মাগুরায় দাওয়াত খেতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার ভিটাসাইর গ্রামে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে তাদের সামনেই ওই নেতার ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
হামলার শিকার ব্যক্তি মীর শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু মীর। তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুমার নামাজের পর ভিটাসাইর গ্রামের জামাল মোল্লার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান বাবু মীর। খাবার খেয়ে বের হওয়ার আগমুহূর্তে ওই বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাঁর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান কয়েকজন যুবক। এ সময় দৌড়ে তিনি ঘরের মধ্যে ঢুকে রক্ষা পান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে চাইলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।
পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবু মীর জানান, তাঁর ওপর কে বা কারা কী কারণে হামলা করেছে তিনি তা জানেন না।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভিটাসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই গ্রামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, ওই সময় হামলা চালান তৎকালীন কাউন্সিলর বাবু মীর ও তাঁর লোকজন। তারা আরও জানান, হামলার পর আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিতে দেওয়া হয়নি এবং প্রায় এক বছর পর তিনি মারা যান। এলাকাবাসীর দাবি, সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী জানান, বাবু মীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে আগ্রহ দেখাননি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাতে ও পিঠে কয়েক জায়গায় জখম নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
সদর থানা সূত্রে আরও জানা যায়, কয়েক মাস আগে জুলাই–আগস্টের একটি মামলায় বাবু মীরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি দুটি মামলায় তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
মাগুরায় দাওয়াত খেতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা। শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার ভিটাসাইর গ্রামে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করতে গেলে তাদের সামনেই ওই নেতার ওপর দ্বিতীয় দফায় হামলা হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
হামলার শিকার ব্যক্তি মীর শহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু মীর। তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এবং পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জুমার নামাজের পর ভিটাসাইর গ্রামের জামাল মোল্লার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান বাবু মীর। খাবার খেয়ে বের হওয়ার আগমুহূর্তে ওই বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাঁর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালান কয়েকজন যুবক। এ সময় দৌড়ে তিনি ঘরের মধ্যে ঢুকে রক্ষা পান। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে চাইলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়।
পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাবু মীর জানান, তাঁর ওপর কে বা কারা কী কারণে হামলা করেছে তিনি তা জানেন না।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন জানান, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভিটাসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই গ্রামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাঁদের অভিযোগ, ওই সময় হামলা চালান তৎকালীন কাউন্সিলর বাবু মীর ও তাঁর লোকজন। তারা আরও জানান, হামলার পর আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিতে দেওয়া হয়নি এবং প্রায় এক বছর পর তিনি মারা যান। এলাকাবাসীর দাবি, সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই এ হামলা হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি মো. আইয়ুব আলী জানান, বাবু মীরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে আগ্রহ দেখাননি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, হাতে ও পিঠে কয়েক জায়গায় জখম নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন। তবে কিছুক্ষণ পর তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
সদর থানা সূত্রে আরও জানা যায়, কয়েক মাস আগে জুলাই–আগস্টের একটি মামলায় বাবু মীরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি দুটি মামলায় তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।