। চাষী পাইকারদের সুবিধার জন্য জলছত্র ট্রাক ড্রাইভার্স ইউয়িন তাদের নিজস্ব অফিসে থাকা খাওয়ার সুবিধার জন্য আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরার ব্যবস্থা করে কলার বাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এবার কলার ভালো দাম পাচ্ছে চাষীরা। লাল মাটির কলার গুণগত মান ভালো থাকার কারণে চাহিদাও বেশি যে কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসে কলা কিনতে।
জানাযায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের উর্বর লাল মাটিতে বেড়েছে কলার আবাদ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ফলন হয়েছে ভালো। মধুপুর গড়ের বাগান, বাজার ও জলছত্র কলার হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার কলা বিক্রি হয়ে থাকে।
কুমিল্লা থেকে কলা কিনতে আসা ক্রেতা শফিক জানান, মধুপুরে কলার সাথে আনারসও কেনা যায়।
সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা পাওয়া যায়। তাদের এলাকায় মধুপুরের করার চাহিদা বেশি বলেও জানান এই ক্রেতা।
জলছত্র ট্রাক ও কভার্ড ড্রাইভার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, এ বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক কলার গাড়ী দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাকে। পাইকারদের সুবিধার জন্য বাজারেই রয়েছে ট্রাক অফিস। থাকা খাওয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে সারা বছরই বাজার জমে থাকে। এ জন্য ট্রাক অফিস ও স্থানীয় রা সহযোগিতা করে থাকে। জলছত্র বাজারের করার ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, সে এ বাজারেই কলা ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। সুনামগঞ্জের ক্রেতা তাহের আলী বলেন, সে ১৬ বছর যাবত এ বাজার থেকে কলা কিনে নিয়ে তার এ এলাকায় বিক্রি করে থাকে। এতে তার ভালো লাভ হয়। তবে বর্তমানে খরচ বেড়ে গেছে বলেও জানান। আব্দুর কাদের বলেন, ১শ’ ২৫ ছড়ি কলা বাজারে এনে ৪৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছে। তারমতে, বাজার ভালো। সে এ বাজারেই তার বাগানের করা বিক্রি করে থাকে বলে জানান।
স্থানীয় জানালেন, সার, কীটনাশক ও জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কলা চাষে খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেলেও এ সময়ে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানান চাষীরা। কলা বিক্রি করতে আসা চাষী ও পাইকাররা জানান, বাজারে আকারভেদে প্রতি ছড়ি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে।
গড় এলাকার বিভিন্ন বাগান বাজারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার এসে কলা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ এলাকার কলার গুণগত মান ভালো থাকায় দেশ জুড়ে রয়েছে চাহিদা।
ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে কলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পাইকাররা। চড়া দামে কলা কিনেও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে সেখানেও আশানুরূপ লাভ পাচ্ছে বলে জানান পাইকাররা।
মধুপুর উপজেলা কৃষি রকিব আল রানা জানান, এ বছর মধুপুরের লাল মাটিতে প্রচুর পরিমানে সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা আবাদ করা হয়ে থাকে। এখানে বাণিজ্যিক ভাবে কলা হয়। কলার ফলন ভালো হওয়ায় চাষীরা দামও পাচ্ছে ভালো।
মধুপুর গড়কে আনারসের রাজধানী বলা হলেও এ এলাকার উর্বর লাল মাটিতে দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাজারের ট্রাক অফিসে সুযোগ সুবিধা থাকায় বাড়ছে পাইকার। অল্প জমি অধিক ফসল চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষক কলা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে।
জমছে বাজার, বেড়েছে বিকিকিনি
শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫
টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় আনারসের রাজধানী হলেও কলার দ্বিতীয় রাজধানী বলা হয় এ গড়কে। লাল মাটিতে আনারসের পাশাপাশি ব্যাপক পরিমানে কলার চাষ হয়ে থাকে। লাল মাটির উর্বর মৃত্তিকা কৃষি ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী।
তাই উঁচু বন্যামুক্ত হওয়ায় মধুপুরে প্রচুর পরিমানে আনারস, পেঁপে, আদা, কচুসহ রের্কড পরিমানে কলা চাষ হয়ে থাকে। তাই স্থানীয়রা মধুপুর গড়কে কলার রাজধানী বলে থাকে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও কলার ভালো ফলন হয়েছে। সারা বছর বাজার বসে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে জলছত্র বাজারে।
