বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : ভরাট এবং দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত খাল পরিদর্শনে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান -সংবাদ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অবৈধভাবে দখল, ভরাট এবং দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন খাল সরজমিনে পরির্দশন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌমুহনীর বড় পোলে দাড়িয়ে তিনি নোয়াখালী খালের চৌমুহনী অংশ ও তুলাতলি খালের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহিসহ পৌর প্রশাসন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নোয়াখালী খালের চৌমুহনী শহরের ওই অংশটি ও তুলাতলি খালটি দখল আর দুষনে বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জেলার উত্তর পূর্বাঞ্চলের বন্যা বা জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী এই দুটি খাল। উল্লেখ্য,যুগ যুগ ধরে অবৈধভাবে দখল হয়ে আসছে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীর খাল,পুকুর, জলাসয়। এ যেন দখলের মহোৎসব চলছে। দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চললেও দখলদারদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনো। বরং বছরের পর বছর ধরে বৈঠক চলছে। কিন্তু চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে দখল করা ছোট-বড় প্রায় ২০টি সরকারি খাল উদ্ধার হচ্ছেনা। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তর একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। বেগমগঞ্জ নাগরিক ফোরামের আহবায়ক এস এম সাহাব উদ্দিন জানান, বেগমগঞ্জ তথা জেলার উত্তরাঞ্চলকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছা দরকার। ইতিমধ্যে আমরা খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত, পরিস্কার সহ পৃনঃ খনন করারদাবীতে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন ও ডিসি, ইউএনও মহোদয়কে ম্মারক লিপি দিয়েছি। চৌমুহনী খালের কিছু অংশ পরিস্কারও করা হয়েছে। কিন্তু বরাদ্ধ না থাকায় কাজ বন্ধ আছে।
আমরা সরকারের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা দূরিকরনে খাল পরিস্কার, অবৈধ দখলমুক্ত করনসহ খালগুলো পূন খননের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : ভরাট এবং দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত খাল পরিদর্শনে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান -সংবাদ
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অবৈধভাবে দখল, ভরাট এবং দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন খাল সরজমিনে পরির্দশন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে চৌমুহনীর বড় পোলে দাড়িয়ে তিনি নোয়াখালী খালের চৌমুহনী অংশ ও তুলাতলি খালের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী হালিম সালেহিসহ পৌর প্রশাসন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নোয়াখালী খালের চৌমুহনী শহরের ওই অংশটি ও তুলাতলি খালটি দখল আর দুষনে বর্তমানে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। জেলার উত্তর পূর্বাঞ্চলের বন্যা বা জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী এই দুটি খাল। উল্লেখ্য,যুগ যুগ ধরে অবৈধভাবে দখল হয়ে আসছে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক শহর চৌমুহনীর খাল,পুকুর, জলাসয়। এ যেন দখলের মহোৎসব চলছে। দীর্ঘদিন থেকে এ অবস্থা চললেও দখলদারদের লাগাম টেনে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়নি কখনো। বরং বছরের পর বছর ধরে বৈঠক চলছে। কিন্তু চৌমুহনী শহরসহ বেগমগঞ্জের ১৬টি ইউনিয়নে অবৈধ ভাবে দখল করা ছোট-বড় প্রায় ২০টি সরকারি খাল উদ্ধার হচ্ছেনা। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তর একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। বেগমগঞ্জ নাগরিক ফোরামের আহবায়ক এস এম সাহাব উদ্দিন জানান, বেগমগঞ্জ তথা জেলার উত্তরাঞ্চলকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের স্বদিচ্ছা দরকার। ইতিমধ্যে আমরা খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত, পরিস্কার সহ পৃনঃ খনন করারদাবীতে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন ও ডিসি, ইউএনও মহোদয়কে ম্মারক লিপি দিয়েছি। চৌমুহনী খালের কিছু অংশ পরিস্কারও করা হয়েছে। কিন্তু বরাদ্ধ না থাকায় কাজ বন্ধ আছে।
আমরা সরকারের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান জানান, জলাবদ্ধতা দূরিকরনে খাল পরিস্কার, অবৈধ দখলমুক্ত করনসহ খালগুলো পূন খননের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রনালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।