কলার গুণগত মান ভালো থাকায় চাহিদাও বেশি, এ জন্য দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা আসে এ বাজারে কলা কিনতে আসে। সপ্তাহে শুক্রবার, মঙ্গলবার দুদিন হাট থাকলেও সপ্তাহে ৫ দিনই এ বাজারে কলা বেচাকেনা হয়ে থাকে এমনটাই জানালেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আনারসের মতো গড় অঞ্চলের কলার ও সুনাম সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলেও ভালে দাম পাচ্ছে চাষীরা। চাষী পাইকারদের সুবিধার জন্য জলছত্র ট্রাক ড্রাইভার্স ইউয়িন তাদের নিজস্ব অফিসে থাকা খাওয়ার সুবিধার জন্য আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরার ব্যবস্থা করে কলার বাজারকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এবার কলার ভালো দাম পাচ্ছে চাষীরা। লাল মাটির কলার গুণগত মান ভালো থাকার কারণে চাহিদাও বেশি যে কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতারা আসে কলা কিনতে।
জানাযায়, টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের উর্বর লাল মাটিতে বেড়েছে কলার আবাদ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ফলন হয়েছে ভালো। মধুপুর গড়ের বাগান, বাজার ও জলছত্র কলার হাট থেকে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকার কলা বিক্রি হয়ে থাকে।
কুমিল্লা থেকে কলা কিনতে আসা ক্রেতা শফিক জানান, মধুপুরে কলার সাথে আনারসও কেনা যায়।
সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা পাওয়া যায়। তাদের এলাকায় মধুপুরের করার চাহিদা বেশি বলেও জানান এই ক্রেতা।
জলছত্র ট্রাক ও কভার্ড ড্রাইভার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য বিল্লাল হোসেন বলেন, এ বাজার থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক কলার গাড়ী দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে থাকে। পাইকারদের সুবিধার জন্য বাজারেই রয়েছে ট্রাক অফিস। থাকা খাওয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে সারা বছরই বাজার জমে থাকে। এ জন্য ট্রাক অফিস ও স্থানীয় রা সহযোগিতা করে থাকে। জলছত্র বাজারের করার ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, সে এ বাজারেই কলা ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। সুনামগঞ্জের ক্রেতা তাহের আলী বলেন, সে ১৬ বছর যাবত এ বাজার থেকে কলা কিনে নিয়ে তার এ এলাকায় বিক্রি করে থাকে। এতে তার ভালো লাভ হয়। তবে বর্তমানে খরচ বেড়ে গেছে বলেও জানান। আব্দুর কাদের বলেন, ১শ’ ২৫ ছড়ি কলা বাজারে এনে ৪৮ হাজার টাকা বিক্রি করেছে। তারমতে, বাজার ভালো। সে এ বাজারেই তার বাগানের করা বিক্রি করে থাকে বলে জানান।
স্থানীয় জানালেন, সার, কীটনাশক ও জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কলা চাষে খরচ আগের তুলনায় বেড়ে গেলেও এ সময়ে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানান চাষীরা। কলা বিক্রি করতে আসা চাষী ও পাইকাররা জানান, বাজারে আকারভেদে প্রতি ছড়ি কলা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে।
গড় এলাকার বিভিন্ন বাগান বাজারে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকার এসে কলা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এ এলাকার কলার গুণগত মান ভালো থাকায় দেশ জুড়ে রয়েছে চাহিদা।
ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে কলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পাইকাররা। চড়া দামে কলা কিনেও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে সেখানেও আশানুরূপ লাভ পাচ্ছে বলে জানান পাইকাররা।
মধুপুর উপজেলা কৃষি রকিব আল রানা জানান, এ বছর মধুপুরের লাল মাটিতে প্রচুর পরিমানে সাগর, সর্বি, বিচি, চাম্পা কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির কলা আবাদ করা হয়ে থাকে। এখানে বাণিজ্যিক ভাবে কলা হয়। কলার ফলন ভালো হওয়ায় চাষীরা দামও পাচ্ছে ভালো।
মধুপুর গড়কে আনারসের রাজধানী বলা হলেও এ এলাকার উর্বর লাল মাটিতে দিন দিন কলা চাষে ঝুঁকছেন চাষীরা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাজারের ট্রাক অফিসে সুযোগ সুবিধা থাকায় বাড়ছে পাইকার। অল্প জমি অধিক ফসল চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কৃষক কলা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে।